সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

স্যার ম্যাডাম বিতর্ক: সামন্তযুগে বাংলাদেশ

কে মালিক? কে প্রভু? কে সরকারি? কে বেসরকারি? কে স্যার? কে ম্যাডাম? এই বিতর্ক আবার আমাদের সামনে নতুন করে নতুনভাবে পুরোনো মোড়কে সামনে এসেছে। সরকারি কর্মকর্তারা সার বা ম্যাডাম নয় শুধু শিক্ষকরা স্যার ম্যাডাম এ কথাটি আমাদের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে প্রায় দু বছর আগেই। সরকারি কোন ঘোষণা প্রজ্ঞাপণ ছাড়া আদতে এর কোন সমাধান আছে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও এই স্যার সাহেব, বাবু, মহাশয় ডাকাডাকি নিয়ে এই চিৎকার কতটা প্রাসঙ্গিক সেটা অনুসন্ধানের দাবি রাখে।

উপনিবেশিক আমলের রাজ-কর্মচারীকে সমীহ করে স্যার ডাকার সংস্কৃতি ছিল। কারণ তারা ছিল অত্যাচারী, নির্যাতক, এই ডাক তাদের জন্য রহমত নিয়ে আসতো। শুধু এই ভয়ে আমজনতা তাদের স্যার ডাকতো বলে শোনা যায় কিন্তু‘ স্যার শব্দের সাথে যে ভালোবাসানিসৃত হয়ে এই শব্দকে শক্তিশালী করে তোলে সেটা নিতান্তই শ্রদ্ধার। আর এই শ্রদ্ধা আপনি জোর করে পাবেন না, এটা ভিতরের ব্যাপার। ঔপনিবেশিক আমলের দুই পর্ব শেষ করে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের ধারণার মধ্যে যে সার্বজনীন ঘোষণা আছে সেখানে স্যার ঢাকার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। কেননা দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের (৭) ১ অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। অন্যদিকে সংবিধানের (২১) ২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে জড়িত কর্মচারীরা হলেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। বাংলায় বুঝতে সমস্যা হলে ইংরেজি ভার্শনে এই কথাটি স্পষ্ট করে বলা আছে। ইংরেজিতেই আছে সবচাইতে ভালো সমাধান পাবলিক সার্ভেন্ট আর আর এটাই বাংলার সরল অনুবাদ। ১৯৭২ সালেও সরকারি কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ভাষণ আজ আমরা ভুলতে বসেছি। সত্য বলতে দেশ এখনো টিকে আছে মেহনতী মানুষের অবদানের উপর ভর করে। তাদের শ্রমে ঘামে যাদের বেতন, বোনাস, তাদের প্রতি এই অবজ্ঞা, অপমান দেশের প্রশাসন যন্ত্রনিয়ে এক চরম অনিশ্চয়তা ইঙ্গিত দেয়। রাজ-কর্মচারীরা নিজেদের সবচেয়ে মেধাবী ভেবে থাকেন, অবশ্য ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার থেকে নয় তাহলে তারা এটা কেন বোঝেন না সেবা প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি চেয়ারে বসে আছেন প্রকৃত অর্থে সেই চেয়ারের মালিক তিনি নন এটা তিনি না বুঝলেও অন্তত আমরা এটা বুঝি। সক্রেটিসের সেই কথাটিই আজ বড়বেশি প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয় “মুর্খের সবচাইতে বড় সমস্যা হলো সে যে আসলে মূর্খ এটা না জানা” আবার সে যে কিছুই জানেনা সে কথাটাই আসলে সে জানে না। আর আমরা কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের সেই গানের কথাতো জানিই“ আমি সরকারি অফিসার আমি এ যুগের জমিদার”। পুর্বের জমিদার আর সামন্ত প্রভূদের জায়গা নিতে চাই আজকের আধুনিক আমলাতন্ত্র। সবচেয়ে বড় কথা বিগত দশকগুলো বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেভাবে আমলাতন্ত্রে বিকাশ হয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে আশ্রয় করে সেখানে পাল্টে গেছে মৌলিক ধারণা। এক সময় রাজনীতি ও প্রশাসন প্রতিপক্ষ থাকলেও হাল আমলে তারা এক অন্যের সহযোগী। জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের তকমার অভ্যন্তরে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারী জনগণের সেবক এবং তারা কখনোই সেবক হয়ে মনিবের জায়গা নিতে পারেনা, ১৯৭১ পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র মূল ভিত্তিই ছিল এটাই। বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর কামরুল হাসান মামুন বলেছিলেন “রাষ্ট্রের মানসিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে যতদিন এটা ঠিক না হবে ততদিন শিক্ষা ও চেতনা মেরামত সম্ভব নয়। যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আছেন তারা নিজেকে শিক্ষকদের বস ভাবেন, সচিবালয়ে যারা আছেন তারাও সেটাইভাবে আসলে শিক্ষকদের কোন বস থাকতে পারে না”।

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মানসিকতার কাছে দাস মনিবের পার্থক্য আছে উল্টো পথে। এটা জ্ঞান আর চেতনার দৈন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। রাজনৈতিক ক্ষমতার ছত্র ছায়ায় এদেশে আমলাতন্ত্রের বিকাশ অনেকটা সাম্রাজ্যবাদী যুগের মতই, আর এখানেই যত সমস্যা নতুন দেশে পুরনো কালচার। পাকিস্তান পর্বে আমলাদের যে মেজাজ , মনন ছিল তার পুণরাবৃত্তি ঘটছে বারে বারে। দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয় তবে, সেরা মেধাবীরা অবশ্যই নয়। তবে যাদের টাকায় তার বেতন হয় তাদের গুরুত্ব না বোঝার মত মেধা তাদের নেই এটা অবান্তর। প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে তা দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে শপথ বাক্য পাঠ করানোর সময় এটা স্পষ্ট করে বলা হয় যে দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। তারা সেবক মাত্র । এই সেবক যখন মনিব সাজতে যায় তখনই দেখা দেয় যত বিপত্তি। কিন্তু কেন এমন হলো। প্রশাসন ও রাজনীতিতে যা হয়েছে আগে তা হয়নি, আগে রাজনীতিতে ভুল হলে জনগণ, প্রশাসন, সমালোচনা করে তাদের সঠিক পথে চলতে সহায়তা করত। প্রশাসনে ভুল হলে রাজনীতিবিদরা সমালোচনা করত আর এখন নীতি নির্ধারক আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা একে অন্যের সমালোচনার বিপরীতে সহযোগিতার মানসিকতা ফুটে উঠেছে। এক অদৃশ্য আঁতাতে তাদের মধ্যে এই অতিরঞ্জিত ক্ষমতা চর্চা সমীহ জাগানিয়া অভিপ্রায় দেখা দিয়েছে। প্রশাসন মনে করে তারা সব পারে, তারা জনগণের বস, জনগণ তাদের কাছে নস্যি। আধুনিককালের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মেকিয়াভেলি যথার্থই বলেছেন মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই স্বার্থপর, অর্থ, ও ক্ষমতালিপ্সু। কিন্তু ক্ষমতা, ও টাকার মধ্যে যে একটা নিজস্ব গরম আছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের দেশের তথাকথিত আমলাদের অবস্থা এখন সেটাই মনে হচ্ছে। প্রশাসকদের সামাজিক দাপটের এই প্রাদুর্ভাব কে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম নেতিবাচক ভাবেই দেখেছেন। তার ভাষ্যমতে চারিদিকে শুধুই প্রশাসক আর প্রশাসক। ক্ষমতা প্রদর্শন আর অর্থের দখল নেওয়ার সমূহ সুযোগই তৈরি করেছে এই প্ল্যাটফর্ম। তাহলে যে পরিমাণ মেধা প্রজ্ঞা আর ধীশক্তি থাকলে ওয়েলফেয়ার স্টেস্টে প্রশাসন যন্ত্র জনমুখি হয় এটা কি তাহলে তাদের মধ্যে কমতি দেখা দিয়েছে! আধুনিককালের রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণাকে কেন্দ্র করে। এখানে রাষ্ট্রের জন্য জনগণ নয়, বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস নয়। এটা আমাদের রাষ্ট্র, সামাজিক রাষ্ট্র, এই রাষ্ট্র জনগণের। জনগণই এখানে ক্ষমতার মূল উৎস। আর এই দর্শন বাস্তবায়নের জন্য ঔপনিবেশিক মাসসিকতা পরিবর্তন করে নতুন করে নির্মাণ করাটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। জয় হোক জনগণের জয় হোক সকল শুভবোধের।

গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষা গবেষক

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু