মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখা ও কোরআন পড়ার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া
তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এ যুগে স্মার্টফোন অতি প্রয়োজনীয় এক বস্তু। বর্তমানে মোবাইল নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। স্মার্টফোনের মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বই এখন হাতের মুঠোয়। মোবাইল ও তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে যেভাবে সুন্দর করছে, একইভাবে এর অপব্যবহারও হয়েছে, হচ্ছে। মোবাইলের ব্যবহারে হালাল-হারামের বিভেদও সুস্পষ্ট।
কেউ মোবাইলে আল্লাহর পবিত্র বাণী কোরআনুল কারিম পাঠ করেন। আবার কেউ অশ্লীল ভিডিও দেখেন। আবার কেউ কেউ একই মোবাইলে দুটোই করে থাকেন। এ সম্পর্কে ইসলামের বিধান কী?
কোরআনুল কারিম তেলাওয়াত করা সওয়াবের কাজ। সেটি মোবাইলে হোক বা সরাসরি কাগজের অক্ষরেই হোক। আর অশ্লীল ভিডিও দেখা জঘন্য অপরাধ।
তবে একই মোবাইলের স্ক্রিনে কখনও কোরআন তেলাওয়াত আবার কখনও অশ্লীল ভিডিও দেখা হলে এ বিষয়ে ইসলামের ভিডিও কী?
এ বিষয়ে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার ওয়েবসাইটে প্রশ্ন করা হয়, মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখার পর কোরআন পড়া বা শোনার বিষয়টি কেমন? মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখার পর কি মোবাইল নাপাক হয়ে যায়? যদি হয়ে যায় তাহলে পবিত্র করার নিয়ম কী?
এর উত্তরে দেওবন্দ মাদ্রাসার ফতোয়া বিভাগ থেকে বলা হয়, মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখা চরম নির্লজ্জপনা ও অপরাধের কাজ। মোবাইলে কোনো অশ্লীল ভিডিও থাকলে তা মুছে ফেলা উচিত। ইন্টারনেটে এ জাতীয় দৃশ্য এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
মোবাইলকে পবিত্র রাখার একমাত্র উপায় হলো–সব ধরনের অবৈধ জিনিস দেখা, শোনা এবং রাখা থেকে সর্বোতভাবে বিরত থাকা। মোবাইলে কোরআন পড়া বা শোনা নাজায়েজ নয়। তবে অশ্লীল ভিডিও দেখা নাজায়েজ। সুতরাং যে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও রয়েছে সে মোবাইল থেকে অশ্লীল ভিডিও ডিলেট করে দেওয়া উচিত।
এসএ/