লিটন আব্বাস এর কবিতা ‘সেই খোকাটি ’
মধুমতীর সেই খোকাটি
পরের দুঃখে ছোটে
গরিবদুখি শিশুদের জন্য
সারা সময় কাটে
টুঙ্গিপাড়ার এই ছেলেটি
দেয় যে খুলে চাদর
পথের ধারে কাঁপতে থাকা অসহায়রা
পায় যে ছাতা, পায় যে পরম আদর
এই ছেলেটিই বাড়ি বাড়ি ঘুরে
চাল-শস্য তুলে তুলে পৌঁছায়ে দিতো জামাকাপড়-খাবার
এসব কিছুতে ছিল না ক্লান্তি হোক কষ্ট যতো
কী গরম, কী শীতে কিন্বা বর্ষা-বৃষ্টিতে
ধানের গোলা খুলে দিয়ে
ছুটতো খোকা বাড়ি বাড়ি
সবকিছু করতেন তিনি বাবা-মায়ের সম্মতি নিয়ে
ইশকুলে পড়া এই ছেলেটিরে
বন্ধুরা সবে ডাকে মিয়াভাই তারে
খেলাধুলায়, দাবী দাওয়ায় সবার সামনে সে
শেরে বাংলা বাংলার বাঘ ভয় পায় সবাই যারে
তার সামনে দাঁড়িয়ে গেলো সব দাবী নিয়ে
হোক মন্ত্রী বাংলার বাঘ ভয় নেই আহারে
খেলার ট্রফি জিততে জিততে
সেই খোকাটি দিনে দিনে
মানুষের দিল জিতে নেয়
খোকা চলে গেলো রাজপথে স্লোগানে
বাংলা মাকে মুক্ত করতে জেলে গেলো কতো
লাখো মানুষের রক্ত-সম্ভ্রমে স্বাধীন হলো দেশ
টুঙ্গিপাড়ার সেই ছেলেটি বাংলার রাখাল রাজা
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করলো স্বদেশ
সেই খোকাটি জানতো নাকো
ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ঘাতক
স্বাধীন দেশেই খুন করবে তাকে
কেউ ভাবেনি পিতার রক্তে হাসবে প্রতারক
সেই খোকাটির জীবন গেলো
মাতৃভূমির টানে
রাঙাল রাজার ট্রাজেডি
আজ বিশ্ববাসী জানে
সেই খোকাটি শুয়ে আছে
তীর্থভূমি টুঙ্গিপাড়ায়
কোটি বাঙালির কান্নায়
আছেন মিশে তিনি বিশ্ব বাংলায়
ডিএসএস/