শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বাতিল করতে সিইসিকে চিঠি
শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বাতিল করতে সিইসিকে চিঠি। ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাটি-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের (বীর উত্তম) প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠি দিয়েছেন নামে এক ব্যক্তি।
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগের হয়ে ভোটের মাঠে নেমে শাহজাহান ওমর ধারাবাহিকভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ করে সিইসিকে এ চিঠি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত, তিনি দলটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী মোহাম্মদ শাজাহান ওমর (ঝালকাঠি-১, আসন নং ১২৫) গত ৪ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ১০টার সময় কাঠালিয়া উপজেলাধীন পাইলট স্কুল মাঠে একটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সভায় তার অনুসারীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়।
যা নির্বাচন আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে জারিকৃত বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে মোহাম্মদ শাজাহান ওমর আসন্ন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তার এই ধরনের আচরণে এলাকার সাধারণ জনগণ ভীত। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হওয়ার দিন শাহজাহান ওমরই ছিলেন সবচেয়ে বড় চমক। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের পর গাড়িতে আগুনের মামলায় ৫ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৯ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। বিএনপির একমাত্র জ্যেষ্ঠ নেতা হিসেবে জামিন পাওয়া নিয়ে সেদিনই শুরু হয় নানা আলোচনা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা শাহজাহান ওমরের দাবি, তিনি শুরু থেকেই ‘জয় বাংলার লোক’।
বিএনপি দিয়ে রাজনীতি শুরু করলেও এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালেই ‘নৌকায় চড়তে’ চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাকে না নেয়ায় বিএনপিতে থেকে যান। টানা ৪৮ বছর বিএনপি করে এলেও দলটির রাজনীতি তার ‘পছন্দ নয়’। তার দৃষ্টিতে, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বারবার ভোট বর্জন করতে পারে না, তাহলে নেতাকর্মীদের ধরে রাখা সম্ভব নয়। বিএনপি যেভাবে চলছে, তাতে দলটি জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে বলেও মনে করছেন মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বীরউত্তম খেতাব পাওয়া শাহজাহান ওমর।