বেসরকারিভাবে হজে খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা
বেসরকারি এজেন্সিগুলোর ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে মাথাপিছু সর্বনিম্ন খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। এ প্যাকেজের মধ্যে কোরবানির খরচ অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এজন্য প্রত্যেক হজযাত্রীতে আরও ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা ব্যয় করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর হোটেল ভিক্টরিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্যাকেজ ঘোষণা করেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
তিনি হজযাত্রার খাত অনুসারে ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরেন। হাব সভাপতি জানান, বিমান ভাড়া মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬ টাকা, সার্ভিস ও পরিবহন ব্যয় ৪২ হাজার ৬৩৫ টাকা, জমজম পানি ২৯২ টাকা, অন্যান্য সার্ভিস চার্জ ৬২ হাজার ২৩৬ টাকা, লাগেজ পরিবহন ৭২৯ টাকা, ভিসা ফি ৮ হাজার ৩৮৪ টাকা, ইনস্যুরেন্স ২৬৭৩ টাকা, স্থানীয় সার্ভিস চার্জ ১০০০, ক্যাম্প তহবিল ২০০ টাকা, প্রশিক্ষণ ৩০০, খাওয়া ৩২ হাজার টাকা, নিবন্ধন ২০০০ টাকা, মোনাজ্জেম খরচ ৪০০০, হজ গাইড খরচ ১০ হাজার ২৩৮ টাকা। এ ছাড়া প্রত্যেককে কোরবানির টাকা ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা অতিরিক্ত হিসেবে নিতে হবে।
হাব সভাপতি আরও জানান, প্যাকেজের টাকা ১৮ মের মধ্যে জমা দিতে হবে। এজেন্সির ব্যাংক হিসাব অথবা টাকা জমা দেওয়ার রশিদ গ্রহণ করতে হবে। হজ ফ্লাইট পরিচালনায় ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে দেশে সব হজ যাত্রীদের দেশে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।
এর আগে ১১ মে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে দুটি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনের ক্ষেত্রে একটি প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা। এ বছর প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে এক লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে ১ লাখ ২ লাখ ১৫০ টাকা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।
এপি/এমএমএ/