মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্যার ম্যাডাম বিতর্ক: সামন্তযুগে বাংলাদেশ

কে মালিক? কে প্রভু? কে সরকারি? কে বেসরকারি? কে স্যার? কে ম্যাডাম? এই বিতর্ক আবার আমাদের সামনে নতুন করে নতুনভাবে পুরোনো মোড়কে সামনে এসেছে। সরকারি কর্মকর্তারা সার বা ম্যাডাম নয় শুধু শিক্ষকরা স্যার ম্যাডাম এ কথাটি আমাদের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে প্রায় দু বছর আগেই। সরকারি কোন ঘোষণা প্রজ্ঞাপণ ছাড়া আদতে এর কোন সমাধান আছে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও এই স্যার সাহেব, বাবু, মহাশয় ডাকাডাকি নিয়ে এই চিৎকার কতটা প্রাসঙ্গিক সেটা অনুসন্ধানের দাবি রাখে।

উপনিবেশিক আমলের রাজ-কর্মচারীকে সমীহ করে স্যার ডাকার সংস্কৃতি ছিল। কারণ তারা ছিল অত্যাচারী, নির্যাতক, এই ডাক তাদের জন্য রহমত নিয়ে আসতো। শুধু এই ভয়ে আমজনতা তাদের স্যার ডাকতো বলে শোনা যায় কিন্তু‘ স্যার শব্দের সাথে যে ভালোবাসানিসৃত হয়ে এই শব্দকে শক্তিশালী করে তোলে সেটা নিতান্তই শ্রদ্ধার। আর এই শ্রদ্ধা আপনি জোর করে পাবেন না, এটা ভিতরের ব্যাপার। ঔপনিবেশিক আমলের দুই পর্ব শেষ করে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের ধারণার মধ্যে যে সার্বজনীন ঘোষণা আছে সেখানে স্যার ঢাকার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। কেননা দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের (৭) ১ অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। অন্যদিকে সংবিধানের (২১) ২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে জড়িত কর্মচারীরা হলেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। বাংলায় বুঝতে সমস্যা হলে ইংরেজি ভার্শনে এই কথাটি স্পষ্ট করে বলা আছে। ইংরেজিতেই আছে সবচাইতে ভালো সমাধান পাবলিক সার্ভেন্ট আর আর এটাই বাংলার সরল অনুবাদ। ১৯৭২ সালেও সরকারি কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ভাষণ আজ আমরা ভুলতে বসেছি। সত্য বলতে দেশ এখনো টিকে আছে মেহনতী মানুষের অবদানের উপর ভর করে। তাদের শ্রমে ঘামে যাদের বেতন, বোনাস, তাদের প্রতি এই অবজ্ঞা, অপমান দেশের প্রশাসন যন্ত্রনিয়ে এক চরম অনিশ্চয়তা ইঙ্গিত দেয়। রাজ-কর্মচারীরা নিজেদের সবচেয়ে মেধাবী ভেবে থাকেন, অবশ্য ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার থেকে নয় তাহলে তারা এটা কেন বোঝেন না সেবা প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি চেয়ারে বসে আছেন প্রকৃত অর্থে সেই চেয়ারের মালিক তিনি নন এটা তিনি না বুঝলেও অন্তত আমরা এটা বুঝি। সক্রেটিসের সেই কথাটিই আজ বড়বেশি প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয় “মুর্খের সবচাইতে বড় সমস্যা হলো সে যে আসলে মূর্খ এটা না জানা” আবার সে যে কিছুই জানেনা সে কথাটাই আসলে সে জানে না। আর আমরা কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের সেই গানের কথাতো জানিই“ আমি সরকারি অফিসার আমি এ যুগের জমিদার”। পুর্বের জমিদার আর সামন্ত প্রভূদের জায়গা নিতে চাই আজকের আধুনিক আমলাতন্ত্র। সবচেয়ে বড় কথা বিগত দশকগুলো বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেভাবে আমলাতন্ত্রে বিকাশ হয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে আশ্রয় করে সেখানে পাল্টে গেছে মৌলিক ধারণা। এক সময় রাজনীতি ও প্রশাসন প্রতিপক্ষ থাকলেও হাল আমলে তারা এক অন্যের সহযোগী। জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের তকমার অভ্যন্তরে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারী জনগণের সেবক এবং তারা কখনোই সেবক হয়ে মনিবের জায়গা নিতে পারেনা, ১৯৭১ পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র মূল ভিত্তিই ছিল এটাই। বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর কামরুল হাসান মামুন বলেছিলেন “রাষ্ট্রের মানসিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে যতদিন এটা ঠিক না হবে ততদিন শিক্ষা ও চেতনা মেরামত সম্ভব নয়। যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আছেন তারা নিজেকে শিক্ষকদের বস ভাবেন, সচিবালয়ে যারা আছেন তারাও সেটাইভাবে আসলে শিক্ষকদের কোন বস থাকতে পারে না”।

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মানসিকতার কাছে দাস মনিবের পার্থক্য আছে উল্টো পথে। এটা জ্ঞান আর চেতনার দৈন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। রাজনৈতিক ক্ষমতার ছত্র ছায়ায় এদেশে আমলাতন্ত্রের বিকাশ অনেকটা সাম্রাজ্যবাদী যুগের মতই, আর এখানেই যত সমস্যা নতুন দেশে পুরনো কালচার। পাকিস্তান পর্বে আমলাদের যে মেজাজ , মনন ছিল তার পুণরাবৃত্তি ঘটছে বারে বারে। দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয় তবে, সেরা মেধাবীরা অবশ্যই নয়। তবে যাদের টাকায় তার বেতন হয় তাদের গুরুত্ব না বোঝার মত মেধা তাদের নেই এটা অবান্তর। প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে তা দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে শপথ বাক্য পাঠ করানোর সময় এটা স্পষ্ট করে বলা হয় যে দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। তারা সেবক মাত্র । এই সেবক যখন মনিব সাজতে যায় তখনই দেখা দেয় যত বিপত্তি। কিন্তু কেন এমন হলো। প্রশাসন ও রাজনীতিতে যা হয়েছে আগে তা হয়নি, আগে রাজনীতিতে ভুল হলে জনগণ, প্রশাসন, সমালোচনা করে তাদের সঠিক পথে চলতে সহায়তা করত। প্রশাসনে ভুল হলে রাজনীতিবিদরা সমালোচনা করত আর এখন নীতি নির্ধারক আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা একে অন্যের সমালোচনার বিপরীতে সহযোগিতার মানসিকতা ফুটে উঠেছে। এক অদৃশ্য আঁতাতে তাদের মধ্যে এই অতিরঞ্জিত ক্ষমতা চর্চা সমীহ জাগানিয়া অভিপ্রায় দেখা দিয়েছে। প্রশাসন মনে করে তারা সব পারে, তারা জনগণের বস, জনগণ তাদের কাছে নস্যি। আধুনিককালের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মেকিয়াভেলি যথার্থই বলেছেন মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই স্বার্থপর, অর্থ, ও ক্ষমতালিপ্সু। কিন্তু ক্ষমতা, ও টাকার মধ্যে যে একটা নিজস্ব গরম আছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের দেশের তথাকথিত আমলাদের অবস্থা এখন সেটাই মনে হচ্ছে। প্রশাসকদের সামাজিক দাপটের এই প্রাদুর্ভাব কে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম নেতিবাচক ভাবেই দেখেছেন। তার ভাষ্যমতে চারিদিকে শুধুই প্রশাসক আর প্রশাসক। ক্ষমতা প্রদর্শন আর অর্থের দখল নেওয়ার সমূহ সুযোগই তৈরি করেছে এই প্ল্যাটফর্ম। তাহলে যে পরিমাণ মেধা প্রজ্ঞা আর ধীশক্তি থাকলে ওয়েলফেয়ার স্টেস্টে প্রশাসন যন্ত্র জনমুখি হয় এটা কি তাহলে তাদের মধ্যে কমতি দেখা দিয়েছে! আধুনিককালের রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণাকে কেন্দ্র করে। এখানে রাষ্ট্রের জন্য জনগণ নয়, বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস নয়। এটা আমাদের রাষ্ট্র, সামাজিক রাষ্ট্র, এই রাষ্ট্র জনগণের। জনগণই এখানে ক্ষমতার মূল উৎস। আর এই দর্শন বাস্তবায়নের জন্য ঔপনিবেশিক মাসসিকতা পরিবর্তন করে নতুন করে নির্মাণ করাটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। জয় হোক জনগণের জয় হোক সকল শুভবোধের।

গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষা গবেষক

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সরবরাহ আইন (কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট আইন) প্রণয়ন করে দায়মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে এই খাতে লুটপাটের মডেল তৈরি হয়। গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনায় ঘুষ, কমিশন, এবং অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতার কারণে জনগণের ওপর ৭২ হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপানো হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৫,৭০০ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩২,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এ সময়ে শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ প্রকল্প দ্রুত সরবরাহ আইনের আওতায় অনুমোদন পাওয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ বন্ধ ছিল।

বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ৩০ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে লুট হয়েছে।

মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০,০০০ মেগাওয়াট ধরা হলেও, পরে এই লক্ষ্যমাত্রা ৪০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করায় অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি হয়। এই অতিরিক্ত সক্ষমতার জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার অপচয় হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেছেন, “উচ্চমাত্রার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এর ফলে জনগণের কাঁধে ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয়ের বোঝা চেপেছে।”

শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণ এবং মিটার কেনাকাটায় বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবে এসব খাতে দুর্নীতির বিস্তারিত চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতে এ ধরনের দুর্নীতি অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের ফলে জনগণকে অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হয়েছে।

প্রস্তাবিত সমাধান:

- বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি কমাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে প্রকল্প অনুমোদন।
- দায়মুক্তি আইন বাতিল করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- শ্বেতপত্রে বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ।
- অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা বন্ধ এবং বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ।

বিদ্যুৎ খাতের এই সংকট উত্তরণে জনসাধারণ, বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মো. নাজির উদ্দিন কার্তিক (২৫) আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) বিজিবি সদস্যরা গোমস্তাপুর উপজেলার কেতাব বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ১৬ বিজিবির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগাবাড়ি বিজিবির নিয়মিত টহল দল মঙ্গলবার সকালে সীমান্ত পিলার ২০৪/এমপি হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যান্তরে কেতাব বাজার এলাকায় টহল পরিচালনা করছিলেন। টহল দেওয়ার সময় একজন ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন বক্তব্য দিতে থাকেন। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন তিনি ভারতীয় নাগরিক। ওই ব্যক্তির ভাষ্যমতে তাঁর নাম, নাজির উদ্দিন কার্তিক। তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের কাঠিয়ার জেলার আবাদপুর থানার গাবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তল্লাশী করে ওই ব্যক্তির কাছ ভারতীয় ১০ রুপি এবং বাংলাদেশী ২৫০ টাকা পাওয়া গেছে। তাঁর কাছ থেকে কোনো পাসপোর্ট বা বৈধ ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম চলমান আছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ভ্রমণ ও চিকিৎসার কাজে যাওয়া বাংলাদেশিরা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং বিজেপি সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচি ঘিরে এই হয়রানির মাত্রা বেড়ে গেছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে আগরতলায় হোটেল ভাড়া না পেয়ে বাংলাদেশি পর্যটকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা ফরিদ মিয়া জানান, হোটেল ভাড়া নেওয়ার পর মুসলিম এবং বাংলাদেশি হওয়ায় তাকে এক ঘণ্টার মধ্যেই হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে শহরের বাইরে আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান এবং পরদিন দেশে ফিরে আসেন।

আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্ত পারাপারের সময় বাংলাদেশিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হচ্ছে। আখাউড়া স্থলবন্দরে ফিরে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান শিলচরে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে জামদানি শাড়ির একটি স্টল দিয়েছিলেন। সেখানে একদল যুবক "জয় শ্রী রাম" স্লোগান দিয়ে তার দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দোকান ভাঙচুর করে এবং সমস্ত টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাবের বিন জব্বার জানিয়েছেন, সীমান্তে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশিরা এমন হয়রানি ও বৈষম্যমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এর সমাধানের জন্য দুই দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা মমতা বোঝেন কিনা, নিশ্চিত নই: শশী থারুর
যমুনার চর কেটে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
২০২৩ সালে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলায়
শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ভারত : রিজভী
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে জরুরি তলব
সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, এসএসসি পাসেই আবেদনের সুযোগ
এস আলম পরিবারের ৩৫০ ব্যাংক হিসাবের সন্ধান
২৮ বিয়ে প্রসঙ্গে যা বললেন নায়িকা রোমানা
বাংলাদেশিদের সেবা দেবে না ত্রিপুরার কোনো হোটেল–রেস্তোরাঁ
ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন
‘বাংলাদেশি কনস্যুলেটে হামলা প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে’
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭