লিটন আব্বাস এর কবিতা 'জাতিসত্ত্বা'
জাতিসত্ত্বার জাগৃত বিবেকপর্দা ওঠে ভাষার মাস
আসলেই-- মাসের প্রথম দিন থেকেই চলে ঘষামাজা;
যদিও অক্ষরের সাথে বিত্তের রেষারেষি চিরকাল !
প্রথম দিনে অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাঙালি মানসে
ভাষিক ব্যাঞ্জনা ফুটে তোলে ঠিকই।
মানসচিত্তে লাগে সাময়িক বাউল বাতাস, সে বাউ ছুঁয়ে
যায় স্পর্শনিক প্রত্যেক প্রাণে প্রাণে!
মিলিত নিধিরা মায়ের ভাষার ঘ্রাণে ঘ্রাণে ফাগুন
আগুনে বায়ান্নোর বরকতদের কথা বলে..!
তারপর সত্ত্বারা যার যার সতর্ক প্রহরায় প্রস্থান করে ঠিক
শেষ দৃশ্যের মতো অদৃশ্য হয়ে নয়!
বায়ান্নোর বীরত্বকাব্যের পঙতি ধরে ধরে এসেছে
বাঙালির মুক্তিসোপান; যতো রক্তস্নান হয়েছে তার সব
হিসেব নেই তবুও সত্ত্বারা দাবী করেনি অধিকার!
আমাদের কী কথা ছিলো,অনুচ্ছেদগুলো ভুলে গিয়ে
আমদানি করা উৎসবের ডেমি বড়ো বেমানান!
আমাদের কী কথা ছিলো, বিজয়গাঁথার প্রত্যেক পঙতিতে?
এই মা, মায়ের মুখের ভাষা তার রাজসিক অভিষেক
হওয়ার কথা ছিলো!
প্রতিটি আত্মত্যাগের পরিচয় প্রজন্মের কাছে পৌছে
দেওয়ার অঙ্গীকারেই;
সেদিন এই রক্ত জাগোনদী ভাসিয়েছিল!
নির্বিকার নির্বিষ কথার মালার সাথে যতোই পুষ্পাঞ্জলি
দাও না কেনো, এই ঋণ কোনদিন শোধ হবে না!
/ডিএসএস