সরকারের পতন ঘটিয়ে অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে: টুকু
বর্তমান সরকারের হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু।
তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন নেই, ন্যায় বিচার নেই। স্বাধীনতার মুল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রকে এই সরকার হত্যা করেছে।’
মঙ্গলবার (২ মে) বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে যুবদল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, ‘এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ আজ বঞ্চিত। এদেশে শুধু সংসদ নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচন গুলোতেও জনগণ ভোট দিতে পারেনি। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এমন একটি সময়ে যখন সারাদেশের মানুষ দিশেহারা। দিশেহারা মানুষদের সামনে তিনি কাণ্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি শুধু ঘোষাণা দিয়েই থেমে যাননি, সম্মুখে যুদ্ধ করেছেন।
যুবদল সভাপতি বলেন, রক্ত দিয়ে আমরা এ দেশকে স্বাধীন করেছি। প্রত্যাশা ছিল স্বাধীনভাবে বসবাস করা, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সাম্যের প্রতিষ্ঠা করা, অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ এমন অবস্থা, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য। ধনী সবচাইতে ধনী আর গরিব সবচাইতে গরিব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্র বিদায় করেছে। দেশের দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে-তাতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে, যারা ধনী তাদের কথা আলাদা, কিন্তু যে মানুষ মাস শেষে নির্দিষ্ট বেতন পান তাদের সংসার চলছে না।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, দীপু সরকার, কামরুজ্জামান দুলাল, মহসিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হাসান স্বাধীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. রাসেল প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/