লিটন আব্বাস এর কবিতা 'চৈতি দুপুর'
এই চৈতি দুপুর-বাহেস বাতাস
বন্ধু থাকে বহুদূর!
ঝড়োমেঘের আঁশটে অন্ধকার
বিদ্যুৎচ্চমকের বৈরী আলোয়
কেবলই দেখি বন্ধু তোমার মুখটি
আমোদে-আপদে, দু:খসুখে
স্বপনশয্যায় তোমাকেই পাশে দেখি
বন্ধু যেওনা ছেড়ে সুখের মাদুর
সোনালী ক্ষেতের বারুদে জড়িন পাড়ে
দেখো হুল ফোটায় অনবরত হলুদে ফড়িং
তারে না যায় ধরা; না যায় ছোঁয়া
তবু এমন দুষ্টু ফড়িংয়ের উড়াউড়ি
আর দুষ্টু বাতাসে চলো জুড়িয়ে নিই আগুনবসন্তে সকল ক্ষেপ
স্পর্শের বাহিরে কেবল যতো হিসেব---যতোক্রিয়া; প্রতারণার ফাঁদে সরল ঘুঘুর দল চিরকাল পরে মরে আটকে চিরদিন নিষ্পেষিত হয়!
এতো সব হিসেব বাদ দিয়ে সরল মনে
সকল ক্রিয়া, সকলপদ পঙতির কাছে
ঋণ রেখে চলো ঋতুরাজের রেসকোর্সে অংশগ্রহণ করি!
এই চৈতীদুপুর আর বাহেস বাতাসে
বন্ধু তুমি বৈরীমুখর হয়ো না বরং গরমতৃষ্ণায় এসো পুণ্যপাণের পান খাই
এসো তৃষ্ণা মেটাই উর্বরযমীনে
ফাটা লাল তরমুজের মিষ্টিমুখে
মুখ দিয়ে, দাঁত দিয়ে দগ্ধদুপুরকে
আরাম দিই; দেখো সকল দিকে
কেমন যুদ্ধ যুদ্ধ ভয়,
কেমন নিরীহ মানুষের কান্না, চারদিকে শুধুই লাল এবং লাল রক্তের আর্তনাদ!
তুমুলযুদ্ধের বিরতির ফাঁকে ফাঁকে
চলো শর্তহীন সকল তৃষ্ণা মেটাই
ডিএসএস/