পথশিশুদের আস্থার নাম খুকুমণি ফাউন্ডেশন
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য উন্নত ও সুরক্ষিত শৈশব নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে ২০১৬ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনসুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন খুকুমণি ফাউন্ডেশন।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অতীতে ফিরে যান মনসুর। মনে করেন সেই ঘটনাটি। যা তার জীবন কে বদলে দেয়। সেদিন মনসুর তরমুজ খেয়ে খোসা ফেলে দিয়েছিলেন যা কুড়িয়ে নিয়ে একটা পথশিশু খাওয়া শুরু করে দিয়েছিল। যে ঘটনাটি মনসুরের মনে দাগ কেটে দিয়ে যায়। শিশুদের নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
এই ঘটনার পর তিনি অসহায় শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের জন্য নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা শুরু করেন। সংস্থাটির পাঁচটি 'খুকুমণি' স্কুল রয়েছে, যেখানে ৫০০ এরও বেশি শিশু বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে। তারা রাজশাহী, রংপুর ও বরিশালে তিনটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে।
‘সবার জন্য খাদ্য’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দলটি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করছে। তাদের স্বেচ্ছাসেবীরা বস্তিবাসীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য প্রচারাভিযানও পরিচালনা করে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করার কারণে এই লোকদের স্বাস্থ্য পরামর্শের প্রকৃত প্রয়োজন। এটি একটি মাসিক প্রকল্প এবং আমরা এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০,০০০ মানুষের কাছে পৌঁছেছি।
সকাল কিংবা রাত শীত কিংবা বর্ষা সবসময়ই দেখা যায় পথের ধারে, পার্ক, বস্তি অথবা স্বস্তা শ্রমে অযত্ন অবহেলায় বড় হচ্ছে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশুরা। যেখানে নেই তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা, বসবাসের উপযোগী কোনো বাসস্থান, পুষ্টিকর খাবার, শিক্ষার ব্যবস্থা কিংবা পরনে নেই ভালো কোনো কাপড়, সেখানে কীভাবে তারা আগামী দিনের সম্পদরূপে পরিণত হবে? এমন বিষয়টি ভাবতে হবে আমাদের সচেতন মহলের।
এনএইচবি/এমএমএ/