সব আসনেই হারলো তৃণমূল বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত
প্রধান বিরোধীদল হবার ঘোষণা দিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনীতিতে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপির একজন প্রার্থীও কাঙ্খিত জয় তুলে নিতে পারেননি। দলটির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ১০ হাজার ভোটারের কোটা ছুঁতে সক্ষম হলেও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। ৪ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নাজমুল হুদার মেয়ে ও তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা।
সিলেট-৬ আসনে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। ওই আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ১৯২টি কেন্দ্রের ফলাফলে এই তথ্য জানা গেছে। এই আসনে নাহিদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৮৭ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আলোচিত প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। তিনি শুরু থেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে নিজেকে দাবি করলেও ফলাফল পুরোপুরি বিপরীত। এমন লজ্জাস্কর হারের পর তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। তবে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেননি।
এই আসনে চতুর্থবারের মতো জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া কেটলী প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট।
এর আগে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। পরে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ হারান তিনি।
মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে নাজমুল হুদার মেয়ে ও তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি সব মিলিয়ে ৪ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৮৬ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৩৮ জন এবং পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৮ জন।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলের অন্যান্য প্রার্থীদের অধিকাংশই জামানত হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সব হারিয়েছে বহুল আলোচিত দলটি।