বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অপরাধ দমনে মানবিক জ্ঞানবোধ জাগরণ জরুরি

অপরাধ হলো দেশ ও সমাজের শান্তি রক্ষার্থে প্রণীত আইন পরিপন্থী কর্ম। অপরাধের ফলে ব্যক্তিকে অপরাধের মাত্রাভেদে শাস্তি স্বরূপ দণ্ডবিধি আইন-১৮৬০ অনুযায়ী কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড আবার ক্ষেত্রমত মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়। এই শাস্তিদানের উদ্দেশ্য নিয়ে নানাবিধ মতবাদ রয়েছে।

প্রতিরোধাত্মক মতবাদ: এই মতবাদ আলোকে সমাজকে শিক্ষা দান করাই শাস্তির উদ্দেশ্য। অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয় কারণ শাস্তির নির্মম কঠোরতা মানুষকে অনুরূপ অপরাধ করা থেকে নিবৃত্ত করতে পারে। এই শাস্তিতত্ত্বে ভীতি থাকে, যা নৈতিকতার ভিত্তি হতে পারে না।

প্রতিশোধাত্মক মতবাদ: প্রত্যেক মানুষকে নিজস্ব ঐচ্ছিক ক্রিয়ার জন্য দায়িত্ব বহন করতে হয়। তাই প্রত্যেক অপরাধীকে তার অপরাধের দায় বহন করতে হয়। এই মতবাদে একজন অপরাধী সমাজে যতটা ক্ষতিসাধন করেছে তাকে তার সমানুপাতিক ক্ষতি স্বীকার করতে হয়। এই মতবাদে ‘খুনের বদলে খুন’ সূত্র বিদ্যমান। এই নীতিতে অপরাধ ও শাস্তির মধ্যে সমানুপাতের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। অপরাধ প্রতিশোধাত্মক হওয়ার চেয়ে দৃষ্টান্তমূলক হওয়া যেতে পারে। প্রতিশোধ নেশা মানুষকে অন্ধ বানিয়ে দেয় কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিতে পরবর্তীতে একই অপরাধ কমে যাওয়ার আভাস পাওয়া যায়। সমাজে অপরাধ কর্মের পথ বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও অপরাধ কর্ম মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ধর্মেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান রয়েছে।

সংশোধনাত্মক মতবাদ: সংশোধনাত্মক শাস্তিতত্ত্বে বলা হয় যে, অপরাধীকে সংশোধন করাই শাস্তিদানের উদ্দেশ্য। সমাজবিজ্ঞনীদের মতে, মানুষের মধ্যে নীতিবোধ সুপ্ত থাকে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে মানুষ নৈতিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়। শাস্তি মানুষের সুপ্ত নৈতিকতাকে জাগ্রত করতে সহায়তা করে। তবে যার মধ্যে অশুভ ধারণা দীর্ঘদিন যাবত প্রতিষ্ঠিত থাকে তাকে সংশোধন করা অসম্ভব প্রায়। সংশোধনাত্মক শাস্তিতত্ত্ব আপাত দৃষ্টিতে অপরাধ দমন করলেও প্রকৃত অর্থে অপরাধ নির্মূলে অকেজো প্রায়।

শাস্তি নিয়ে উপরোক্ত মতবাদগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শাস্তি তথা দণ্ডদান সাময়িকভাবে অপরাধ নিবারণ করে মাত্র। বাংলাদেশের সকল জেলায় জেলা দায়রা আদালত রয়েছে ও মহানগরীগুলোতে রয়েছে মহানগর জজ আদালত এবং এই দুই শ্রেণির আদালতের অভিভাবক হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট রয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি আর হাইকোর্টে মামলা ছিল ২ হাজার ৯১৯ টি। বর্তমানে জনসংখ্যা আড়াই গুণ বেড়ে প্রায় ১৮ কোটি হয়েছে আর অপরাধ বিষয়ক মামলা হাইকোর্টেই বেড়েছে শত গুণের বেশি। হাইকোর্টে বর্তমানে প্রায় ৪ লাখ মামলা জড়ো হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “দিনে ১২৯ ফৌজদারি মামলা “ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হতে দেখা যায়। বর্তমানে মামলার সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মামলার বৃদ্ধি পাওয়া থেকেই অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।

২০১৯-২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩১ বছরে হত্যা ও সন্ত্রাস বিরোধী অপরাধের মামলায় ১০১ জন আসামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন কারাগারে প্রায় ১ হাজার ৬৫০ জন আসামি তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষার প্রহর গুণছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীদের ৭৪ শতাংশ ব্যক্তির অপরাধের সময় বয়স ছিল ৩০ বছরে কম। তাদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ স্কুল পার হতে পারেনি এবং ১৫ শতাংশ ব্যক্তির কোনোরূপ প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ছিল না।

আমরা দেখি, অপরাধ দমনে শাস্তিতত্ত্বের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটার পরেও অপরাধ জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং হলফ করে বলা যায়, অপরাধ নির্মূলে শাস্তি তথা দণ্ডদান একমাত্র উপায় হতে পারে না। অপরাধের পথ খোলা রেখে শাস্তি দেয়ায় কোনো ফল নেই; বরং অপরাধ যেন সংঘটিত না হয় তার জন্য প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা করা জরুরি। যেমন সামাজিক দ্বন্দ্ব-কলহের অবসান ঘটলে নিশ্চয়ই খুনখারাবি রোধ হবে। সম্পদের সুষম বন্টন হলে চুরি ডাকাতি রোধ হবে। নারী পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা ও যৌনপ্রবৃত্তি উদ্দীপক সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে ধর্ষণ, পরকীয়া ও ব্যভিচার রোধ হবে। তেঁতুল সামনে থাকলে যেমন জিহ্বে জল আসবেই তেমনি অপরাধের পথ খোলা থাকলে অপরাধ সংঘটন হবেই।

অপরাধ নির্মূলে ব্যক্তির মধ্যে প্রথমত মানবিক বোধ সৃষ্টি করতে হবে। অনেকেই ধর্মীয় বোধের ও ধর্ম চর্চার কথা বলে থাকেন। আমি চিরাচরিতই প্রথমত মানবিক বোধ জাগরণকেই প্রাধান্য দিব। কেননা যদি বিশেষ ধর্মের কথা বলি তাহলে ঐধর্মের লোক ব্যতিত সকল মানুষ উক্ত বক্তব্যকে এড়িয়ে চলবে। বিশেষ ধর্মের মানুষকে অপরাধ থেকে বিরত রাখলেই সমাজে অপরাধ বন্ধ হবে না। কেননা সমাজে সকল ধর্মের মানুষ বসবাস করে। মানুষে মানুষে ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভেদ থাকতে পারে কিন্তু মানুষ হিসেবে মানবিকতার বিভেদ থাকতে পারে না। মানবিক বোধ সম্পন্ন কোনো মানুষ সেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে অন্যায় করতে পারে না। মানবতা হচ্ছে মানুষের ধর্ম। মানুষের জন্য ভালোবাসা, মানুষের জন্য সমবেদনা, স্নেহ-মমতার নামই মানবতা। নিঃস্বার্থভাবে কল্যাণকর কাজে অংশীদার হওয়ার নাম মানবতা। মানবতায় মানুষের ধর্ম, জাত, বর্ণের ভেদাভেদ থাকে না। মানবতা সহজ ও সাবলীল। মানবিক হতে অর্থের প্রয়োজন হয়না;প্রয়োজন নির্ভেজাল মন ও উপলদ্ধির।

রাস্তায় চলতে গিয়ে অন্ধ, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দেওয়া হলো মানবতা। বৃদ্ধ রিকশাচালকের সঙ্গে দামাদামি না করে উপযুক্ত ভাড়া ও পারলে দু’চার টাকা বাড়িয়ে দেয়ার নাম মানবতা। শত্রুর বিপদে খুশী না হওয়া মানবতা। বিধবাকে বিধবা না বলা, ডিভোর্সীকে এড়িয়ে না চলা, অন্ধকে অন্ধ না বলা, প্রতিবন্ধীকে প্রতিবন্ধী নামে না ডাকা, কাজের লোকদের সঙ্গে তুমি সম্বোধন না করাই মানবতা। ব্যক্তির মধ্যে এই মানবতাবোধ জাগ্রত করতে পারলেই কেবল অপরাধ নির্মূল হবে।

অপরাধ নির্মূলে ব্যক্তির মধ্যে দ্বিতীয়ত ধর্মীয় জ্ঞানবোধ জাগ্রত করতে হবে। মানবতা ধর্মবেষ্টিত শুদ্ধিঘর। ধর্ম থেকেই মানবতার সৃষ্টি। ধর্মীয় জ্ঞানে ও ধর্মীয় গুণে গুণান্বিত ব্যক্তি কখনো অপরাধে জড়াতে পারে না। পোপ প্রান্সিস চিরাচরিতই তার অনুসারীদের ধর্মের শিক্ষা ও ধর্ম পালনের তাগিদ দিয়ে থাকেন। ইসলাম ধর্মে ধর্মীয় জ্ঞানার্জনকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়েছে। দার্শনিক কাল মার্ক্স ধর্মকে আফিম বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি এজন্যই আফিম বলে মন্তব্য করেছেন যে, মানুষ ধর্মের জন্য যে কোনো কিছু করতে পারে। মানুষ সব বিসর্জন দিতে পারে কিন্তু ধর্ম বিসর্জন দেয় না। মানুষ ধর্মকে কেন্দ্র করে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করে। ধর্মের প্রতি মানুষের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাসের কারণেই কাল মার্ক্স ধর্মকে আফিম বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি যে উদ্দেশ্য নিয়েই এই মন্তব্য করেন না কেন আমি কাল মার্ক্সের এই মন্তব্যকে শ্রদ্ধা জানাই। কেননা ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির নিকট নিজ জীবনের চেয়েও ধর্মের মূল্য বেশি। যেহেতু মানুষের কাছে ধর্মের মূল্যমান অমূল্য সেহেতু মানুষের মধ্যে ধর্মের জ্ঞান ও ধর্মের চর্চাকে বাড়াতে হবে। পৃথিবীর কোনো ধর্মই মানুষকে অপরাধী বানায় না। ধর্মের মূলমন্ত্রই হলো মানবতা। সত্য প্রতিষ্ঠায় ধর্ম সর্বদা সোচ্চার। কোনো ধর্মই অন্যায়কে সমর্থন করে না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইসলামসহ সকল ধর্মই শান্তির বার্তা দেয়। সকল ধর্মের বিধিবিধান ও আচার মানুষকে কল্যাণ ও সত্য সুন্দরে নির্দেশনা দেয়। শিখায় ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। ধর্মীয় জ্ঞানবোধ সম্পন্ন কোনো ব্যক্তি সচরাচর অপরাধে জড়িত হওয়ার নজির পাওয়া যায় না।

সর্বোপরি বলা যায়, শাস্তিতত্ত্বের প্রতিরোধাত্মক ও প্রতিশোধাত্মক মতবাদ কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় তবে সংশোধাত্মক মতবাদ গ্রহণ করা যায়। সংশোধাত্মক মতবাদ প্রয়োগের পাশাপাশি মানবিকতাবোধ ও ধর্মীয় জ্ঞানবোধ জাগরণ করলেই কেবল অপরাধ নির্মূল হবে। নচেৎ অপরাধ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তেই থাকবে।

মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

এসএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া