সরকারের ইঙ্গিতে তারেক-জোবাইদার মামলার চার্জ গঠন: ফখরুল
চলমান আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতেই সরকারের ইঙ্গিতে তারেক-জোবাইদার মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে নেতা-কর্মী ও জনগনের মনোবল বিনষ্ট করতেই সরকারের ইঙ্গিতে মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে। যেসব অভিযোগে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা অবান্তর, ভিত্তিহীন ও অমূলক। চার্জ গঠন করে মামলার একতরফা যে রায় দেওয়া হবে তা হবে প্রতিহিংসামূলক, ফরমায়েশি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- এসব মামলা, অভিযোগ গঠন, আদেশ, রায় দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত বা ডা. জোবাইদা রহমানকে হেয় প্র্রতিপন্ন করতে পারবে না। এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনকে বিভ্রান্ত বা নস্যাত করতে পারবে না।’
‘হীন এই কর্মকাণ্ডের পথ থেকে সরে এসে সুস্থ ও সুষ্ঠু রাজনীতির ধারায় ফিরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
গত ১৩ এপ্রিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। সেদিন তারেক-জোবাইদার পক্ষে ব্যক্তিগত খরচে আইনজীবী নিয়োগের আবেদনটিও নামঞ্জুর করেন আদালত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনের পরিণত হয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যেসব সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিল বা চুক্তিতে যেখানে তারেক রহমানের নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নাই, তাকে সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কল্পনিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিরাজমান সীমাহীন দুর্নীতির মহাতাণ্ডব দুর্নীতি দমন কমিশনের চোখে পড়ছে না। বর্তমানে আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুগত ব্যবসায়ী, আমলা ও নেতা-কর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদক কোনো পদক্ষেপ নেয় না। তারা (দুদক) এখন ফ্যাসিস্ট এই সরকার আন্দোলন দমাতে যে চক্রান্ত শুরু করেছে তার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ইতিপূর্বে বলেছি, এই ১/১১ থেকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরানোর একটা স্কিম কাজ করেছে যা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গত সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছিল। এখনো ঠিক একই কায়দায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে একতরফাভাবে সাজা দেওয়ার সকল প্রকারের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার।’
এমএইচ/এমএমএ/