বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাতির পিতার জন্মদিনে তারুণ্যের ভাবনা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তারুণ্যের আঁতুড়ঘর। দেশ ও দেশের জনগণের জন্য ন্যায় সংগত সংগ্রামে ভরপুর তাঁর জীবনের ঘটনা প্রবাহ। কখনোই তিনি আত্মস্বার্থের কথা ভাবেননি। ভেবেছেন নির্যাতিত, শোষিত ও বঞ্চিতের কথা আর ভেবেছেন বাংলার স্বাধীনতার কথা তারুণ্য শক্তির ধারক-বাহক হয়ে।

বঙ্গবন্ধু এক অবিসংবাদিত আদর্শের নাম। স্বার্থহীনভাবে অপরের জন্য কাজ করার এক অনুপ্রেরণার নাম। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কারিগর, উদার ব্যক্তিত্ব, জনমানুষের নেতা, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি, সফল রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনায়ক। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম দিয়ে শুরুর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত মোট ৪৬৮২ দিন কারাগারেই কাটিয়েছেন তাঁর ২০২৩৬ দিনের জীবনে।

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চেতনার এক অনির্বাণ শিখা। তিনি তরুণদের নাড়ির স্পন্দন, আবেগ ও আকাঙ্ক্ষা সঠিকভাবে বুঝতে পারতেন। তাই তরুণ সহযোগীদের নিয়ে ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে গঠন করেছিলেন ‘গণতান্ত্রিক যুবলীগ’। আর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠন করেন ‘ছাত্রলীগ’। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, দেশের মানুষকে না গড়ে দেশের মানুষকে মবিলাইজ না করে পরিষ্কার আদর্শ নিয়ে চলা যায় না। তাই তরুণদের চিন্তা-চেতনায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মুক্তিবার্তা। তাঁর লেখা বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ আজকের তরুণদের কাছেও মুক্তির বার্তা ও প্রতিবাদের ভাষা। তাঁর আপোষহীন সংগ্রামী জীবন, অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে সদা প্রতিবাদী উচ্চারণ; আজও তরুণদের সঞ্জীবনী শক্তি। তারুণ্যের প্রতি বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ছিল অবিচল। যার অন্তরঙ্গ প্রমাণ এই বই তিনটি। তিনি তরুণদের বলছেন, "যেখানে অন্যায় অবিচার সেখানে প্রতিবাদ করো; মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্ষমতার ও স্বার্থের ঘর বড় করে তাদের প্রতিরোধ করো। তিনি বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে ঘৃণা করতেন। মানুষে মানুষে বিভাজনকে ঘৃণা করতেন। তার দর্শন ছিল এক বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও ধর্মনিরপেক্ষতায় আদর্শ মানবতার উদ্দীপনা। আজকের তরুণদের জন্য বিশ্বমানব হিসেবে গড়ে ওঠার এক অনন্য অবিসংবাদিত আদর্শ।

ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে ১৯৭২ সালের ৭ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ধর্ম নিরপেক্ষ মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান মুসলমানের ধর্ম পালন করবে। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে। খ্রিস্টান তার ধর্ম পালন করবে। বৌদ্ধও তার নিজের ধর্ম পালন করবে। এ মাটিতে ধর্মহীনতা নাই, ধর্মনিরপেক্ষতা আছে। এখানে ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না। ধর্মের নামে মানুষকে লুট করে খাওয়া চলবে না। ধর্মের নামে রাজনীতি করে রাজাকার, আলবদর পয়দা করা বাংলার বুকে আর চলবে না। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’ যা আজকের তরুণ সমাজের অসম্প্রদায়িক ভাতৃত্ববোধের এক অমোঘ আদর্শ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের এক অসাধারণ মন্ত্র।

বঙ্গবন্ধু অবিসংবাদিত নেতা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের আগে থেকেই তিনি তরুণদের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। তারুণ্যের স্বপ্ন ও প্রত্যাশাকে তিনি নিজের ভেতর ধারণ করতেন। তাই যখন জেলে বন্দী থাকতেন তখনও তাঁর স্বক্রিয়তা তিনি তরুণদের ভেতর সঞ্চারিত করতে পারতেন। তরুণ রাজনৈতিক হিসেবে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার অনন্য সাধারণ ক্ষমতা ছিল তাঁর। আর এর প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে; যেখানে তরুণদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে সংঘটিত সকল ন্যায় সংগত আন্দোলন ও প্রতিটি ছাত্র আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল অনন্য উচ্চতার। যার ফলে পাকিস্তানি সেনাশাসকের ভিত্তি কেঁপে ওঠে ছিল। আর এর পেছনে ছিল বাংলার তারুণ্যের জাগরণ। এই জাগরণের কারিগর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই জাগরণ ছিল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং স্বাধীনতাকামী।

বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মেলনে বাঙালির মুক্তির সনদ ‘ছয় দফা’ পেশ করেন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। যা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেন ২৩ মার্চ । এরপর তিনি তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান। সারাদেশব্যাপী জনসভা, জনসংযোগ শুরু করেন। তিনি যেখানে যেতেন সেখানেই ভিড় জমে যেত তাঁকে এক নজর দেখার জন্য ও তাঁর কথা শোনার জন্য। তরুণরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতো ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে। তাঁর ঐ সময়কার প্রতিটি সমাবেশে একটি বিশেষ কোট ব্যবহার করতেন যেটা ‘মুজিবকোট’ নামে পরিচিতি পায়। সেই কোটের মাধ্যমে ছয় দফার লালন ও প্রচার করে বাঙালি জনসাধারণকে মুক্তির পথ দেখান। সেই কোটে ছিল ছয় দফার ছয়টি বোতাম, দেশীয় কাপড়ে তৈরি এবং রং ছিল কালো। বাংলা জনসাধারণ বিশেষ করে বাংলার তরুণ সমাজ সেদিন জেগেছিল তাঁর উদ্দীপনায়। যার প্রমাণ ছাত্রদের ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান।

বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবন রাজনৈতিক আদর্শে জড়ানো থাকলেও তিনি অরাজনৈতিক বঙ্গবন্ধু। তাই তো বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানে কারাগার থেকে মুক্তি পেলে ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’-এর সভাপতি ও ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ রেসকোর্স তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংবর্ধনা সভায় তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সেদিন তরুণরা বুঝে গিয়েছিল শেখ মুজিবই বাংলার ত্রাণকর্তা। বাংলার স্বাধীনতার নায়ক।

বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমির নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে তারুণ্যের শক্তিতে বলিয়ান বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এই সবই ছিল বঙ্গবন্ধুর গণজাগরণের ফল। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরের তালবাহানা করে। বঙ্গবন্ধু ৩ মার্চ ১৯৭১ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। এই আন্দোলনে সর্বশ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলে। এরপর শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। ‘অপারেশন বিগ বার্ড’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক গ্রেফতারের পূর্বে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা যিনি তরুণ সমাজকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণদের সঙ্গী করেছেন। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত তরুণরা দূরদর্শীতায় দীক্ষিত ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির পিতা ও বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক’ ঘোষণা করে পল্টন ময়দানের সমাবেশে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যখন ঢাকার রেসকোর্স তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দেন, তখন দেশের সব মানুষের কাছে এই বার্তা তরুণরাই পৌঁছে দেয় সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে। বাংলার প্রতিটি ঘর হয়ে উঠল এক একটি দুর্গ। তরুণদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অন্তরের সম্পর্ক থাকায় অসহযোগ আন্দোলন ও স্বাধীনতার বার্তা সহজেই পৌঁছে যায় বাংলার প্রতিটি ঘরে। সচেতন হয় বাংলার মানুষ এবং সর্বতোভাবে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধে তরুণরা বুকের তাজা রক্ত উৎসর্গ করেছিল স্বাধীনতার জন্য। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আজও তরুণ সমাজকে নতুন করে ভাবতে শেখায়।

বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামমুখর কর্মময় জীবন ও আদর্শ তরুণদের এগিয়ে চলার পাথেয়। বঙ্গবন্ধুই বাংলার তরুণদের সঞ্জীবনী শক্তি। বঙ্গবন্ধু কোন নির্দিষ্ট দলের আদর্শ নন, তিনি বাঙালির আদর্শ। তিনি নেতা, বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীনতার ঘোষক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বিশ্বসভায় রাজনীতির কবি ও বিশ্ববন্ধু–কিংবদন্তি মহানায়ক। তাঁর সাথে কারো তুলনা চলে না। তাঁর তুলনা শুধুই তিনি। বঙ্গবন্ধু দল মত নির্বিশেষে সকলের। তিনি নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার নন। তিনি স্বতন্ত্র। প্রজন্ম জানুক বঙ্গবন্ধুই তারুণ্য। বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে প্রতিটি তরুণের স্লোগান হোক–জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

এমএসবি নাজনীন লাকী
সাহিত্য ও সমাজকর্মী, ময়মনসিংহ

এসএ/

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪