জীবিত লাশের সংগ্রাম
বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের যে হারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এতে মধ্যবিত্ত পরিবার এবং নিম্নবিত্ত ( দিন এনে দিন খায়) পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ৷ বর্তমান দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াই জনসাধারণ যে হারে আয়- রোজগার করছে তাতে করে বর্তমান খরচ মেটানো খুবই দুলর্ভ।
এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে মানুষ না খেতে পেরে মারা যাবে। হয়তো কত হতদরিদ্র মানুষের ঘরে জ্বলছে না চুলো। হাহাকারে কাঁদছে তাদের শিশু একটুখানি খাবারের জন্য। অসহায় পিতা - মাতা হয়তো অশ্রুসিক্ত হয়ে দোষ দিচ্ছে নিজেদের, কেন এই অসহায়ের ঘরে জন্ম নিলো শিশু।
আমরা যদি বর্তমান প্রেক্ষাপট দেখি তাহলে দেখবো প্রতিটি ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিশেষ করে পরিবহন খরচ বাড়াই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীরও দাম বাড়ছে। যা ক্রয় করা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য। তাই এখন সাধারণ মানুষ হচ্ছে জীবিত লাশের মতো, প্রাণ থাকা সত্ত্বেও এই দুনিয়ায় বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কিংবা দালাল শ্রেণীর লোকেদের কারণে যেন এই সংকট বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষের এখন যেন 'আয় - ব্যয়ের 'হিসাব মিলে না। যে পরিমাণ আয় করে তারা, সে তুলনায় দিনদিন যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে।
জীবিত লাশের মতো প্রতিনিয়ত কতো মানুষকে লড়াই করে যেতে হয় জীবন সংগ্রামে। জীবন থাকা সত্ত্বেও তাদের জন্য এই পৃথিবীটা কঠিন। কতো কঠিন দিন তারা পার করে এই আশাতে যে, একদিন তারাও প্রাণখুলে হাসবে। সন্তানের মুখে তাদের পছন্দের খাবার তুলে দিবে।
জীবন বিচিত্র্য তবু জীবন সুন্দর,
জীবন সংগ্রামে জয়ী হোক সকল লোক।
ডিএসএস/