সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মুফতী শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী

জুমার দিনের ফজিলত ও আমল

জুমা শব্দটি আরবি জমা শব্দ থেকে উৎপক্তি। জমা অর্থ হলো একত্রিত হওয়া বা একত্র করা। জমা শব্দের আরেক অর্থ হলো বহু জুমুআহ মানে হলো একত্রিত হওয়ার স্থান বা সময়। ইসলামে শুক্রবারকে ইয়াওমুল জুমুআহ বা জুমা দিবস বলা হয়। জুমার দিনে মুসলিমরা নির্দিষ্ট মসজিদে একত্রিত হন। শুক্রবারে জুমা অনুষ্ঠিত হয় বলে শুক্রবারকে জুমাবার বলা হয়। যেই মসজিদে জুমা অনুষ্ঠিত হয় তাকে মসজিদুল জামে তথা জামে মসজিদ বা জুমা মসজিদ বলা হয়। যে সকল মসজিদে জুমা অনুষ্ঠিত হয় না, সেগুলোকে পাঞ্জেগানা মসজিদ বা ওয়াক্তিয়া মসজিদ বলা হয়। জুমা শব্দটির সাথে জমাআহ বা জমাআত শব্দের স্পর্ক রয়েছে; কারণ জমাআত ছাড়া জুমা হয় না।


কুরআন মজিদে সূরা জুমা নামে একটি সূরা বা অধ্যায় রয়েছে। এতে বলা হয়েছে: “হে মুমিনগণ! জুমুআর দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণ পানে ত্বরা করো (দ্রুত দৌড়াও) এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝো। অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সূরা৬২ জুমুআহ, আয়াত: ৯-১)।

জুমার দিনের তাৎপর্য:

তাফসীরবিদগণ বলেন, সূরা জুমার পূর্বের সূরার নাম হলো সূরা ‘সফ’। সফ অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধভাবে আদায় করা হয় এবং এতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এতে এই ইঙ্গিত রয়েছে। সূরা জুমার পরের সূরা হলো সূরা ‘মুনাফিক‚ন’। এতে এই ইঙ্গিত বিদ্যমান যে, জুমার তরক করা মুনাফিকের লক্ষণ। জুমার নামাজে প্রথম রাকআতে সূরা জুমা ও দ্বিতীয় রাকআতে সূরা মুনাফিক‚ন পড়া সুন্নাত।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি বিনা কারণে জুমা পরিত্যাগ করলো, তাকে মুনাফি হিসেবে তালিকাভুক্ত ও লিপিবদ্ধ করা হয়।’ (ইমাম শাফিয়ী, মিশকাত: ১২১, ফয়জুল কালাম: ৪৬৮, পৃষ্ঠা: ৩৩৩)।

হজরত উমর (রা.) ও হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আমরা শুনেছি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলেছেন: ‘যারা কয়েকটি জুমা ধারাবাহিবভাবে পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তাদের তাদের অন্তরে সীল মোহর করে দিবেন; অতঃপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম শরীফ)। হজরত আবু জাআদ (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি অবজ্ঞা বা অবহেলা করে তিন জুমুআহ পরিত্যাগ করলো, আল্লাহ তার অন্তরে সীল মোহর করে দিবেন। (তিরমিযী, নাসায়ী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)।

মসজিদে নিরবতা প্রসঙ্গ:

হজরত মুআজ ইবনে আনাস জুহানী (র.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে মানুষের ঘাঁড়ের উপর দিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলো, কিয়ামতের দিন তাকে জাহান্নামের পুল বানানো হবে। (তিরমিযী, মিশকাত: ১২২, ফয়জুল কালাম: ৪৭৩, পৃষ্ঠা: ৩৩৬)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমুআর দিনে ইমামের খুৎবাহ প্রদানের সময় যে কথা বললো, সে যেন গাধার মতো যে বোঝা উঠায়। যে তাকে বললো চুপ করো, তারও জুমুআহ নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত: ১২৩, ফয়জুল কালাম: ১৭৪, পৃষ্ঠা: ৩৩৬-৩৩৭)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমুআর দিনে ইমাম খুৎবাহ দেওয়ার সময় যখন তুমি তোমার ভাইকে বললে, চুপ করো; তখন তুমিও বেহুদা কথা বললে।’ (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত: ১২২/ ফয়জুল কালাম: ৪৭১, পৃষ্ঠা: ৩৩৫)।

জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত:

‘হজরত তারেক ইবনে শিহাব (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমা জমাতের সাথে আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ফরজ কর্তব্য; চার প্রকার লোক ছাড়া। কৃতদাস, নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি।’ (আবু দাউদ)। হজরত সালমান (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমার দিনে যে গোসল করলো, সাধ্য মতো পবিত্রতা অর্জন করলো, তেল ব্যবহার করলো, সুগন্ধি ব্যবহার কলো এবং মজিদে গিয়ে কাউকে না ডিঙ্গিয়ে বসলো, নিরবে ইমামের খুৎবাহ শুনলো, অতঃপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করলো; আল্লাহ তাআলা তার দুই জুমুআর মধ্যবর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন।’ (বুখারী শরীফ)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে ভালোভাবে অজু করলো, অতঃপর জুমায় আসলো, মনযোগ দিয়ে খুৎবাহ শুনলো ও চুপচাপ থাকলো, তার এক জুমুআহ থেকে আরেক জুমাহ পর্যন্ত
গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে, অধিকন্তু আরো তিন দিনের। আর যে খুৎকার সময় অকারণ নড়াচড়া করলো, সেও কথা বললো। (মুসলিম, মিশকাত: ১২২, ফয়জুল কালাম: ৪৭২, পৃষ্ঠা: ৩৩৬)।

জুমার দিনে প্রতি কদমে এক বছরের নামাজ ও রোজার সওয়াব:

হজরত আউস ইবনে আউস (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি জুমার দিন জামা কাপড় ধূয়ে গোসল করে, সকাল সকাল মসজিদে গেলো, পায়ে হেঁটে মসজিদে গমনাগমন করলোবাহনে আরোহন করলো না, ইমামের নিকটে বসলো, মনযোগ দিয়ে খুৎবাহ শুনলো, অযথা কাজ করলো না, তার প্রতিটি পদক্ষেপে এক বছরের রোজা ও এক বছরের নামাজের সওয়াব প্রাপ্ত হবে।’ (তিরমিযী, নাসায়ী, আবূ দাঊদ, ইবনে মাজাহ; মিশকাত: ১২২/ ফয়ুল কালাম: ১৭০, পৃষ্ঠা: ৩৩৪-৩৩৫)।

জুমাহ ও খুৎবাহ:

জুমার অন্যতম প্রধান বিষয় হলো খুৎবাহ বা ভাষণ। হাদীস শরীফে আছে, হজরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুটি খুৎবাহ দিতেন, দুই খুৎবার মাঝে বসতেন; খুৎবাহ ও নামাজ উভয়ই হতো সমান। (মুসলিম শরীফ)। প্রথম যুগে জুমুআর নামাজের পরে খুৎবাহ দেওয়া হতো। একদা নবীজি (স.) খুৎবাহ দিচ্ছিলেন এমন সময় বাণিজ্য কাফেলা আসলে অনেকে উঠে চলে যান। ৭ জন মহিলাসহ ১৯ জন বসে থাকেন, এই ১৯ জনের মধ্যে আশারা মুবাশশারা বা ১০ জন বেহেশতের সুসংবাদ প্রাপ্তর ছিলেন। তখন সূরা জুমুআহ এর শেষ আয়াত নাজিল হয়। “তারা যখন কোন ব্যবসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে তখন আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়। বলুন, আল্লাহর কাছে যা আছে, তা ক্রীড়াকৌতুক ও ব্যবসায় অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সর্বোত্তম রিযিকদাতা।” (সূরা-৬২ জুমুআহ, রুক‚: ২, আয়াত: ১১)। এর পর থেকে নবীজি (স.) খুৎবাহ পূর্বেই প্রদান করেন। (তাফসীরে জালালাঈন ও মাআরিফুল কুরআন)।

জুমার দিনের নামাজসমূহ:

জুমার মূল নামায ২ রাকআত। জুমার দিনে জুহর ওয়াক্তে জুহরের নামাজের পরিবর্তে দুই রাকআত জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। এর পূর্বে ৪ রাকআত (কাবলাল জুমুআহ) ও পরে ৪ রাকআত (বাদাল জুমুআহ) পড়া সুন্নাত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার পূর্বে (কাবলাল জুমুআহ) চার রাকাত নামাজ আদায় করতেন এবং জুমুআর পরে (বাদাল জুমুআহ) চার রাকআত নামাজ আদায় করতেন। (তাবরানী/আলফিয়াহ: ৪৩০)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘তোমরা যখন জুমুআর নামাজ আদায় করবে, তার পরে (বাদাল জুমুআহ) চার রাকআত নামাজ আদায় করবে। (মুসলিম শরীফ/ আলফিয়াহ, পৃষ্ঠা: ১০০-১০২)। অজুর সাথে সম্পৃক্ত ২ রাকআত (তাহিয়্যাতুল অজু) ও মসজিদে প্রবেশের সাথে সম্পর্কিত ২ রাকআত (তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখূলুল মসজিদ) জুমুআর দিনে বেশি পড়া হয়। 
জুমার ফরজের শর্ত পূর্ণ হয়েছে কি না? এই সংশয়ে অনেকে ৪ রাকআত ওয়াক্তিয়া জুহর এবং ২ রাকআত আখেরী
জুহরও আদায় করেন। ২ রাকাত নফল পড়েন আবার শোকরিয়া নামায ২ রাকাতও পড়েন অনেকে। সলাতুত তাসবীহ ৪
রাকাতও কেউ কেউ পড়ে থাকেন শুক্রবারে।

জুমার দিনের সুন্নাত আমলসমূহ:

জুমার দিনের সুন্নাত আমলসমূহ হলো: (১) শবে জুমুআহ বা বৃহস্পতিবার দিবাগত শুক্রবার রাতে ঘুমানোর পূর্বে সুরমা ব্যবহার করা, (২) শুক্রবার খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা, (৩) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা, (৪) ফজরের নামাজ জমাআতের সাথে আদায় করা, (৫) কুরআন তিলাওয়াত করা, বিশেষ করে সূরা কাহাফ ও সূরা জুমুআহ তিলাওয়াত করা, (৬) যিকির আযকার বেশি করা, (৭) দুরূদ শরীফ বেশি বেশি পাঠ করা, (৮) নফল ইবাদাত বেশি করা, (৯) শারীরিক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়া ও ক্ষৌর কর্ম করা, (১০) গোঁফ কেটে ছোট করা, (১১) নখ কাটা, (১২) সকালে জুমুআর জন্য গোসল করা, (১৩) গায়ে ও মাথায় তেল ব্যবহার করা, (১৪) নতুন কাপড় বা উত্তম কাপড় পরিধান করা, (১৫) টুপি ও পাগড়ি পরিধান করা, (১৬) সুগন্ধি ব্যবহার করা, (১৭) সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া, (১৮) যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানে বসা, (১৯) সম্ভব হলে ইমামের কাছাকাছি বসা, (২০) নিরবে খুৎবাহ শোনা, (২১) বেহুদা কথাবার্তা না বলা, (২২) অযথা নড়াচড়া না করা, (২৩) সকল মুসলমানের জন্য দোয়া করা, (২৪) দান খয়রাত করা,
(২৫) সদুপদেশ দেওয়া, (২৬) কবর যিয়ারত করা, (২৭) আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা, (২৮) পাড়া
প্রতিবেশিদের খোঁজ খবর নেওয়া।

Header Ad
Header Ad

বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামে রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত, যা শারীরিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে, যারা অতিশয় বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন অথবা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন, যাদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই, তাদের জন্য শরিয়ত সহজ বিধান রেখেছে। এই ধরনের ব্যক্তি রোজা রাখতে বাধ্য নন এবং তাদের জন্য বিকল্প হিসেবে ফিদিয়া প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে।

আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা কুরআনে বলেছেন: "হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকে, তাহলে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আর যাদের জন্য রোজা কষ্টদায়ক, তারা প্রতিদিন একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করবে।" (সূরা বাকারা: ১৮৩-১৮৪)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, এটি বিশেষভাবে অতি বৃদ্ধ নর ও নারীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা রোজা পালনে অক্ষম। তাদের জন্য প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানোর বিধান রয়েছে (বুখারী: ৪৫০৫)।

ফিদিয়া আদায়ের নিয়ম:
যে ব্যক্তি রোজা রাখতে অক্ষম, তিনি প্রতিদিনের জন্য একজন দরিদ্রকে সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ খাবার প্রদান করবেন অথবা সকাল-বিকেল পেট ভরে খাবার খাওয়াবেন। তবে, যদি কেউ স্বেচ্ছায় বেশি দান করতে চান, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে।

ইসলাম একটি সহজ ও সহনশীল ধর্ম। যারা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে অক্ষম, তাদের ওপর আল্লাহ কোনো কঠোরতা চাপিয়ে দেননি। তাদের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া দেওয়া যথেষ্ট, যা ইসলামিক বিধানের সহজ ও বাস্তবসম্মত দিককে প্রতিফলিত করে।

 

Header Ad
Header Ad

শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

ব্রিফ করছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (ইনসটে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি)। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

শিক্ষা সফরের ৪ বাসে টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে শিক্ষা ডাকাতির ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মো. মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রংপুরের শফিকুল ইসলাম শরিফ (১৯), এবং রূপন চন্দ্র ভাট (২৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত ১ টি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারা স্থানীয় ডাকাত হিসেবে পরিচিত। গ্রেফতারকৃতদের মাধ্যমে যাচাই করে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সদর এবং বাসান এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম শরিফ এবং রূপন চন্দ্র ভাটকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুজন বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে। অন্য ৪ জন বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্য ৫ জন গত শনিবার পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থানায় একটি বাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। তাদের শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে টাঙ্গাইলে আনা হবে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতের শেষদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪টি বাসে করে নাটোরের একটি পিকনিক স্পটের দিকে রওনা দেয়। বাসগুলোর মধ্যে প্রায় ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৪০ জন অভিভাবকসহ মোট ১৮০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বাসগুলো টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের ফুলমালির চালা এলাকায় পৌঁছালে, সড়কে গাছ ফেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জন ডাকাত বাসে উঠে ডাকাতি চালায়। এ সময় তারা ১.৫ লাখ টাকা, ১.৫ ভরি স্বর্ণ এবং ১০টি স্মার্টফোন লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মারধরের শিকার হন ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন (২৫) এবং অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার (৩৯)। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

Header Ad
Header Ad

মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৩ মার্চ) বিচারপতি সহিদুল করিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী পারভেজ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০১৫ সালে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল দুদকের পক্ষ থেকে মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়, যেখানে তার নিজের, স্ত্রীর ও নির্ভরশীলদের নামে থাকা সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিবরণী জমা না দেওয়ায় ওই বছরের ১৩ জুন দুদকের উপপরিচালক নূর আহম্মেদ গুলশান থানায় এ মামলা করেন।

হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান এই মামলার সাজা থেকে অব্যাহতি পেলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?
শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার
মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস
সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার  
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন
মিঠাপুকুরে স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ওসির বাড়িতে ডাকাতি: গুলি করে নিয়ে গেছে ৩টি গরু  
ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন দাবি সাংবাদিক ইলিয়াসের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সুজনের মানবেতর জীবন
হিমাগারে আলু রাখতে কেজিতে লাগবে পৌনে ৭ টাকা
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে আগুন, চারজনের মৃত্যু
হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি
আদালতে কাঁদলেন কামাল, বললেন আর আওয়ামী লীগ করব না (ভিডিও)
গাজীপুরে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন, কয়েক কারখানায় ছুটি
পুরো গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা ইসরায়েলের
পলাতক একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. ইউনূস
যাদের হাতে উঠল এবারের অস্কার  
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন আবরার ফাহাদ
পাকিস্তানে গাড়িতে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৬
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া