বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘একুশ’ বাঙালির চেতনার প্রতীক

‘শহীদের ঝলকিত রক্তের বুদবুদ,
স্মৃতিগন্ধে ভরপুর একুশের কৃষ্ণচূড়া
আমাদের চেতনারই রঙ’

শামসুর রহমানের একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে এই বিখ্যাত উক্তিটি আজও স্মরণ করিয়ে দেয়, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের গর্ব, আমাদের শক্তি। বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসাবে পাওয়া এই একুশের জন্য। যদি এক কথায় প্রকাশ করা হয় তাহলে— একুশ আমাদের অহংকার, গৌরব, জাতিসত্তা ও প্রেরণার জায়গা।

ইতিহাস সাক্ষী ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি নিজের মাতৃভাষা রক্ষা করার জন্য বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রাজপথে রফিক, সালাম, বরকত, সফিউর, জব্বাররা। রাজপথের এই রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি বাংলায় ‘মা’ বলে ডাকার অধিকার, পেয়েছি মায়ের ভাষা ‘আ মরি বাংলা ভাষা’।

তাই ২১ শুধু একটি সংখ্যা নয়, দিনপঞ্জিকার একটি দিন নয়— অমর ২১ প্রতিবারই আমাদের শক্তি ও সাহস জোগায়, দেশপ্রেম ও ভাষা চেতনাকে শাণিত করে। বলা যাই, অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে এই ২১শে ফেব্রুয়ারি। যে ২১ এর পথ বেয়ে এসেছে ৫৪'র সাধারণ নির্বাচনে পাক-শাসকদের ভরাডুবি, ৬৬'র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯'র গণ অভ্যুত্থান, ৭০'র সাধারণ নির্বাচনে বাঙালির বিপুল বিজয়— যার ধারাবাহিকতায় হয়েছে ৭১'র মুক্তিযুদ্ধ । পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে এসেছে আমাদের অমৃত স্বাধীনতা। ৫২'র পর বিভিন্ন চড়াই-উতরাই বাইতে বাইতে ৭১ এ এসে মুক্তির স্বাদ পেলাম আমরা। রক্তে রঞ্জিত সেই লাল রাজপথ ধরেই পেয়েছি স্বাধীন বাংলা। ৫২-র সেই ভাষা আন্দোলন শুধু একটি ভাষা আন্দোলন ছিল না, ছিল একটি অহংকারের নাম, মুক্তির শপথ।

তাই একুশ বাঙালির চেতনার প্রতীক। পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় উচ্চারিত হয় একেকটি শহীদের নাম। মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে সারাদেশে, দেশের বাইরে যেখানেই রয়েছে বাঙালি, সেখানেই গড়ে উঠেছে ২১'র অহংকারের প্রতীক শহীদ মিনার। ভাস্বর মহান একটি দিন, জেগে ওঠার এক অদম্য প্রেরণা আমাদের বাঙালির কাছে। দেশমাতৃকা রক্ষার্থে আত্মোৎসর্গ করার শপথ গ্রহণের দিন।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে রাখার যে শক্তি সাহস আর প্রেরণা জুগিয়েছে তা ভবিষ্যতেও যাবে। আর যারা নিজের প্রাণ দিয়েছিল রাজপথে নিজের মাতৃভাষাকে স্বাধীনভাবে বিশ্বে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য, তা বিশ্বে একটি রোল মডেল হয়ে থাকবে। এই মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রত্যয়ে আগামীর দিনগুলোতে মাতৃভাষার উন্নয়ন ও বিস্তারে সমাজের সর্বস্তরের সাধারণকে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আরও বাড়াতে হবে, যেন বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য এবং বাংলা সংস্কৃতি একুশের চেতনার মধ্য দিয়ে বিকশিত হতে থাকে।

বাঙালি জাতির ইতিহাস যতদিন এই পৃথিবীতে সমুন্নত থাকবে ততদিন বাঙালি জাতি এই মহান ভাষা সৈনিকদের বিনম্রচিত্তে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর সেই গানের কথায়—
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি…

মো. নাইম হাসান (রিদয়): শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

আরএ/

Header Ad
Header Ad

লোকসভায় ধস্তাধস্তি; রাহুলের ‘আঘাতে’ বিজেপির ২ এমপি আহত

লোকসভার বাইরে দুই-পক্ষের ধস্তাধস্তি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আম্বেদকর-মন্তব্য ঘিরে দেশটির সংসদে সরকার ও বিরোধীপক্ষের সংঘাত এবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দু’ই পক্ষের ধস্তাধস্তিতে বিজেপির সংসদ সদস্য প্রতাপচন্দ্র ষড়ঙ্গী ও মুকেশ রাজপুত আহতের অভিযোগ উঠেছে রাহুল গান্ধির দিকে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংসদের বাইরে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও বিজেপি সাংসদদের মধ্যে তীব্র ধাক্কাধাক্কি হয়।

বিজেপির অভিযোগ রাহুল গান্ধীর আঘাতে তাদের এমপিরা আহত হয়েছে। বিজেপি সরকারের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেছেন, ‌‘কি করে তিনি (রাহুল) সংসদে শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন। কোন আইন তাকে এমপিদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ক্ষমতা দিয়েছে।

জাপানিজ মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্টধারী রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা কিরণ ‍রিজিজু বলেছেন, ‘এমপিদের মারার জন্যই আপনি কারাতে কুং ফু শিখেছেন?’

তবে রাহুলের দাবি ভিন্ন। তিনি বলেছেন, ‘আমি ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। তারা (বিজেপির এমপি) ধাক্কা ও হুমকি দেয়।’

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সংবিধানের ৭৫ বছর নিয়ে বিতর্কের শেষে জবাবি বক্তৃতায় শাহ বলেন, ‘‘এখন একটা ফ্যাশন হয়েছে, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এত বার ভগবানের নাম নিলে সাত জন্ম পর্যন্ত স্বর্গ লাভ হত।’’

বুধবার থেকেই শাহর বিরুদ্ধে আম্বেদকর-অবমাননার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার লোকসভায় সেই বিক্ষোভ ঘিরেই হয় তুলকালাম। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ওড়িশায় অস্ট্রেলীয় মিশনারি গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইনস ও তার দুই শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বজরং দলের। সেই সময়ে বজরং দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন ষড়ঙ্গী। তার বিরুদ্ধেও খুনের মামলা রুজু হয়। কিন্তু মূল অভিযুক্ত দারা সিংহের যাবজ্জীবন জেল হলেও বিচারে রেহাই পেয়ে যান ষড়ঙ্গী।

 

Header Ad
Header Ad

এক হাজার ৯২ কোটি টাকার মামলা এস আলমের ছেলের বিরুদ্ধে

এস আলমের ছেলে আহসানুল আলম । ছবি: সংগৃহীত

এক হাজার ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের (আইবিবিএল) সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমসহ ৫৮জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।

জানা গেছে, আহসানুল আলমের নেতৃত্বে শুধুমাত্র ব্যাংকটির একটি শাখা থেকে এক হাজার ৯২ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। দূর-সম্পর্কের খালাতো ভাই ও এস আলম গ্রুপের বেতনভুক্ত কর্মচারী মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরীকে সামনে রেখে মাত্র তিন বছরে ওই টাকা হাতিয়ে নেয় গ্রুপটি।

দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাকা লুটপাটে সহযোগিতা করেন ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন এমডি ও পরিচালকসহ ৩৪ ব্যাংকসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তার পাশাপাশি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিক মিলিয়ে মোট ৫৮ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান টিম কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ও মামলা দায়েরের সুপারিশ করেছে।

মামলায় যাদের নাম রয়েছে- ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, সাবেক পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমদ, ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ড. মো. ফসিউল আলম, কাজী শহীদুল আলম, ড. মো. সিরাজুল করিম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, মো. জয়নাল আবেদীন, সাবেক পরিচালক খুরশীদ উল আলম, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও মোহাম্মদ সোলায়মান, পরিচালক মো. কামরুল হাসান ও সাবেক নমিনী পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ।

এছাড়া আসামি করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও কে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি ও চিফ হিউম্যান রিসার্চ অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ সাব্বির, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. রেজাউল করিম, বর্তমান উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম, সাবেক এসইভিপি ও এএমডি মো. আলতাফ হোসেন, এসইভিপি জি এম মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, আবু ছাঈদ মুহাম্মদ ইদ্রিস ও সাবেক এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, ব্যাংকটির বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফরিদ উদ্দিন, ইসলামী ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার ম্যানেজার আমান উল্লাহ, চট্টগ্রামের চাকতাই শাখার সাবেক ম্যানেজার ও বর্তমানের এফএভিপি মোহাম্মদ আলী আজগর, চাকতাই শাখার সাবেক বিনিয়োগ ইনচার্জ খাজা মোহাম্মদ খালেদ, চাকতাই শাখা প্রধান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনজুর হাসান, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোনের প্রধান মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী এবং দক্ষিণের অপর জোনপ্রধান ও এসইভিপি মিয়া মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ।

ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে আসামি- মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গোলাম সওয়ার চৌধুরী, চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইন ট্রেড লিংকের মালিক মোহাম্মদ এরশাদ হোসাইন চৌধুরী, বিসমিল্লাহ ট্রেডিং কর্পোরেশানের মালিক মোরশেদুল আলম, মেসার্স ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সে মালিক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, চেমন ইস্পাত লিমিটেডের পরিচালক মুহা. নজরুল ইসলাম, ওই প্রতিষ্ঠানের এমডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম চৌধরী, পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, রেইনবো কর্পোরেশনের মালিক রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, আনছার এন্টারপ্রাইজের মালিক আনছারুল আলম চৌধুরী, সোনালী ট্রেডার্সের মালিক সহিদুল আলম, ফেমাস ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক আরশাদুর রহমান চৌধুরী, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনের এমডি মো. রাশেদুল আলম, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সবুর, গ্রিন এক্সপোজ ট্রেডার্সর মালিক এম এ মোনায়েম, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউজের মালিক এরশাদ উদ্দিন, জাস্ট রাইট ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. গিয়াস উদ্দিন, এক্সক্লুসিভ বিজনেস হাউজের মালিক ফেরদৌস আহম্মদ বাপ্পি, এনেক্স বিজনেস কর্নারের মালিক আনোয়ারুল আজম, সেন্ট্রাল পার্ক ট্রেডিং হাউজের মালিক মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম, জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোহাম্মদ মামুন, চৌধুরী বিজনেস হাউজের মালিক মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী, ডিলাক্সিয়াম ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক কাজী মেজবাহ উদ্দিন, সোশ্যাল ট্রেড সেন্টারের মালিক আলী জহুর এবং শাহ আমানত ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী চৌধুরী।।

দুদকের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকতাই শাখাসহ প্রধান কার্যালয় এবং অন্যান্য ব্যাংক থেকে জব্দ করা রেকর্ডপত্র যাচাই করে দেখা যায়, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম সারোয়ার চৌধুরী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যাংকের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে অপকর্ম ঘটিয়েছেন। আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০২১ সালের ২১ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম পর্যায় ৮৯০ টাকা ঋণ মঞ্জুর করে। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের নভেম্বরে বিনিয়োগ সীমা বৃদ্ধি করে হাজার কোটি এবং ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বরে ১১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়। যার মধ্যে আসল ৯৬৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ও মুনাফা ১২৫.৮০ কোটি টাকাসহ ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। যে কারণে ৫৬ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭ক/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

প্রতিপক্ষের বুটের আঘাতে রক্তাক্ত দোন্নারুম্মার মুখ

ছবি: সংগৃহীত

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে মোনাকোর বিপক্ষে ৪-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু সেই ফল ছাপিয়েও ম্যাচটা আলোচনায় পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার চোটের কারণে। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের বুটের আঘাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মুখ। রক্তাক্ত অবস্থাতে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

কিন্তু এই কাণ্ড যে ঘটালো, তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপই নেয়নি রেফারি। আর তাতেই শুরু হলো সমালোচনা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ফরাসি লিগ আঁতে মোনাকোর মুখোমুখি হয় পিএসজি। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে দোন্নারুম্মার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে।

মোনাকোর মাঠে স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার উইলফ্রিড সিঙ্গোর নেওয়া শট আটকে দিয়েছিলেন দোন্নারুম্মা। তবে ছুটতে থাকা সিঙ্গো নিজের গতি সামলাতে পারেননি। সংঘর্ষ এড়াতে তিনি চেষ্টা করেছিলেন দোন্নারুম্মাকে টপকে যেতে। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।

দোন্নারুম্মাকে টপকে যাওয়ার চেষ্টা করতেই সিঙ্গোর বুটের স্পাইক গিয়ে সরাসরি আঘাত করে পিএসজি গোলকিপারের মুখে। প্রচণ্ড আঘাতে দোন্নারুম্মার গালের অনেকটা অংশই কেটে যায়। রক্তপাত বন্ধ করতে দ্রুত ১০টি স্টাপল করে কাটা অংশ জোড়া দেওয়া হয়। মিনিট পাঁচেক খেলা বন্ধ থাকে। দোন্নারুম্মা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর ফের শুরু হয় খেলা।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, এমন মারাত্মক ফাউল করলেও সিঙ্গোকে কোনো কার্ড দেখাননি রেফারি। অবশ্য আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন সিঙ্গো।

বিষয়টির সমালোচনা করে পিএসজি মারকিনিওস বলেছেন, আমি জানি না রেফারির ঘটনাটা ঠিকমতো দেখেছেন কি না, তবে ভিএআরের হস্তক্ষেপ করা দরকার ছিল। এরকম অবস্থায় লাল কার্ড না দেখানোটাকে বড় সিদ্ধান্তই বলতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

লোকসভায় ধস্তাধস্তি; রাহুলের ‘আঘাতে’ বিজেপির ২ এমপি আহত
এক হাজার ৯২ কোটি টাকার মামলা এস আলমের ছেলের বিরুদ্ধে
প্রতিপক্ষের বুটের আঘাতে রক্তাক্ত দোন্নারুম্মার মুখ
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন না খালেদা জিয়া
কায়রোতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
আফগানিস্তানে দু’টি বাস দুর্ঘটনায় ৪৪ জন নিহত
পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
২৩৮ পদে জনবল নিচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়, আবেদন অনলাইনে
শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল, পলকের স্বীকারোক্তি
এক বছর লিভ টুগেদারের পর পার্টনার পছন্দ করেছি: স্বাগতা
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ বিএনপি
সাবেক সংসদ সদস্য রাগিবুল হাসান রিপু গ্রেপ্তার
মুম্বাইয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের ধাক্কায় নিহত ১৩
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৯ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
গুমকাণ্ডে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ৫
মাদককাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন তিন শীর্ষ নাট্যাভিনেত্রী!
গুম-খুনে জড়িত ২০ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ভাইরাল ভিডিওটি ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’, ব্যবহৃত হয়েছে ডামি অস্ত্র
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ