দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: ফখরুল
ফাইল ফটো
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আর থাকবে না। তাই দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে তাদের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত মহান ভাষা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সময় খুব কম, আমাদের অতি দ্রুত নিজেদের সংগঠিত করতে হবে, অতি দ্রুত সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নেমে ভয়াবহ এই সরকার যারা বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না, বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে, তাই তাদের সরাতে হবে।
তিনি বলেন, 'আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দল ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যে গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সত্যিকারভাবে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।'
দুর্নীতিতে আজকে দেশে ভরে গেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দুর্নীতি দমন কমিশনও দুর্নীতি গ্রস্থ হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের যে কর্মকর্তা দুর্নীতির বিপক্ষে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে মন্ত্রী এবং উপদেষ্টার ফোনালাপ, যা ফাঁস হয়ে গেছে। ফোনালাপ ফাঁস এ বলা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় যিনি এই সরকারের অনেক বেতন পাওয়া একজন উপদেষ্টা, তার একটা প্রজেক্ট পাস করতে হবে। সেই ফোনালাপে বিচারককে পর্যন্ত সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি কথোপকথনে কি আছে তা জানতে চাই, আমরা এখনো দাবি করছি এই কথোপকথন এর মধ্যে যে বিষয় নিয়ে বলা হয়েছে সেই বিষয় সম্পর্কে আমরা তদন্ত চাই। আমরা জানতে চাই যে বিশেষ প্রজেক্ট ব্রেইন চাইল্ড ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে তা জনগনের সামনে উপস্থাপন করতে হবে, না হলে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদের দাঁড়াতে হবে।
আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলছে, দেশকে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
ফখরুল বলেন, এই সরকার মিথ্যা মামলায় গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
এমএইচ/আরএ/