সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জাতির পিতার জন্মদিনে তারুণ্যের ভাবনা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তারুণ্যের আঁতুড়ঘর। দেশ ও দেশের জনগণের জন্য ন্যায় সংগত সংগ্রামে ভরপুর তাঁর জীবনের ঘটনা প্রবাহ। কখনোই তিনি আত্মস্বার্থের কথা ভাবেননি। ভেবেছেন নির্যাতিত, শোষিত ও বঞ্চিতের কথা আর ভেবেছেন বাংলার স্বাধীনতার কথা তারুণ্য শক্তির ধারক-বাহক হয়ে।

বঙ্গবন্ধু এক অবিসংবাদিত আদর্শের নাম। স্বার্থহীনভাবে অপরের জন্য কাজ করার এক অনুপ্রেরণার নাম। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কারিগর, উদার ব্যক্তিত্ব, জনমানুষের নেতা, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি, সফল রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনায়ক। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম দিয়ে শুরুর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত মোট ৪৬৮২ দিন কারাগারেই কাটিয়েছেন তাঁর ২০২৩৬ দিনের জীবনে।

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চেতনার এক অনির্বাণ শিখা। তিনি তরুণদের নাড়ির স্পন্দন, আবেগ ও আকাঙ্ক্ষা সঠিকভাবে বুঝতে পারতেন। তাই তরুণ সহযোগীদের নিয়ে ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে গঠন করেছিলেন ‘গণতান্ত্রিক যুবলীগ’। আর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠন করেন ‘ছাত্রলীগ’। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, দেশের মানুষকে না গড়ে দেশের মানুষকে মবিলাইজ না করে পরিষ্কার আদর্শ নিয়ে চলা যায় না। তাই তরুণদের চিন্তা-চেতনায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মুক্তিবার্তা। তাঁর লেখা বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ আজকের তরুণদের কাছেও মুক্তির বার্তা ও প্রতিবাদের ভাষা। তাঁর আপোষহীন সংগ্রামী জীবন, অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে সদা প্রতিবাদী উচ্চারণ; আজও তরুণদের সঞ্জীবনী শক্তি। তারুণ্যের প্রতি বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ছিল অবিচল। যার অন্তরঙ্গ প্রমাণ এই বই তিনটি। তিনি তরুণদের বলছেন, "যেখানে অন্যায় অবিচার সেখানে প্রতিবাদ করো; মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্ষমতার ও স্বার্থের ঘর বড় করে তাদের প্রতিরোধ করো। তিনি বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে ঘৃণা করতেন। মানুষে মানুষে বিভাজনকে ঘৃণা করতেন। তার দর্শন ছিল এক বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও ধর্মনিরপেক্ষতায় আদর্শ মানবতার উদ্দীপনা। আজকের তরুণদের জন্য বিশ্বমানব হিসেবে গড়ে ওঠার এক অনন্য অবিসংবাদিত আদর্শ।

ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে ১৯৭২ সালের ৭ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ধর্ম নিরপেক্ষ মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান মুসলমানের ধর্ম পালন করবে। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে। খ্রিস্টান তার ধর্ম পালন করবে। বৌদ্ধও তার নিজের ধর্ম পালন করবে। এ মাটিতে ধর্মহীনতা নাই, ধর্মনিরপেক্ষতা আছে। এখানে ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না। ধর্মের নামে মানুষকে লুট করে খাওয়া চলবে না। ধর্মের নামে রাজনীতি করে রাজাকার, আলবদর পয়দা করা বাংলার বুকে আর চলবে না। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’ যা আজকের তরুণ সমাজের অসম্প্রদায়িক ভাতৃত্ববোধের এক অমোঘ আদর্শ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের এক অসাধারণ মন্ত্র।

বঙ্গবন্ধু অবিসংবাদিত নেতা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের আগে থেকেই তিনি তরুণদের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। তারুণ্যের স্বপ্ন ও প্রত্যাশাকে তিনি নিজের ভেতর ধারণ করতেন। তাই যখন জেলে বন্দী থাকতেন তখনও তাঁর স্বক্রিয়তা তিনি তরুণদের ভেতর সঞ্চারিত করতে পারতেন। তরুণ রাজনৈতিক হিসেবে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার অনন্য সাধারণ ক্ষমতা ছিল তাঁর। আর এর প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে; যেখানে তরুণদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে সংঘটিত সকল ন্যায় সংগত আন্দোলন ও প্রতিটি ছাত্র আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল অনন্য উচ্চতার। যার ফলে পাকিস্তানি সেনাশাসকের ভিত্তি কেঁপে ওঠে ছিল। আর এর পেছনে ছিল বাংলার তারুণ্যের জাগরণ। এই জাগরণের কারিগর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই জাগরণ ছিল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং স্বাধীনতাকামী।

বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মেলনে বাঙালির মুক্তির সনদ ‘ছয় দফা’ পেশ করেন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। যা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেন ২৩ মার্চ । এরপর তিনি তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান। সারাদেশব্যাপী জনসভা, জনসংযোগ শুরু করেন। তিনি যেখানে যেতেন সেখানেই ভিড় জমে যেত তাঁকে এক নজর দেখার জন্য ও তাঁর কথা শোনার জন্য। তরুণরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতো ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে। তাঁর ঐ সময়কার প্রতিটি সমাবেশে একটি বিশেষ কোট ব্যবহার করতেন যেটা ‘মুজিবকোট’ নামে পরিচিতি পায়। সেই কোটের মাধ্যমে ছয় দফার লালন ও প্রচার করে বাঙালি জনসাধারণকে মুক্তির পথ দেখান। সেই কোটে ছিল ছয় দফার ছয়টি বোতাম, দেশীয় কাপড়ে তৈরি এবং রং ছিল কালো। বাংলা জনসাধারণ বিশেষ করে বাংলার তরুণ সমাজ সেদিন জেগেছিল তাঁর উদ্দীপনায়। যার প্রমাণ ছাত্রদের ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান।

বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবন রাজনৈতিক আদর্শে জড়ানো থাকলেও তিনি অরাজনৈতিক বঙ্গবন্ধু। তাই তো বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানে কারাগার থেকে মুক্তি পেলে ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’-এর সভাপতি ও ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ রেসকোর্স তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংবর্ধনা সভায় তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সেদিন তরুণরা বুঝে গিয়েছিল শেখ মুজিবই বাংলার ত্রাণকর্তা। বাংলার স্বাধীনতার নায়ক।

বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমির নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে তারুণ্যের শক্তিতে বলিয়ান বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এই সবই ছিল বঙ্গবন্ধুর গণজাগরণের ফল। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরের তালবাহানা করে। বঙ্গবন্ধু ৩ মার্চ ১৯৭১ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। এই আন্দোলনে সর্বশ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলে। এরপর শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। ‘অপারেশন বিগ বার্ড’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক গ্রেফতারের পূর্বে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা যিনি তরুণ সমাজকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণদের সঙ্গী করেছেন। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত তরুণরা দূরদর্শীতায় দীক্ষিত ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির পিতা ও বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক’ ঘোষণা করে পল্টন ময়দানের সমাবেশে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যখন ঢাকার রেসকোর্স তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দেন, তখন দেশের সব মানুষের কাছে এই বার্তা তরুণরাই পৌঁছে দেয় সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে। বাংলার প্রতিটি ঘর হয়ে উঠল এক একটি দুর্গ। তরুণদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অন্তরের সম্পর্ক থাকায় অসহযোগ আন্দোলন ও স্বাধীনতার বার্তা সহজেই পৌঁছে যায় বাংলার প্রতিটি ঘরে। সচেতন হয় বাংলার মানুষ এবং সর্বতোভাবে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধে তরুণরা বুকের তাজা রক্ত উৎসর্গ করেছিল স্বাধীনতার জন্য। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আজও তরুণ সমাজকে নতুন করে ভাবতে শেখায়।

বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামমুখর কর্মময় জীবন ও আদর্শ তরুণদের এগিয়ে চলার পাথেয়। বঙ্গবন্ধুই বাংলার তরুণদের সঞ্জীবনী শক্তি। বঙ্গবন্ধু কোন নির্দিষ্ট দলের আদর্শ নন, তিনি বাঙালির আদর্শ। তিনি নেতা, বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীনতার ঘোষক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বিশ্বসভায় রাজনীতির কবি ও বিশ্ববন্ধু–কিংবদন্তি মহানায়ক। তাঁর সাথে কারো তুলনা চলে না। তাঁর তুলনা শুধুই তিনি। বঙ্গবন্ধু দল মত নির্বিশেষে সকলের। তিনি নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার নন। তিনি স্বতন্ত্র। প্রজন্ম জানুক বঙ্গবন্ধুই তারুণ্য। বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে প্রতিটি তরুণের স্লোগান হোক–জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

এমএসবি নাজনীন লাকী
সাহিত্য ও সমাজকর্মী, ময়মনসিংহ

এসএ/

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু