শাকিল ইসলাম এর কবিতা 'চারন কবি যজ্ঞা'
চারণ কবি মুকুন্দদাস গানে-গানে,
স্বাধীনতার জয়গান গেয়েছে মনেপ্রাণে;
ব্যক্ত করেছে দেশপ্রেমের জয় গানে,
মুক্ত করবে মাহাত্ম্যকথার হৃদয় বানে।
রবী ঠাকুর মুকুন্দদাসের কণ্ঠ শুনে,
দেশমাতৃকার খাঁটি সন্তান সে কন্ঠগুনে;
পড়াশোনায় ইতি টেনে মুদি দোকানে,
পাড়ার ছেলেদের গুণ্ডামিতে সঙ্গোপনে।
উনিশ বছর বয়সে যোগ দেন ভ্রমে,
বীরেশ্বর গুপ্তের কীর্তনের দলে ক্রমে;
নিজেই কীর্তনের দল গড়ে পর্যায়ক্রমে,
সঙ্গীত প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বীরবিক্রমে।
দেশের দুর্দিনে আজ এসছিরে যজ্ঞা,
মায়ের চোখের জল মোছাতে প্রতিজ্ঞা ;
জজ্ঞা চারণের ভূমিকায় গঞ্জে-গ্রামে,
মেতে উঠলেন স্বদেশী গানে পালাক্রমে৷
স্বদেশী যাত্রাপালা দেখে অভিনয়,
জেগেছিল জাতীয়তাবোধ এই সময়;
স্বাধীনতার অদম্য স্পৃহা জাগানোয়,
রাত জেগে রচনা করেছিলেন অগ্নিময়।
দেশদ্রোহিতার অজুহাত দেখিয়ে তারে,
ইংরেজ সরকার আটক করে যজ্ঞারে;
জামিনে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকারে,
তবুও অবিরত মুকুন্দদাস দেশের তরে।
বিপ্লবী সন্তান সে ভারত তথা বাংলায়,
বিদ্রোহী কবি তাঁকে চারণকবি আখ্যায়,
চারণ মুকুন্দদাস প্রজন্মের প্রয়োজনে,
কবি-লেখক-গায়ক-নাট্য সব নির্বাসনে।
ডিএসএস/