শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুফতী শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী

জুমার দিনের ফজিলত ও আমল

জুমা শব্দটি আরবি জমা শব্দ থেকে উৎপক্তি। জমা অর্থ হলো একত্রিত হওয়া বা একত্র করা। জমা শব্দের আরেক অর্থ হলো বহু জুমুআহ মানে হলো একত্রিত হওয়ার স্থান বা সময়। ইসলামে শুক্রবারকে ইয়াওমুল জুমুআহ বা জুমা দিবস বলা হয়। জুমার দিনে মুসলিমরা নির্দিষ্ট মসজিদে একত্রিত হন। শুক্রবারে জুমা অনুষ্ঠিত হয় বলে শুক্রবারকে জুমাবার বলা হয়। যেই মসজিদে জুমা অনুষ্ঠিত হয় তাকে মসজিদুল জামে তথা জামে মসজিদ বা জুমা মসজিদ বলা হয়। যে সকল মসজিদে জুমা অনুষ্ঠিত হয় না, সেগুলোকে পাঞ্জেগানা মসজিদ বা ওয়াক্তিয়া মসজিদ বলা হয়। জুমা শব্দটির সাথে জমাআহ বা জমাআত শব্দের স্পর্ক রয়েছে; কারণ জমাআত ছাড়া জুমা হয় না।


কুরআন মজিদে সূরা জুমা নামে একটি সূরা বা অধ্যায় রয়েছে। এতে বলা হয়েছে: “হে মুমিনগণ! জুমুআর দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণ পানে ত্বরা করো (দ্রুত দৌড়াও) এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝো। অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সূরা৬২ জুমুআহ, আয়াত: ৯-১)।

জুমার দিনের তাৎপর্য:

তাফসীরবিদগণ বলেন, সূরা জুমার পূর্বের সূরার নাম হলো সূরা ‘সফ’। সফ অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধভাবে আদায় করা হয় এবং এতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এতে এই ইঙ্গিত রয়েছে। সূরা জুমার পরের সূরা হলো সূরা ‘মুনাফিক‚ন’। এতে এই ইঙ্গিত বিদ্যমান যে, জুমার তরক করা মুনাফিকের লক্ষণ। জুমার নামাজে প্রথম রাকআতে সূরা জুমা ও দ্বিতীয় রাকআতে সূরা মুনাফিক‚ন পড়া সুন্নাত।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি বিনা কারণে জুমা পরিত্যাগ করলো, তাকে মুনাফি হিসেবে তালিকাভুক্ত ও লিপিবদ্ধ করা হয়।’ (ইমাম শাফিয়ী, মিশকাত: ১২১, ফয়জুল কালাম: ৪৬৮, পৃষ্ঠা: ৩৩৩)।

হজরত উমর (রা.) ও হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আমরা শুনেছি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলেছেন: ‘যারা কয়েকটি জুমা ধারাবাহিবভাবে পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তাদের তাদের অন্তরে সীল মোহর করে দিবেন; অতঃপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম শরীফ)। হজরত আবু জাআদ (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি অবজ্ঞা বা অবহেলা করে তিন জুমুআহ পরিত্যাগ করলো, আল্লাহ তার অন্তরে সীল মোহর করে দিবেন। (তিরমিযী, নাসায়ী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)।

মসজিদে নিরবতা প্রসঙ্গ:

হজরত মুআজ ইবনে আনাস জুহানী (র.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে মানুষের ঘাঁড়ের উপর দিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলো, কিয়ামতের দিন তাকে জাহান্নামের পুল বানানো হবে। (তিরমিযী, মিশকাত: ১২২, ফয়জুল কালাম: ৪৭৩, পৃষ্ঠা: ৩৩৬)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমুআর দিনে ইমামের খুৎবাহ প্রদানের সময় যে কথা বললো, সে যেন গাধার মতো যে বোঝা উঠায়। যে তাকে বললো চুপ করো, তারও জুমুআহ নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত: ১২৩, ফয়জুল কালাম: ১৭৪, পৃষ্ঠা: ৩৩৬-৩৩৭)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমুআর দিনে ইমাম খুৎবাহ দেওয়ার সময় যখন তুমি তোমার ভাইকে বললে, চুপ করো; তখন তুমিও বেহুদা কথা বললে।’ (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত: ১২২/ ফয়জুল কালাম: ৪৭১, পৃষ্ঠা: ৩৩৫)।

জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত:

‘হজরত তারেক ইবনে শিহাব (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমা জমাতের সাথে আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ফরজ কর্তব্য; চার প্রকার লোক ছাড়া। কৃতদাস, নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি।’ (আবু দাউদ)। হজরত সালমান (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমার দিনে যে গোসল করলো, সাধ্য মতো পবিত্রতা অর্জন করলো, তেল ব্যবহার করলো, সুগন্ধি ব্যবহার কলো এবং মজিদে গিয়ে কাউকে না ডিঙ্গিয়ে বসলো, নিরবে ইমামের খুৎবাহ শুনলো, অতঃপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করলো; আল্লাহ তাআলা তার দুই জুমুআর মধ্যবর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন।’ (বুখারী শরীফ)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে ভালোভাবে অজু করলো, অতঃপর জুমায় আসলো, মনযোগ দিয়ে খুৎবাহ শুনলো ও চুপচাপ থাকলো, তার এক জুমুআহ থেকে আরেক জুমাহ পর্যন্ত
গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে, অধিকন্তু আরো তিন দিনের। আর যে খুৎকার সময় অকারণ নড়াচড়া করলো, সেও কথা বললো। (মুসলিম, মিশকাত: ১২২, ফয়জুল কালাম: ৪৭২, পৃষ্ঠা: ৩৩৬)।

জুমার দিনে প্রতি কদমে এক বছরের নামাজ ও রোজার সওয়াব:

হজরত আউস ইবনে আউস (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি জুমার দিন জামা কাপড় ধূয়ে গোসল করে, সকাল সকাল মসজিদে গেলো, পায়ে হেঁটে মসজিদে গমনাগমন করলোবাহনে আরোহন করলো না, ইমামের নিকটে বসলো, মনযোগ দিয়ে খুৎবাহ শুনলো, অযথা কাজ করলো না, তার প্রতিটি পদক্ষেপে এক বছরের রোজা ও এক বছরের নামাজের সওয়াব প্রাপ্ত হবে।’ (তিরমিযী, নাসায়ী, আবূ দাঊদ, ইবনে মাজাহ; মিশকাত: ১২২/ ফয়ুল কালাম: ১৭০, পৃষ্ঠা: ৩৩৪-৩৩৫)।

জুমাহ ও খুৎবাহ:

জুমার অন্যতম প্রধান বিষয় হলো খুৎবাহ বা ভাষণ। হাদীস শরীফে আছে, হজরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুটি খুৎবাহ দিতেন, দুই খুৎবার মাঝে বসতেন; খুৎবাহ ও নামাজ উভয়ই হতো সমান। (মুসলিম শরীফ)। প্রথম যুগে জুমুআর নামাজের পরে খুৎবাহ দেওয়া হতো। একদা নবীজি (স.) খুৎবাহ দিচ্ছিলেন এমন সময় বাণিজ্য কাফেলা আসলে অনেকে উঠে চলে যান। ৭ জন মহিলাসহ ১৯ জন বসে থাকেন, এই ১৯ জনের মধ্যে আশারা মুবাশশারা বা ১০ জন বেহেশতের সুসংবাদ প্রাপ্তর ছিলেন। তখন সূরা জুমুআহ এর শেষ আয়াত নাজিল হয়। “তারা যখন কোন ব্যবসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে তখন আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়। বলুন, আল্লাহর কাছে যা আছে, তা ক্রীড়াকৌতুক ও ব্যবসায় অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সর্বোত্তম রিযিকদাতা।” (সূরা-৬২ জুমুআহ, রুক‚: ২, আয়াত: ১১)। এর পর থেকে নবীজি (স.) খুৎবাহ পূর্বেই প্রদান করেন। (তাফসীরে জালালাঈন ও মাআরিফুল কুরআন)।

জুমার দিনের নামাজসমূহ:

জুমার মূল নামায ২ রাকআত। জুমার দিনে জুহর ওয়াক্তে জুহরের নামাজের পরিবর্তে দুই রাকআত জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। এর পূর্বে ৪ রাকআত (কাবলাল জুমুআহ) ও পরে ৪ রাকআত (বাদাল জুমুআহ) পড়া সুন্নাত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার পূর্বে (কাবলাল জুমুআহ) চার রাকাত নামাজ আদায় করতেন এবং জুমুআর পরে (বাদাল জুমুআহ) চার রাকআত নামাজ আদায় করতেন। (তাবরানী/আলফিয়াহ: ৪৩০)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘তোমরা যখন জুমুআর নামাজ আদায় করবে, তার পরে (বাদাল জুমুআহ) চার রাকআত নামাজ আদায় করবে। (মুসলিম শরীফ/ আলফিয়াহ, পৃষ্ঠা: ১০০-১০২)। অজুর সাথে সম্পৃক্ত ২ রাকআত (তাহিয়্যাতুল অজু) ও মসজিদে প্রবেশের সাথে সম্পর্কিত ২ রাকআত (তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখূলুল মসজিদ) জুমুআর দিনে বেশি পড়া হয়। 
জুমার ফরজের শর্ত পূর্ণ হয়েছে কি না? এই সংশয়ে অনেকে ৪ রাকআত ওয়াক্তিয়া জুহর এবং ২ রাকআত আখেরী
জুহরও আদায় করেন। ২ রাকাত নফল পড়েন আবার শোকরিয়া নামায ২ রাকাতও পড়েন অনেকে। সলাতুত তাসবীহ ৪
রাকাতও কেউ কেউ পড়ে থাকেন শুক্রবারে।

জুমার দিনের সুন্নাত আমলসমূহ:

জুমার দিনের সুন্নাত আমলসমূহ হলো: (১) শবে জুমুআহ বা বৃহস্পতিবার দিবাগত শুক্রবার রাতে ঘুমানোর পূর্বে সুরমা ব্যবহার করা, (২) শুক্রবার খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা, (৩) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা, (৪) ফজরের নামাজ জমাআতের সাথে আদায় করা, (৫) কুরআন তিলাওয়াত করা, বিশেষ করে সূরা কাহাফ ও সূরা জুমুআহ তিলাওয়াত করা, (৬) যিকির আযকার বেশি করা, (৭) দুরূদ শরীফ বেশি বেশি পাঠ করা, (৮) নফল ইবাদাত বেশি করা, (৯) শারীরিক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়া ও ক্ষৌর কর্ম করা, (১০) গোঁফ কেটে ছোট করা, (১১) নখ কাটা, (১২) সকালে জুমুআর জন্য গোসল করা, (১৩) গায়ে ও মাথায় তেল ব্যবহার করা, (১৪) নতুন কাপড় বা উত্তম কাপড় পরিধান করা, (১৫) টুপি ও পাগড়ি পরিধান করা, (১৬) সুগন্ধি ব্যবহার করা, (১৭) সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া, (১৮) যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানে বসা, (১৯) সম্ভব হলে ইমামের কাছাকাছি বসা, (২০) নিরবে খুৎবাহ শোনা, (২১) বেহুদা কথাবার্তা না বলা, (২২) অযথা নড়াচড়া না করা, (২৩) সকল মুসলমানের জন্য দোয়া করা, (২৪) দান খয়রাত করা,
(২৫) সদুপদেশ দেওয়া, (২৬) কবর যিয়ারত করা, (২৭) আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা, (২৮) পাড়া
প্রতিবেশিদের খোঁজ খবর নেওয়া।

Header Ad
Header Ad

জেসিও আমিনুল ইসলামের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: আইএসপিআর

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) আমিনুল ইসলামের বক্তব্যকে তার একান্ত ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) আইএসপিআরের পরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক সাইদা তাপসী রাবেয়া লোপা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আমিনুল ইসলাম এসসিপিও (জেসিও)-এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি টিম মোতায়েন করা হয়। এ সময় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের নিকট আমিনুল ইসলাম একটি বিবৃতি প্রদান করেন যা তার একান্ত ব্যক্তিগত মন্তব্য। বিবৃতিটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অফিসিয়াল বিবৃতি নয়।

Header Ad
Header Ad

৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার জানতে চাওয়া হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নাম্বার শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান, ৯৯৯ থেকে কখনোই কোনো ব্যক্তির মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) পিন নম্বর অথবা ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিন নাম্বার জানতে চাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ৯৯৯ নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে থাকে।

মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এ ধরনের প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বিমানের সিটের নিচ থেকে ২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

একের পর এক বিমানের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে মিলছে অবৈধ সোনা। বিমানে এসব সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে দেড় মাস আগেই এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গত ১১ নভেম্বর সংস্থাটির মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের স্বাক্ষরে দেওয়া চিঠিতে দেশি-বিদেশি বিমানে চোরাচালান রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

তবে, এ সতর্কতার পরও বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর বাংলাদেশ বিমানের একটি সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো ২০টি সোনার বার উদ্ধার করে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চোরাচালানের উদ্দেশ্যে উড়োজাহাজের বিভিন্ন অংশে সোনা লুকিয়ে আনা হয়। ধরা পড়লে স্বর্ণ আটক করা হলেও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

তবে, সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের কর্মী বা কর্মকর্তারা জড়িত না থাকলে চোরাচালানের এই পদ্ধতি কার্যকর হওয়া অসম্ভব। তাই এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।

উড়োজাহাজে সোনা লুকানোর জন্য সিটের নিচ, বাথরুম, পাইপের ভেতর, কেটারিং এরিয়া বা লাগেজ সংরক্ষণস্থল ব্যবহৃত হয়। এ ক্ষেত্রে এয়ারলাইনসের কর্মীদের সহযোগিতা থাকার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করে শুল্ক গোয়েন্দা।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আমরা এয়ারলাইনসগুলোকে আগেই সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু এরপরও চোরাচালানের ঘটনা ঘটায় বিমান জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে।

এই ঘটনায় দুবাইফেরত একটি উড়োজাহাজ জব্দ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেসিও আমিনুল ইসলামের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: আইএসপিআর
৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!
আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  
ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি