বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্যার ম্যাডাম বিতর্ক: সামন্তযুগে বাংলাদেশ

কে মালিক? কে প্রভু? কে সরকারি? কে বেসরকারি? কে স্যার? কে ম্যাডাম? এই বিতর্ক আবার আমাদের সামনে নতুন করে নতুনভাবে পুরোনো মোড়কে সামনে এসেছে। সরকারি কর্মকর্তারা সার বা ম্যাডাম নয় শুধু শিক্ষকরা স্যার ম্যাডাম এ কথাটি আমাদের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে প্রায় দু বছর আগেই। সরকারি কোন ঘোষণা প্রজ্ঞাপণ ছাড়া আদতে এর কোন সমাধান আছে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও এই স্যার সাহেব, বাবু, মহাশয় ডাকাডাকি নিয়ে এই চিৎকার কতটা প্রাসঙ্গিক সেটা অনুসন্ধানের দাবি রাখে।

উপনিবেশিক আমলের রাজ-কর্মচারীকে সমীহ করে স্যার ডাকার সংস্কৃতি ছিল। কারণ তারা ছিল অত্যাচারী, নির্যাতক, এই ডাক তাদের জন্য রহমত নিয়ে আসতো। শুধু এই ভয়ে আমজনতা তাদের স্যার ডাকতো বলে শোনা যায় কিন্তু‘ স্যার শব্দের সাথে যে ভালোবাসানিসৃত হয়ে এই শব্দকে শক্তিশালী করে তোলে সেটা নিতান্তই শ্রদ্ধার। আর এই শ্রদ্ধা আপনি জোর করে পাবেন না, এটা ভিতরের ব্যাপার। ঔপনিবেশিক আমলের দুই পর্ব শেষ করে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের ধারণার মধ্যে যে সার্বজনীন ঘোষণা আছে সেখানে স্যার ঢাকার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। কেননা দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের (৭) ১ অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। অন্যদিকে সংবিধানের (২১) ২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে জড়িত কর্মচারীরা হলেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। বাংলায় বুঝতে সমস্যা হলে ইংরেজি ভার্শনে এই কথাটি স্পষ্ট করে বলা আছে। ইংরেজিতেই আছে সবচাইতে ভালো সমাধান পাবলিক সার্ভেন্ট আর আর এটাই বাংলার সরল অনুবাদ। ১৯৭২ সালেও সরকারি কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ভাষণ আজ আমরা ভুলতে বসেছি। সত্য বলতে দেশ এখনো টিকে আছে মেহনতী মানুষের অবদানের উপর ভর করে। তাদের শ্রমে ঘামে যাদের বেতন, বোনাস, তাদের প্রতি এই অবজ্ঞা, অপমান দেশের প্রশাসন যন্ত্রনিয়ে এক চরম অনিশ্চয়তা ইঙ্গিত দেয়। রাজ-কর্মচারীরা নিজেদের সবচেয়ে মেধাবী ভেবে থাকেন, অবশ্য ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার থেকে নয় তাহলে তারা এটা কেন বোঝেন না সেবা প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি চেয়ারে বসে আছেন প্রকৃত অর্থে সেই চেয়ারের মালিক তিনি নন এটা তিনি না বুঝলেও অন্তত আমরা এটা বুঝি। সক্রেটিসের সেই কথাটিই আজ বড়বেশি প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয় “মুর্খের সবচাইতে বড় সমস্যা হলো সে যে আসলে মূর্খ এটা না জানা” আবার সে যে কিছুই জানেনা সে কথাটাই আসলে সে জানে না। আর আমরা কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের সেই গানের কথাতো জানিই“ আমি সরকারি অফিসার আমি এ যুগের জমিদার”। পুর্বের জমিদার আর সামন্ত প্রভূদের জায়গা নিতে চাই আজকের আধুনিক আমলাতন্ত্র। সবচেয়ে বড় কথা বিগত দশকগুলো বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেভাবে আমলাতন্ত্রে বিকাশ হয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে আশ্রয় করে সেখানে পাল্টে গেছে মৌলিক ধারণা। এক সময় রাজনীতি ও প্রশাসন প্রতিপক্ষ থাকলেও হাল আমলে তারা এক অন্যের সহযোগী। জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের তকমার অভ্যন্তরে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারী জনগণের সেবক এবং তারা কখনোই সেবক হয়ে মনিবের জায়গা নিতে পারেনা, ১৯৭১ পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র মূল ভিত্তিই ছিল এটাই। বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর কামরুল হাসান মামুন বলেছিলেন “রাষ্ট্রের মানসিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে যতদিন এটা ঠিক না হবে ততদিন শিক্ষা ও চেতনা মেরামত সম্ভব নয়। যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আছেন তারা নিজেকে শিক্ষকদের বস ভাবেন, সচিবালয়ে যারা আছেন তারাও সেটাইভাবে আসলে শিক্ষকদের কোন বস থাকতে পারে না”।

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মানসিকতার কাছে দাস মনিবের পার্থক্য আছে উল্টো পথে। এটা জ্ঞান আর চেতনার দৈন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। রাজনৈতিক ক্ষমতার ছত্র ছায়ায় এদেশে আমলাতন্ত্রের বিকাশ অনেকটা সাম্রাজ্যবাদী যুগের মতই, আর এখানেই যত সমস্যা নতুন দেশে পুরনো কালচার। পাকিস্তান পর্বে আমলাদের যে মেজাজ , মনন ছিল তার পুণরাবৃত্তি ঘটছে বারে বারে। দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয় তবে, সেরা মেধাবীরা অবশ্যই নয়। তবে যাদের টাকায় তার বেতন হয় তাদের গুরুত্ব না বোঝার মত মেধা তাদের নেই এটা অবান্তর। প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে তা দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে শপথ বাক্য পাঠ করানোর সময় এটা স্পষ্ট করে বলা হয় যে দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। তারা সেবক মাত্র । এই সেবক যখন মনিব সাজতে যায় তখনই দেখা দেয় যত বিপত্তি। কিন্তু কেন এমন হলো। প্রশাসন ও রাজনীতিতে যা হয়েছে আগে তা হয়নি, আগে রাজনীতিতে ভুল হলে জনগণ, প্রশাসন, সমালোচনা করে তাদের সঠিক পথে চলতে সহায়তা করত। প্রশাসনে ভুল হলে রাজনীতিবিদরা সমালোচনা করত আর এখন নীতি নির্ধারক আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা একে অন্যের সমালোচনার বিপরীতে সহযোগিতার মানসিকতা ফুটে উঠেছে। এক অদৃশ্য আঁতাতে তাদের মধ্যে এই অতিরঞ্জিত ক্ষমতা চর্চা সমীহ জাগানিয়া অভিপ্রায় দেখা দিয়েছে। প্রশাসন মনে করে তারা সব পারে, তারা জনগণের বস, জনগণ তাদের কাছে নস্যি। আধুনিককালের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মেকিয়াভেলি যথার্থই বলেছেন মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই স্বার্থপর, অর্থ, ও ক্ষমতালিপ্সু। কিন্তু ক্ষমতা, ও টাকার মধ্যে যে একটা নিজস্ব গরম আছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের দেশের তথাকথিত আমলাদের অবস্থা এখন সেটাই মনে হচ্ছে। প্রশাসকদের সামাজিক দাপটের এই প্রাদুর্ভাব কে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম নেতিবাচক ভাবেই দেখেছেন। তার ভাষ্যমতে চারিদিকে শুধুই প্রশাসক আর প্রশাসক। ক্ষমতা প্রদর্শন আর অর্থের দখল নেওয়ার সমূহ সুযোগই তৈরি করেছে এই প্ল্যাটফর্ম। তাহলে যে পরিমাণ মেধা প্রজ্ঞা আর ধীশক্তি থাকলে ওয়েলফেয়ার স্টেস্টে প্রশাসন যন্ত্র জনমুখি হয় এটা কি তাহলে তাদের মধ্যে কমতি দেখা দিয়েছে! আধুনিককালের রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণাকে কেন্দ্র করে। এখানে রাষ্ট্রের জন্য জনগণ নয়, বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস নয়। এটা আমাদের রাষ্ট্র, সামাজিক রাষ্ট্র, এই রাষ্ট্র জনগণের। জনগণই এখানে ক্ষমতার মূল উৎস। আর এই দর্শন বাস্তবায়নের জন্য ঔপনিবেশিক মাসসিকতা পরিবর্তন করে নতুন করে নির্মাণ করাটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। জয় হোক জনগণের জয় হোক সকল শুভবোধের।

গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষা গবেষক

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’