শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপি কেন চুপ্পুকে রাখতে চায় যুক্তি খুঁজে পাই না: ফরহাদ মজহার

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। ছবি: সংগৃহীত

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, বিএনপি কেন চুপ্পুকে ক্ষমতায় রাখতে চায় আমি কোনো যুক্তি খুঁজে পাই না। এটার কোনো সাংবিধানিক যুক্তি এবং রাজনৈতিক যুক্তি নেই। এই তথাকথিত ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে ঢুকানোটাই ভুল ছিল। এই ভুলটা সংশোধন করার উপায় হচ্ছে প্রথমত চুপ্পুকে অপসারণ করা।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি এন্ড পিস স্টাডিজের উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের বললেন তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নেই; তিনি (রাষ্ট্রপতি) তখনই আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার ওই পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, এটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। এট সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার। সেনাপ্রধানের সাপোর্টের কারণে এই সরকার এখনো টিকে আছে। সেনাপ্রধান যদি এই সরকারকে সমর্থন না করেন তাহলে সরকার মুহূর্তের ভেতরেই পড়ে যাবে। তার শুভবুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে এটা দাঁড়িয়ে আছে। আমরা সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার চাই না। আমাদের সৈনিকরাও চাই না। সৈনিকরা গুলি করতে অস্বীকার করেছিল বলে এই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে। শ্রমিকদের অভিপ্রায়ের সঙ্গে আমরা এখানে যারা উপস্থিত আছি আমাদের অভিপ্রায় মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যে রাষ্ট্র জনগণের অভিপ্রায়কে প্রতিনিধিত্ব করে।

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটাই প্রধান দায়িত্ব সেটা হলো এই দেশকে একটি নতুন গঠনতন্ত্র অথবা একটি কনস্টিটিউশন উপহার দেওয়া। নতুন গঠনতন্ত্র কি করে হবে এটা করার জন্য আপনারা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। জনগণের অভিপ্রায় আপনাদের জনগণের কাছে এসেই শুনতে হবে। আমরা পরস্পরে আলাপ-আলোচনা করে একটা জায়গায় আসবো যেটা জনগণের সমষ্টির অভিপ্রায়।

তিনি বলেন, এই পুঁজি তান্ত্রিক ব্যবস্থায় ইলেকশন করাটা হলো একটি বাজার ব্যবস্থা ব্যবসা। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইলেকশন কখনো গণতন্ত্রকে রিপ্রেজেন্ট করে না। নির্বাচনের সময় ভোট কেনা-বেচা করে এটাতো জনগণের অভিপ্রায় নিশ্চিত হবে না। আমরা চেয়েছি জনগণের অভিপ্রায় নিশ্চিতকরণ। যাদের কাছে টাকা আছে বিশেষ করে লুটেরা মাফিয়া শ্রেণি তারাই এই ইলেকশনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবে। আমি আপনি কেউ রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ করতে পারবো না। এখন আমাদেরকে এমন একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হবে যেখানে সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে পারে। সেই নীতি আমাদের সংবিধানে এখনো আছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে এজন্যই বলব নির্বাচন সমাধান নয়। নির্বাচন আমরা অবশ্যই চাই। কিন্তু নির্বাচনের আগে সর্বপ্রথম গণপরিষদ নির্বাচন করতে হবে। একটা নতুন খসড়া তৈরি হবে, সেই খসড়ার আলাপ আলোচনা করার জন্য গণপরিষদের নির্বাচন ব্যবস্থা করতে হবে।

Header Ad

পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে রবিবার থেকে অভিযান

ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধের কার্যক্রম কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে রবিবার (৩ নভেম্বর) থেকে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অভিযানকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পলিথিন বন্ধে দেশব্যাপী উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে রোববার (৩ নভেম্বর) থেকে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

এর আগে, সকাল ১০টার পর তপন কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটির ৭ থেকে ৮ সদস্য এই অভিযান পরিচালনা শুরু করেন।

এ সময় বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষকে পলিথিন ব্যবহার না করে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে দোকানিদের পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং পরবর্তী অভিযানে পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সুপারশপের পর আজ থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে। একই সঙ্গে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় ১৯ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান, ২ নাগরিক অভিযুক্ত

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়াকে সাহায্য করার অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ও দুই ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনো সেই দুই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় শুধু ভারত নয়, রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সুইজারল্যান্ডের বেশ কিছু সংস্থাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এ সংস্থাগুলো রাশিয়ার কাছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করেছে, যা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ২৭০ ব্যক্তি ও সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে, এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে।

ভারতের ওপর আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখযোগ্য একটি সংস্থা হলো ‘অ্যাসেন্ট অ্যাভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সংস্থাটি রাশিয়ার জন্য প্রায় সাতশতাধিকবার সামরিক যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য পণ্য পাঠিয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ ডলারের বেশি মূল্যের কিছু পণ্য ছিল কমন হাইপ্রায়োরিটি তালিকাভুক্ত (সিএইচপিএল), যা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা ভারতসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে আদানি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কাছে প্রায় ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা পাওনা ভারতের আদানি গ্রুপের। বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ এই অর্থ জমে থাকার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে আদানি কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় অবস্থিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিনের বেলা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে গড়ে মাত্র ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। যদিও গত বুধবার পর্যন্ত দিনে গড়ে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো।

এদিকে বর্তমানে দেশীয় কয়লাভিত্তিক তিন বিদ্যুৎকেন্দ্র—এস আলম, রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হয়েছে, যার ফলে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সরবরাহে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি থাকছে।

সম্প্রতি আদানি পাওয়ার (ঝারখণ্ড) লিমিটেডের প্রতিনিধি ও যৌথ সমন্বয় কমিটির সভাপতি এম আর কৃষ্ণ রাও এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিসি) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১৭০.০৩ মিলিয়ন ডলারের জন্য প্রয়োজনীয় এলসি প্রদান করেনি এবং ৮৪৬ মিলিয়ন ডলারের (১০,০৮৬ কোটি টাকা) বকেয়াও শোধ করেনি।

তিনি উল্লেখ করেছেন, সময়মতো এলসি না দেয়া এবং বকেয়া পরিমাণ পরিশোধ না করার ফলে পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টের আওতায় ম্যাটেরিয়াল ডিফল্ট ঘটেছে, যা আদানি পাওয়ারের সরবরাহ বজায় রাখতে বাধা দিচ্ছে। বহু বকেয়া পরিশোধ ও এলসির অভাবে আমরা কয়লা সরবরাহকারী এবং অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ কন্ট্রাক্টরদের জন্য কাজের মূলধন নিরাপদে রাখতে পারছি না। আমাদের ঋণদাতারাও সহায়তা প্রত্যাহার করছে।

আদানি তাদের চিঠিতে বিপিডিসিকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের মধ্যে এই ডিফল্টগুলো সমাধানের আহ্বান জানায়। অন্যথায় ৩১ অক্টোবর ২০২৪ থেকে সরবরাহ বন্ধ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আদানির বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। এ কারণে কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে রবিবার থেকে অভিযান
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় ১৯ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান, ২ নাগরিক অভিযুক্ত
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে আদানি
বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম
বিএনপি কেন চুপ্পুকে রাখতে চায় যুক্তি খুঁজে পাই না: ফরহাদ মজহার
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৫২ বাংলাদেশি
আওয়ামী সরকারের কোনো অপকর্মে জড়িত ছিলাম না: জি এম কাদের
আজ থেকে কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ
এবার ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালানোর নির্দেশ খামেনির
বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদকে ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা
জুমার দিন ভুলেও যে পাঁচটি কাজ করা যাবে না
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মসজিদের ইমাম ও সেনা সদস্য নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৯৫, লেবাননে ৪৫
অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হতে ২ মাস সুযোগ দিল আমিরাত
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেপ্তার
গুলিতে ঝাঁঝরা ছিল আবু সাঈদের বুক, ৬ বার পরিবর্তন করা হয় প্রতিবেদন: চিকিৎসক
এসআইবিএল থেকে ‘এস আলমের নিয়োগ দেওয়া’ ৫৭৯ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমল
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৩১
সাফজয়ী নারী দলকে ১ কোটি টাকা পুরস্কার দিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়