শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৩০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরকারি দলের কারণে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে: তৈমূর

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি দলের কারণে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী খন্দকার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের এই প্রার্থী।

তৈমূর বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। সরকারি দল কর্তৃক এটা বিঘ্নিত হচ্ছে। জাতীয় পার্টি সরকারের সাথে জোট বেঁধেছে। নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছে সরকারকে চাপ দিয়ে। আমরা মাটি কামড়ে হলেও নির্বাচনী মাঠে থাকবো। আমরা নির্বাচন চালিয়ে যাব এবং বিশ্ববাসীর কাছে সরকারের আচরণ তুলে ধরব। আমার নির্বাচনে যা যা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরব।

তিনি বলেন, পত্রিকায় এসেছে ‘বিএনপির লোকজনের হাত-পা ভেঙে পুলিশে দেবেন’, এটা কে বলেছে; আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিমউদ্দীন বলেছে। দেশব্যাপী সরকারি দলের প্রার্থীদের এসব কর্মকাণ্ড চলছে। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। আমরা বারবার অভিযোগ করেছি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য। কিন্তু সেই অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। মঙ্গলবার বিদেশি পিস্তলসহ গাজী সাহেবের (পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী) এক সমর্থক আটক হয়েছে। সরকার তার দলীয় লোক থেকে অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ হয় তাহলে সাধারণ মানুষের ভয় কাটবে না। এজন্য অস্ত্র উদ্ধার করা দরকার, পাশাপাশি যারা বিএনপিকে হুমকি দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

তৈমূর আরও বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তার কর্মসূচি সাংবিধানিক ভাবে হলে থ্রেট দেওয়া উচিত না। দেশে তো আইনকানুন আছে। যারা অতিউৎসাহী হয়ে এ ধরণের কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিন।

গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, গাজী সাহেব অস্ত্র নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তার প্রতিটি মিছিলে অস্ত্রধারীরা থাকে। কেন্দ্রেও এই অস্ত্রধারীরা থাকবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করতে চাই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচনে থাকবেন কী থাকবেন না এটা নিয়ে আশংকা করেছে। সরকার আমাদের সাথে যে কমিটমেন্ট করেছে এটার শেষ আমরা দেখে ছাড়বো। শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে।

Header Ad

জুলাই বিপ্লবের ১০০তম দিন আজ, দিনব্যাপী নানা আয়োজন

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের ১০০তম দিন। এই বিশেষ দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমার প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির তথ্য জানানো হয়। কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের পরিবারের প্রতি সংহতি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং তাদের সম্মান জানানো।

এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদ ও আহত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেওয়া, আর্থিক সহায়তা এবং চিকিৎসা-সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে সহযোগিতা করা। এছাড়াও রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জনগণের মতামত সংগ্রহ করা, জুলাই বিপ্লবের ভয়াবহ স্মৃতিগুলো সংরক্ষণ করা এবং শহীদদের কবর জিয়ারত ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া আয়োজন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চব্বিশের বিপ্লবের প্রিয় সহযোদ্ধারা, জুলাই বিপ্লবের ১০০তম দিন উপলক্ষে আমাদের শহীদ ও আহত সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে, তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।”

শহীদদের স্মৃতিচারণ এবং আহতদের জন্য এই উদ্যোগকে আন্দোলনের সমর্থকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। এ কর্মসূচির মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশের সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চায়।

Header Ad

মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা শতগুণ কঠিন : আসিফ মাহমুদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের থেকে মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা শতগুণ কঠিন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের থেকে মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা শতগুণ কঠিন। মুজিববাদ প্রশ্নে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি দুঃখজনক ভাবে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও লিখেন, এ লড়াইয়ের পথে কি ২৪ এর প্রজন্ম একা?

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বঙ্গভবনের দরবার হলের দেয়াল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে তা জানিয়েছেন। শেখ মুজিবের ছবি সরানো নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলমান এখন।

এরই মধ্যে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একাত্তর পরবর্তী ‘ফ্যাসিস্ট’ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের বন্দনা বন্ধ করার কথা বলেছেন। পাশাপাশি মুজিববাদ ও শেখ হাসিনাকে হাসিনাকে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন।

এবার অন্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানালেন মুজিববাদ নিয়ে তার অভিমত।

Header Ad

কৃতকর্মে নেই অনুশোচনা, ক্ষমতা হারানোকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ

শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানোর তিন মাস পরও নিজেদের কৃতকর্মের কোনো অনুশোচনা করছে না আওয়ামী লীগ। বরং দলটি এখনো পুরো ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। বিশেষ করে, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন দমনে বলপ্রয়োগ এবং হতাহতের ঘটনায় দলটি এখনো দুঃখ প্রকাশ করেনি।

দলটির শীর্ষ নেতারা বিশ্বাস করেন যে গণঅভ্যুত্থানের আড়ালে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। বর্তমানে সংগঠনকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। দলের কিছু নেতাকর্মী দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যদিও দলটির নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশই এখনো আত্মগোপনে রয়েছেন।

গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস পর নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা করতে প্রথম আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু, বিদেশে আত্মগোপনে থেকে দলীয় নেতাদের বাংলাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা করার বিষয়টি নিয়ে দলের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা অভিযোগ করছেন, এতে দেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা আরও বিপদের মুখে পড়ছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে ক্ষমা না চাইলে মাঠে ফিরে আসা তাদের জন্য কঠিন হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংস পরিস্থিতির পর শেখ হাসিনা আন্দোলনটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। ক্ষমতা হারানোর পরও দলটির নেতারা একই কথা বলে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম দাবি করেন, “গণঅভ্যুত্থান ছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এর পেছনে একটি বিদেশি শক্তির হাত ছিল।” তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ মনে করে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার পেছনে বিদেশি শক্তির ভূমিকা ছিল।

আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলি ও বলপ্রয়োগে প্রায় সাড়ে আটশ’রও বেশি মানুষ নিহত ও ২০ হাজারেরও বেশি আহত হন। এই বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে আন্দোলনে একটি তৃতীয় পক্ষের হাত ছিল।”

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানায়, প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। অনেকে ক্ষমতার অপব্যবহারে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে দলটির কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের সম্পত্তিতে হামলার ঘটনা ঘটে। জীবন রক্ষার্থে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই। শেখ হাসিনা ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।

সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নেত্রীসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।” সূত্র: বিবিসি বাংলা

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই বিপ্লবের ১০০তম দিন আজ, দিনব্যাপী নানা আয়োজন
মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা শতগুণ কঠিন : আসিফ মাহমুদ
কৃতকর্মে নেই অনুশোচনা, ক্ষমতা হারানোকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ
হালাল অর্থনীতির বিকাশে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ইন্দোনেশিয়ার
আজীবন ফ্রি চিকিৎসাসেবা পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা
টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার
এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি, পরিপত্র জারি
৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়
বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই: আসিফ নজরুল
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ
শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
আগামীতে আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র থাকবে না: তারেক রহমান
বঙ্গবন্ধু নাম পাল্টে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় লেখা সাইনবোর্ড টানালেন শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল
মাউশির ৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ে নতুন উপ-পরিচালক
ঢাবিতে ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ভারতে বসে শেখ হাসিনার মোবাইল ব্যবহার ও বিবৃতি নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ
গাইবান্ধায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড