সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘পিলখানা ট্র্যাজেডিতে দেশের সার্বভৌমত্ব মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে’

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দুর্বল ও দেশের সামরিক বাহিনীকে মেধাশূন্য করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে ২০০৯ সালে পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেন, ওই ঘটনার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র দায়ী। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে শহীদ সেনা দিবস ও জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হোক।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ সেনা দিবস‘ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

সভায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৪ মার্চ সারাদেশে বিভাগীয় শহরের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে ১২ দলীয় জোট।

জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও এসএম শামীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গণি, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করীম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান, ১২ দলীয় জোটের নেতা মুফতি জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, হান্নান আহমেদ বাবলু, রফিকুল ইসলাম মিন্টু, মিজান পাটোয়ারী, চাষী এনামুল হক, মাওলানা তরিকুল ইসলাম সাদী, এমএ পাশা প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশকে পঙ্গু বানানো। এই হত্যাকাণ্ড ছিল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সেদিনের সেই নারকীয় ঘটনার মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। সেদিন শুধু চৌকষ সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডের কুশীলব কারা ছিল জাতি আজও জানতে পারেনি। তাদের কেনইবা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো না? জাতি সেটা জানতে চায়।

তারা বলেন, দেশে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেইসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আলেম ওলামা এবং অন্যান্য রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যাতে কোনো ভোট ডাকাতির সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসতে না পারে।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, পিলখানার ঘটনা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আজকে সেই ঘটনা নিয়ে কথা বলা অত্যন্ত কষ্টকর। আজকেও দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারের মন্ত্রীদের কেউ বলে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। কেউ বলে পারবেন না। আসলে তারা প্রলোভন দেখানো শুরু করেছে।

তিনি বলেন, দেশের চলমান সংকট নিরসনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ১২ দলীয় জোট অংশগ্রহণ করবে। এজন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে। সেই সক্ষ্যে আগামী ৪ মার্চ সারাদেশে বিভাগীয় শহরের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হবে।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, পিলখানায় যা ঘটেছিল তা নির্মম হত্যাযজ্ঞ। সেই ঘটনা ৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন, এরআগে ২০০০ সালের দিকে কুড়িগ্রাম সীমান্তে বড়ইবাড়িতে বিএসএফ ও তৎকালীন বিডিআর এর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছিল। সেসময় ১৬/১৭ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। যা ছিল বিএসএফের পরিকল্পিত ঘটনা।

তিনি বলেন, সেসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র অনেক হুমকি দিয়েছে। তারা পিলখানা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বিডিআরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু পরবর্তী সরকার আ ল ম ফজলুর রহমানকে চাকুরিচ্যুত করেছে। ওই যে বিএসএফ পরাজিত হয়েছে তার কারণে বিএসএফ ক্ষুব্ধ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় পিলখানা হত্যকাণ্ড ঘটতে পারে। এটা আমরা ব্যক্তিগত মূল্যায়ন।

সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার করব। সেদিন কেউ পার পাবে না। সেই ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার ও ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা করব। আমরা পরিবর্তন চাই। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন চাই। কারণ বর্তমান সরকার দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়। তরুণ সমাজকে নাস্তিক বানানোর জন্য কাজ করছে সুপরিকল্পিতভাবে। আসুন এই সরকারের পতনের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে শামিল হই।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, পিলখানার নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। সেইসাথে প্রতিবেশী দেশও দায় এড়াতে পারে না। কেনো সেখানে মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক সেদিন গিয়েছিল? সেই জবাব প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে। আজকে কার কাছে আমরা বিচার চাইব? আমরা তাদের পতন চাই। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। আমরা যেন ভারত শাসিত রাজ্যে বাস করছি? আজকে ৯৫ বার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিট দাখিল পেছানো হয়েছে। এটা কেনো?

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নির্মমভাবে শহীদ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সেদিনের ঘটনা ঘটেছে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেই সেদিনের বর্বর ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। অধিকার আদায়ে বিএনপি সহ আমরা রাজপথে আছি। আসুন সবাই মিলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ। এটা সিকিম নয় ভূটান নয়, এটা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার স্বাধীন বাংলাদেশ।

এমএইচ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা

বক্তব্য রাখছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এই সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। যতই বদনাম করুন, চার মাসের কাছাকাছি শোনেন নাই যে হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এই সরকারে যারা কাজ করছে হয়ত তাদের অনেকেরই আমাদের মত প্রশাসনিক নলেজ কম থাকতে পারে, কিন্ত কোনো অসৎ ব্যক্তি আমাদের কেবিনেটে নেই, টপ টু বটম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাবে বিএসসির (বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন) ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নৌ উপদেষ্টা বলেন, বিএসসিতে আগের মতো চুরিচামারি ও হেরফের হবে না। কোনো চোর ধরা পড়লে তার আর রক্ষা নেই।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএসসির জাহাজের বহর আরও বড় করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, আগামী দুই বছরে এটা সম্ভব হবে। তখন শেয়ার হোল্ডাররা আরও বেশি লভ্যাংশ পাবে বলে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রামে (বন্দরে) ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থা করছি। কয়েকটা কান্ট্রি চট্টগ্রাম বন্দর, বে টার্মিনালসহ আরও অন্যান্য বন্দরে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৬০০ মিলিয়ন ডলার বে টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য বসে আছে। দ্রুত আমরা এটা সাইন করবো।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেয়ারের বাজারে বর্তমান দুর্দিনে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর এ লভ্যাংশ আরও বাড়বে।

বিএসসির ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ নিট মুনাফা করেছে বিএসসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর সমন্বয়ের পর সংস্থাটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৪৯.৬৯ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। তখন শিপিং করপোরেশনের বহরে ছিল ৩৪টি জাহাজ। এতো জাহাজ থাকার পরও সে সময় বিএসসি লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমানে পাঁচ জাহাজে রেকর্ড সংখ্যক লাভ করেছে।

Header Ad
Header Ad

কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যেতে পারেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে যাবেন। ম্যাডামের সঙ্গে তার চার-পাঁচজন চিকিৎসক যাবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, শারীরিকভাবে নতুন কোনো সমস্যা উদয় না হলে, ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) দিনে একটি ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকা ছাড়বেন। তার সঙ্গে সফর করবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. শাহাবউদ্দিন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন।

এর আগে, ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক

ছবি: সংগৃহীত

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দখলদার বাহিনীর সঙ্গে হামাস ও ইসলামী জিহাদ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংঘর্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণে অন্তত ৩৫ জন ইসরাইলি সেনা নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষের এই ঘটনা দখলদার বাহিনীর জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ৭০ শতাংশ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

দখলদার সেনারা ৯৬,০০০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে জাবালিয়া শিবির ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় একটি গণহত্যামূলক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এ আগ্রাসন শুরু হয় হামাসের ঐতিহাসিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায়। যা ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদারদের বাড়তে থাকা অত্যাচার-নিপীড়নের জবাব হিসেবে পরিচালিত হয়।

এরপরই ইসরাইল গাজার ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে এবং গণহত্যামূলক নির্মূল অভিযান শুরু করে। উপত্যকাটিতে ২০ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস করত। তাদের জন্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

গাজায় গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত মোট ৪৫,২৫৯ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ১০৭,৬২৭ জন।

রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান