টাকা অচলের গুজব ছড়ায় কারা!
গতকাল পরিচিত একজন ফোন দিয়েছিলেন। ফোন দিয়েই বললেন, শুনলাম ১০০০ টাকার পুরাতন লাল নোট নাকি অচল হয়ে যাচ্ছে? আমি তার প্রশ্ন বুঝতে পারিনি। তাই জিজ্ঞেস করলাম, আপনার কথা আমি বুঝতে পারিনি।
তিনি বললেন যে, তিনি কয়েক জায়গা থেকে জানতে পেরেছেন, ১০০০ টাকার যে লাল নোট রয়েছে, সেগুলো ৩০-০৫-২০২২ এর পর নাকি অচল হয়ে যাবে। আর চলবে না।
আমি বললাম, এরকম খবর তো আমি জানি না। আপনি কোথা থেকে জানলেন। তিনি বললেন, কয়েকজন বলাবলি করছে। তিনি আরো যোগ করলেন যে, তার কাছে কিছু ১০০০ টাকার লাল নোট আছে। হঠাৎ বড় কোন প্রয়োজনে লাগতে পারে, এজন্য ব্যাংকেও জমা রাখেননি। এখন কি এই কষ্টের টাকা কি করবেন, সেটাই তার মূল দুশ্চিন্তা। আমি তাকে আশ্বস্ত করে বললাম, দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। এরকম কিছু হচ্ছে না। ১০০০ টাকা মূল্যমানের লাল নোট বাতিলের বিষয়ে আজ সকালেও কয়েকজনের প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো। এরপর সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখলাম একই খবর। কেউ কেউ দৃষ্টি আকর্ষণ নোটিশ পোস্ট করেছে। বলা হচ্ছে, ৩০-০৫-২০২২ এর পর ১০০০ টাকার লাল নোট বাতিল বলে গণ্য হবে। কিছু মানুষ তো অবশ্যই এই ধরনের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কতটা অসৎ হলে মানুষ এরকম মিথ্যা গুজব ছড়াতে পারে, জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, সেটাই ভাবছিলাম। ইতোমধ্যে, বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১০০০ টাকার লাল নোট কিংবা অন্য কোনো নোট অচল হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। জনসাধারণকে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য আমলে না নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
যাই হোক, সবাই সাবধান হোন। গুজব থেকে বাঁচুন। নিজের টাকা নিজের কাছে যত্ন করে রাখুন।
রিয়াজুল হক
যুগ্ম পরিচালক
বাংলাদেশ ব্যাংক।