শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

অপরাধ দমনে মানবিক জ্ঞানবোধ জাগরণ জরুরি

অপরাধ হলো দেশ ও সমাজের শান্তি রক্ষার্থে প্রণীত আইন পরিপন্থী কর্ম। অপরাধের ফলে ব্যক্তিকে অপরাধের মাত্রাভেদে শাস্তি স্বরূপ দণ্ডবিধি আইন-১৮৬০ অনুযায়ী কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড আবার ক্ষেত্রমত মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়। এই শাস্তিদানের উদ্দেশ্য নিয়ে নানাবিধ মতবাদ রয়েছে।

প্রতিরোধাত্মক মতবাদ: এই মতবাদ আলোকে সমাজকে শিক্ষা দান করাই শাস্তির উদ্দেশ্য। অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয় কারণ শাস্তির নির্মম কঠোরতা মানুষকে অনুরূপ অপরাধ করা থেকে নিবৃত্ত করতে পারে। এই শাস্তিতত্ত্বে ভীতি থাকে, যা নৈতিকতার ভিত্তি হতে পারে না।

প্রতিশোধাত্মক মতবাদ: প্রত্যেক মানুষকে নিজস্ব ঐচ্ছিক ক্রিয়ার জন্য দায়িত্ব বহন করতে হয়। তাই প্রত্যেক অপরাধীকে তার অপরাধের দায় বহন করতে হয়। এই মতবাদে একজন অপরাধী সমাজে যতটা ক্ষতিসাধন করেছে তাকে তার সমানুপাতিক ক্ষতি স্বীকার করতে হয়। এই মতবাদে ‘খুনের বদলে খুন’ সূত্র বিদ্যমান। এই নীতিতে অপরাধ ও শাস্তির মধ্যে সমানুপাতের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। অপরাধ প্রতিশোধাত্মক হওয়ার চেয়ে দৃষ্টান্তমূলক হওয়া যেতে পারে। প্রতিশোধ নেশা মানুষকে অন্ধ বানিয়ে দেয় কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিতে পরবর্তীতে একই অপরাধ কমে যাওয়ার আভাস পাওয়া যায়। সমাজে অপরাধ কর্মের পথ বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও অপরাধ কর্ম মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ধর্মেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান রয়েছে।

সংশোধনাত্মক মতবাদ: সংশোধনাত্মক শাস্তিতত্ত্বে বলা হয় যে, অপরাধীকে সংশোধন করাই শাস্তিদানের উদ্দেশ্য। সমাজবিজ্ঞনীদের মতে, মানুষের মধ্যে নীতিবোধ সুপ্ত থাকে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে মানুষ নৈতিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়। শাস্তি মানুষের সুপ্ত নৈতিকতাকে জাগ্রত করতে সহায়তা করে। তবে যার মধ্যে অশুভ ধারণা দীর্ঘদিন যাবত প্রতিষ্ঠিত থাকে তাকে সংশোধন করা অসম্ভব প্রায়। সংশোধনাত্মক শাস্তিতত্ত্ব আপাত দৃষ্টিতে অপরাধ দমন করলেও প্রকৃত অর্থে অপরাধ নির্মূলে অকেজো প্রায়।

শাস্তি নিয়ে উপরোক্ত মতবাদগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শাস্তি তথা দণ্ডদান সাময়িকভাবে অপরাধ নিবারণ করে মাত্র। বাংলাদেশের সকল জেলায় জেলা দায়রা আদালত রয়েছে ও মহানগরীগুলোতে রয়েছে মহানগর জজ আদালত এবং এই দুই শ্রেণির আদালতের অভিভাবক হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট রয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি আর হাইকোর্টে মামলা ছিল ২ হাজার ৯১৯ টি। বর্তমানে জনসংখ্যা আড়াই গুণ বেড়ে প্রায় ১৮ কোটি হয়েছে আর অপরাধ বিষয়ক মামলা হাইকোর্টেই বেড়েছে শত গুণের বেশি। হাইকোর্টে বর্তমানে প্রায় ৪ লাখ মামলা জড়ো হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “দিনে ১২৯ ফৌজদারি মামলা “ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হতে দেখা যায়। বর্তমানে মামলার সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মামলার বৃদ্ধি পাওয়া থেকেই অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।

২০১৯-২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩১ বছরে হত্যা ও সন্ত্রাস বিরোধী অপরাধের মামলায় ১০১ জন আসামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন কারাগারে প্রায় ১ হাজার ৬৫০ জন আসামি তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষার প্রহর গুণছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীদের ৭৪ শতাংশ ব্যক্তির অপরাধের সময় বয়স ছিল ৩০ বছরে কম। তাদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ স্কুল পার হতে পারেনি এবং ১৫ শতাংশ ব্যক্তির কোনোরূপ প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ছিল না।

আমরা দেখি, অপরাধ দমনে শাস্তিতত্ত্বের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটার পরেও অপরাধ জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং হলফ করে বলা যায়, অপরাধ নির্মূলে শাস্তি তথা দণ্ডদান একমাত্র উপায় হতে পারে না। অপরাধের পথ খোলা রেখে শাস্তি দেয়ায় কোনো ফল নেই; বরং অপরাধ যেন সংঘটিত না হয় তার জন্য প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা করা জরুরি। যেমন সামাজিক দ্বন্দ্ব-কলহের অবসান ঘটলে নিশ্চয়ই খুনখারাবি রোধ হবে। সম্পদের সুষম বন্টন হলে চুরি ডাকাতি রোধ হবে। নারী পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা ও যৌনপ্রবৃত্তি উদ্দীপক সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে ধর্ষণ, পরকীয়া ও ব্যভিচার রোধ হবে। তেঁতুল সামনে থাকলে যেমন জিহ্বে জল আসবেই তেমনি অপরাধের পথ খোলা থাকলে অপরাধ সংঘটন হবেই।

অপরাধ নির্মূলে ব্যক্তির মধ্যে প্রথমত মানবিক বোধ সৃষ্টি করতে হবে। অনেকেই ধর্মীয় বোধের ও ধর্ম চর্চার কথা বলে থাকেন। আমি চিরাচরিতই প্রথমত মানবিক বোধ জাগরণকেই প্রাধান্য দিব। কেননা যদি বিশেষ ধর্মের কথা বলি তাহলে ঐধর্মের লোক ব্যতিত সকল মানুষ উক্ত বক্তব্যকে এড়িয়ে চলবে। বিশেষ ধর্মের মানুষকে অপরাধ থেকে বিরত রাখলেই সমাজে অপরাধ বন্ধ হবে না। কেননা সমাজে সকল ধর্মের মানুষ বসবাস করে। মানুষে মানুষে ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভেদ থাকতে পারে কিন্তু মানুষ হিসেবে মানবিকতার বিভেদ থাকতে পারে না। মানবিক বোধ সম্পন্ন কোনো মানুষ সেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে অন্যায় করতে পারে না। মানবতা হচ্ছে মানুষের ধর্ম। মানুষের জন্য ভালোবাসা, মানুষের জন্য সমবেদনা, স্নেহ-মমতার নামই মানবতা। নিঃস্বার্থভাবে কল্যাণকর কাজে অংশীদার হওয়ার নাম মানবতা। মানবতায় মানুষের ধর্ম, জাত, বর্ণের ভেদাভেদ থাকে না। মানবতা সহজ ও সাবলীল। মানবিক হতে অর্থের প্রয়োজন হয়না;প্রয়োজন নির্ভেজাল মন ও উপলদ্ধির।

রাস্তায় চলতে গিয়ে অন্ধ, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দেওয়া হলো মানবতা। বৃদ্ধ রিকশাচালকের সঙ্গে দামাদামি না করে উপযুক্ত ভাড়া ও পারলে দু’চার টাকা বাড়িয়ে দেয়ার নাম মানবতা। শত্রুর বিপদে খুশী না হওয়া মানবতা। বিধবাকে বিধবা না বলা, ডিভোর্সীকে এড়িয়ে না চলা, অন্ধকে অন্ধ না বলা, প্রতিবন্ধীকে প্রতিবন্ধী নামে না ডাকা, কাজের লোকদের সঙ্গে তুমি সম্বোধন না করাই মানবতা। ব্যক্তির মধ্যে এই মানবতাবোধ জাগ্রত করতে পারলেই কেবল অপরাধ নির্মূল হবে।

অপরাধ নির্মূলে ব্যক্তির মধ্যে দ্বিতীয়ত ধর্মীয় জ্ঞানবোধ জাগ্রত করতে হবে। মানবতা ধর্মবেষ্টিত শুদ্ধিঘর। ধর্ম থেকেই মানবতার সৃষ্টি। ধর্মীয় জ্ঞানে ও ধর্মীয় গুণে গুণান্বিত ব্যক্তি কখনো অপরাধে জড়াতে পারে না। পোপ প্রান্সিস চিরাচরিতই তার অনুসারীদের ধর্মের শিক্ষা ও ধর্ম পালনের তাগিদ দিয়ে থাকেন। ইসলাম ধর্মে ধর্মীয় জ্ঞানার্জনকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়েছে। দার্শনিক কাল মার্ক্স ধর্মকে আফিম বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি এজন্যই আফিম বলে মন্তব্য করেছেন যে, মানুষ ধর্মের জন্য যে কোনো কিছু করতে পারে। মানুষ সব বিসর্জন দিতে পারে কিন্তু ধর্ম বিসর্জন দেয় না। মানুষ ধর্মকে কেন্দ্র করে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করে। ধর্মের প্রতি মানুষের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাসের কারণেই কাল মার্ক্স ধর্মকে আফিম বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি যে উদ্দেশ্য নিয়েই এই মন্তব্য করেন না কেন আমি কাল মার্ক্সের এই মন্তব্যকে শ্রদ্ধা জানাই। কেননা ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির নিকট নিজ জীবনের চেয়েও ধর্মের মূল্য বেশি। যেহেতু মানুষের কাছে ধর্মের মূল্যমান অমূল্য সেহেতু মানুষের মধ্যে ধর্মের জ্ঞান ও ধর্মের চর্চাকে বাড়াতে হবে। পৃথিবীর কোনো ধর্মই মানুষকে অপরাধী বানায় না। ধর্মের মূলমন্ত্রই হলো মানবতা। সত্য প্রতিষ্ঠায় ধর্ম সর্বদা সোচ্চার। কোনো ধর্মই অন্যায়কে সমর্থন করে না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইসলামসহ সকল ধর্মই শান্তির বার্তা দেয়। সকল ধর্মের বিধিবিধান ও আচার মানুষকে কল্যাণ ও সত্য সুন্দরে নির্দেশনা দেয়। শিখায় ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। ধর্মীয় জ্ঞানবোধ সম্পন্ন কোনো ব্যক্তি সচরাচর অপরাধে জড়িত হওয়ার নজির পাওয়া যায় না।

সর্বোপরি বলা যায়, শাস্তিতত্ত্বের প্রতিরোধাত্মক ও প্রতিশোধাত্মক মতবাদ কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় তবে সংশোধাত্মক মতবাদ গ্রহণ করা যায়। সংশোধাত্মক মতবাদ প্রয়োগের পাশাপাশি মানবিকতাবোধ ও ধর্মীয় জ্ঞানবোধ জাগরণ করলেই কেবল অপরাধ নির্মূল হবে। নচেৎ অপরাধ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তেই থাকবে।

মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

এসএ/

Header Ad
Header Ad

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি। সর্বশেষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় এসেছে।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। একইভাবে ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায় নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু এরপর থেকে দুই দশকের বেশি সময়েও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের দৃশ্য দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “ওদের ক্যারিয়ার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অসাধারণ ছিল। মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ ওদের প্রাপ্য ছিল। যারা ভালোবেসেছে ও সমর্থন দিয়েছে, তারাও চাইত গ্যালারি ভরা দর্শকের হাততালির মধ্যে তারা বিদায় নিক। কিন্তু সেই সুযোগটা আর হলো না। কেন মাঠে অবসর নেয়নি, সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে।”

অনেকে মনে করেন, বোর্ডের পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এমনটা ঘটছে। তবে সুজন এই দাবির সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, “যখন আমি অবসর নিয়েছিলাম, আগেই জানিয়েছিলাম সেটাই আমার শেষ ম্যাচ। কিন্তু যদি কেউ না জানায়, বোর্ড বুঝবে কীভাবে? ক্রিকেটাররা আগেই বললে বোর্ডও সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা করতে পারে।”

সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে এবং মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তাদের এমন সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন সুজন। তার মতে, “ওরা চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন খেলতে পারত। কিন্তু মাঠ থেকে বিদায় নিলে সেটা আরও স্মরণীয় হয়ে থাকত।”

মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা না গেলে ভবিষ্যতেও এই ধরনের পরিস্থিতি চলতেই থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৩ মার্চ এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহফুজ আলম গত ১২ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন যে, “জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল।” মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বলেন, মাহফুজ আলম জামায়াত সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা আসলে একটি প্রতিবেশি দেশের গুপ্তচর শাহরিয়ার কবিরদের ভাষার অনুকরণ।

তিনি আরও বলেন, মাহফুজ আলমের উচিত স্মরণ রাখা যে, তিনি একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করে এমন মন্তব্য করার অধিকার তার নেই। এমন মন্তব্য দিয়ে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অরাজনৈতিক চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার উল্লেখ করেন যে, শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গঠিত তদন্ত কমিশনেও জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি অধ্যাপক গোলাম আযম সুপ্রিম কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের প্রভাবিত বিচার এবং স্কাইপ কেলেঙ্কারি, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য এবং সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর বক্তব্য এই বিচার ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী আহলে সুন্নত আল জামায়াতের অনুসারী এবং এর আক্বিদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আশা প্রকাশ করেন যে, মাহফুজ আলম তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

শফিউল আজম টুটুলকে আহ্বায়ক ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিককে সদস্য সচিব করে নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এই কমিটি অনুমোদন দেন।

কমিটির অন্যান্য নেতারা হলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান কামরুজ্জামান কামাল,মো. জাহাঙ্গীর আলম গুলজার, শামিম নুর আলম শিপলু,মো. মাহমুদ হাসান,গোলাম মোস্তফা তাতু,আলম তাজ তাজু,মো. মিজানুর রহমান রনি, মো. মামুনুর রশিদ,আব্দুল্লাহ আল মামুন শিমুল,হাসিবুর রহমান প্লাবন,মো. নূর নবী,মো. আব্দুল বারী তুহিন,মো. রাগিব শাহরিয়ার কৌশিক,মো. শহিদুজ্জামান সৌরভ,মো. ফারহিম ইসলাম মুন্না।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়া সদস্যরা হলেন, আব্দুল বারী হিরা, মহসিন আলী,মুশফিকুর রহমান সুজন চৌধুরী,মেহেদী হাসান পলাশ,মো. হেলাল উদ্দিন,আরিফুল ইসলাম বাপ্পী,স্বাধীন সরদার,কে এম রাব্বি রিফাত স্বচ্ছ,মো. সুরুজ সরকার,মো. মামুনুর রশিদ বুলেট,মো. মাসুদ রানা,মো. শাহরিয়ার হক রাজু,মো. সালমান ফারসী রাজ,মো. শামীম হোসেন, মো. ইস্রাফিল আলম তিতাস,মো. রায়হানুল ইসলাম রিপন,মো.শামস বিন আইয়ুব,মো. আশাদুল ইসলাম,মো. রুহুল আমিন মল্লিক,মো. ইশতিয়াক আহমেদ মিনার,মো. এনামুল হক (দপ্তরের দায়িত্বে),মো. রাকিন হোসেন (সহ-দপ্তরের দায়িত্বে),মো. পাঠান মুরাদ,মো. আশিক আহমেদ শাওন,মো. সবুজ হোসেন,মো. ডলার,শ.ম. আলেফ হোসেন সুমন,মো. শহীদুজ্জামান মুরাদ,মো. রিপন রেজা, এ্যাড, আলতাফ হোসেন উজ্জল,সোহেলী আক্তার শুভ,সোহাগ কুমার কর্মকার,মোঃ ওমর ফারুক (ওমর),মো. স্বাধীন আহমেদ।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন
উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত
নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস
‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের বাবা গ্রেপ্তার
শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দেশের সব পর্ন ওয়েবসাইট
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা নিয়ে যা বলল হামাস
গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা
আছিয়ার মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেওয়া হবে
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
সোয়া ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল
ধর্ষণের হুমকি পেলেন ভাইরাল কন্যা ফারজানা সিঁথি, অতঃপর...
যমুনা সেতু মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২৫
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি
চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল
টাঙ্গাইলে ‘বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস ও বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’র নাম পরিবর্তন