ছাত্রদল সভাপতির বক্তব্যের পর যে নির্দেশনা দিল ছাত্রশিবির
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। ছবি: সংগৃহীত
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও স্বাভাবিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করার চেষ্টা করছে। প্রকাশ্যে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে কমিটিও ঘোষণা করছে। তবে বিষয়টি অন্যান্য ছাত্র সংগঠন ভালোভাবে নিচ্ছে না এমন অভিযোগ করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরকে গোপন ও নিষিদ্ধ দাবি করে তিনি বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর ছাত্রদল প্রতিটি ক্যাম্পাসে কমিটি দিয়ে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করার মাধ্যমে প্রকাশ্যে দিবালোকে আমাদের কর্যক্রম পরিচালনা করছি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে একটি গোপন ও নিষিদ্ধ সংগঠন রয়েছে; তারা সাড়ে ১৫ বছর ছাত্রলীগের পতাকাতলে থেকে এবং তাদের আশ্রয়ে থেকে তারা একজনও প্রকাশ্যে আসার সাহস পায়নি।
এ সময় তিনি ছাত্রশিবিরকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আপনারা এমন কোনো ষড়যন্ত্র করবেন না আবার ১৯৭১ সালের ন্যায় আপনাদের আবার বড় ধরনের বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। এভাবে এই গোপন সংগঠনের তৎপরতার মাধ্যমে ইতিমধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে বয়কট করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন তাদেরকে।
ছাত্রদল সভাপতির এমন বক্তব্যের পর বিভিন্ন মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা এবার বিষয়টি নিয়ে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির।
এবার বিষয়টি নিয়ে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক বার্তায় নেতাকর্মীদের জানায়, ‘সম্প্রতি ছাত্রদল সভাপতির একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই লেখালেখি করছেন। আমরা আমাদের সকল দায়িত্বশীল ও জনশক্তি ভাইদের প্রতি কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া না দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি। ব্যক্তি ও দলীয় বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা জাতীয় ঐক্যকে প্রাধান্য দিতে চাই। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের অন্যতম স্পিরিট হলো জাতীয় ঐক্য ও ফ্যাসিবাদের নির্মূল। তাই আমাদের সবাইকে উদারতা ও দায়িত্বশীল আচরণ অব্যাহত রাখতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে ধৈর্য ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে কাজ করার তাওফিক দান করুন।’