শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘পিলখানা ট্র্যাজেডিতে দেশের সার্বভৌমত্ব মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে’

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দুর্বল ও দেশের সামরিক বাহিনীকে মেধাশূন্য করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে ২০০৯ সালে পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেন, ওই ঘটনার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র দায়ী। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে শহীদ সেনা দিবস ও জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হোক।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ সেনা দিবস‘ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

সভায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৪ মার্চ সারাদেশে বিভাগীয় শহরের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে ১২ দলীয় জোট।

জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও এসএম শামীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গণি, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করীম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান, ১২ দলীয় জোটের নেতা মুফতি জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, হান্নান আহমেদ বাবলু, রফিকুল ইসলাম মিন্টু, মিজান পাটোয়ারী, চাষী এনামুল হক, মাওলানা তরিকুল ইসলাম সাদী, এমএ পাশা প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশকে পঙ্গু বানানো। এই হত্যাকাণ্ড ছিল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সেদিনের সেই নারকীয় ঘটনার মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। সেদিন শুধু চৌকষ সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডের কুশীলব কারা ছিল জাতি আজও জানতে পারেনি। তাদের কেনইবা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো না? জাতি সেটা জানতে চায়।

তারা বলেন, দেশে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেইসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আলেম ওলামা এবং অন্যান্য রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যাতে কোনো ভোট ডাকাতির সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসতে না পারে।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, পিলখানার ঘটনা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আজকে সেই ঘটনা নিয়ে কথা বলা অত্যন্ত কষ্টকর। আজকেও দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারের মন্ত্রীদের কেউ বলে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। কেউ বলে পারবেন না। আসলে তারা প্রলোভন দেখানো শুরু করেছে।

তিনি বলেন, দেশের চলমান সংকট নিরসনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ১২ দলীয় জোট অংশগ্রহণ করবে। এজন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে। সেই সক্ষ্যে আগামী ৪ মার্চ সারাদেশে বিভাগীয় শহরের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হবে।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, পিলখানায় যা ঘটেছিল তা নির্মম হত্যাযজ্ঞ। সেই ঘটনা ৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন, এরআগে ২০০০ সালের দিকে কুড়িগ্রাম সীমান্তে বড়ইবাড়িতে বিএসএফ ও তৎকালীন বিডিআর এর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছিল। সেসময় ১৬/১৭ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। যা ছিল বিএসএফের পরিকল্পিত ঘটনা।

তিনি বলেন, সেসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র অনেক হুমকি দিয়েছে। তারা পিলখানা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বিডিআরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু পরবর্তী সরকার আ ল ম ফজলুর রহমানকে চাকুরিচ্যুত করেছে। ওই যে বিএসএফ পরাজিত হয়েছে তার কারণে বিএসএফ ক্ষুব্ধ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় পিলখানা হত্যকাণ্ড ঘটতে পারে। এটা আমরা ব্যক্তিগত মূল্যায়ন।

সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার করব। সেদিন কেউ পার পাবে না। সেই ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার ও ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা করব। আমরা পরিবর্তন চাই। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন চাই। কারণ বর্তমান সরকার দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়। তরুণ সমাজকে নাস্তিক বানানোর জন্য কাজ করছে সুপরিকল্পিতভাবে। আসুন এই সরকারের পতনের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে শামিল হই।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, পিলখানার নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। সেইসাথে প্রতিবেশী দেশও দায় এড়াতে পারে না। কেনো সেখানে মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক সেদিন গিয়েছিল? সেই জবাব প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে। আজকে কার কাছে আমরা বিচার চাইব? আমরা তাদের পতন চাই। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। আমরা যেন ভারত শাসিত রাজ্যে বাস করছি? আজকে ৯৫ বার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিট দাখিল পেছানো হয়েছে। এটা কেনো?

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নির্মমভাবে শহীদ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সেদিনের ঘটনা ঘটেছে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেই সেদিনের বর্বর ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। অধিকার আদায়ে বিএনপি সহ আমরা রাজপথে আছি। আসুন সবাই মিলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ। এটা সিকিম নয় ভূটান নয়, এটা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার স্বাধীন বাংলাদেশ।

এমএইচ/আরএ/

Header Ad

শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে: মাসুদ সাঈদী

ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার জুলুমের প্রতিবাদে গত জুলাই মাসে ছাত্ররা তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্র আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা করেছিল। সকল জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদে মা তার দেড় মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। শিশু থেকে শুরু করে নব্বই বছরের বয়স্ক মানুষও ছাত্রদের আন্দোলনে শামিল হন।

তিনি বলেন, হাজারো ছাত্র-জনতার প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমে দেশের ঐতিহাসিক পরিবর্তন ঘটে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা ঐসব শহীদদের স্মরণ করছি, যাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা শান্তি-স্বস্তির পরিবেশে বসবাস করতে পারছি। তারা জাতিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিয়েছে। যারা আন্দোলনে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন আল্লাহ তাদের শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন। আল্লাহতায়ালা তাদের পরিবারগুলোকে এই শোক বহন করার তৌফিক দান করুন, তাদের উত্তম সবর করার তৌফিক দান করুন। যারা আহত হয়েছেন তাদের আল্লাহতায়ালা সুস্থতার নিয়ামত দান করুন।

শনিবার বিকালে পিরোজপুর উপজেলার ৭নং শংকরপাশা ইউনিয়নের নামাজপুরে ইউনিয়ন জামায়াত আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনিয়ন সভাপতি মনির হেসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জাল হেসেন ফরিদ, পৌর আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পিরোজপুর জেলা সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম, চালনা নামাজপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা রেজাউল করিমসহ স্থানীয় ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ।

প্রধান বক্তা মাসুদ সাঈদী বলেন, খুনি হাসিনা ক্ষমতার লোভে জেদের বশবর্তী হয়ে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার শুধু স্থলভাগেই নয়, আকাশ থেকেও গুলি চালিয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের হত্যা করেছে। স্বাধীন দেশে পরিচালিত এই গণহত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যিনি সুনির্দিষ্ট অপরাধ করেছেন- তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং তাকে শাস্তি পেতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং গত সাড়ে ১৫ বছরে যেসব অপরাধ করা হয়েছে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।

মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, দেশটা আমাদের সবার। ছাত্রদের আন্দোলনে আপামর জনতা অংশ নিয়েছে। এ আন্দোলনের সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণি পেশার মানুষ শরিক হয়েছে। প্রবাসী ভাইয়েরাও দেশবাসীর সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে তারা নীগৃহের শিকার হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। খুনি হাসিনা অসংখ্য মায়ের কোল খালি করে দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। এখন গণবিপ্লব উত্তর এই দেশকে নতুন করে সাজাতে হবে। এখন এই দেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে হবে।

দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই টানা চার দফা বাড়ানোর পর এবার দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৬০ টাকা ক‌মিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৮ টাকা। যা আজ শ‌নিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ছিল এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২১ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর সোনার দাম বাড়ানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯২ হাজার ২৮৬ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

এর আগে সবশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। যা পরের দিন কার্যকর হয়। সেই দামে অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার প্রতি ভরি সোনা শনিবারও বিক্রি হয়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৩ হাজার ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

সব পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় থেকে স্থানীয় সরকার সব পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় গভার্নেন্স এডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে ‘গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জনআকাঙ্ক্ষার আলোকে স্থানীয় সরকার সংস্কার’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া, জনআকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করার একটি প্লাটফরম। এখানে বহুমত থাকবে। এ ধরনের আলোচনাকে ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে দিতে হবে। উপমহাদেশে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে স্থানীয় সরকারের কাঠামো চালু থাকলেও এখনও আমরা একে শক্তিশালী করে তুলতে পারি নাই।

তিনি বলেন, আইনে অনেককিছু থাকলেও আমরা সেসব কার্যকর করতে পারিনি। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা দৃঢ় হতে হবে। স্থানীয় সরকারের সংস্কারের দাবিগুলো উত্থাপন করা দরকার নির্বাচিত সরকারের কাছে। অন্তর্বর্তী সরকার একটি সংস্কার করলে পরবর্তীতে তারা তা অব্যাহত রাখবেন কি-না সে নিশ্চয়তা নেই। তাই যারা জনপ্রতিনিধি হবেন, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন যেসব রাজনৈতিক দল, তাদেরকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করতে হবে।

হাসান আরিফ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ কর্তৃত্ব, জনবল, আর্থিক সামর্থ্য ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে স্থানীয় জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হয়। বিশেষত ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাগুলো অত্যন্ত প্রকট। সংসদ সদস্য-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান-ইউএনও- এ ত্রিমুখী টানাপোড়েনে উপজেলা পরিষদের যথাযথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারছে না। আইনে উল্লেখ থাকলেও হস্তান্তরিত কার্যক্রমগুলো এখনও উপজেলা পরিষদের কাছে যথাযথভাবে ন্যস্ত করা হয়নি।

বিশেষ অতিথি'র বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, আমরা সংস্কার চাই নাকি কাঠামোগত বিপ্লব চাই সেটা সুস্পষ্ট করতে হবে। সামনের দিকে এগোতে হলে সরকারি ও বেসরকারি- উভয় পক্ষকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে। সংস্কারে নাগরিক সমাজ যেমন একটি অংশ, আমলাতন্ত্রকেও এর অংশীজন হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে, তৃণমূল জনগণের কাছ থেকে প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে। প্রস্তাব হতে হবে পূর্ণাঙ্গ, যা সমঝোতার মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ অবশ্যই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করতে ভূমিকা রাখবে। সকল সংস্কারের লক্ষ্য হতে হবে সুশাসন কায়েম করা ও জনসেবা নিশ্চিত করা।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ কাজী ফয়সাল বিন সেরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লীড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ আরও অনেকে।

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে: মাসুদ সাঈদী
দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা
সব পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
দর্শনা যৌথবাহিনীর হাতে ফেন্সিডিলসহ জামাই-শাশুড়ি আটক
পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নির্বাচিত সরকারই কেবল দেশে উন্নয়নের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে: তারেক রহমান
শেখ হাসিনার জন্মদিনে ঢাবি টিএসসিতে গণ জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি
গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনে পুলিশের বাধা, দৌড়ে পালালো ছাত্রলীগ
ভারতে মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল
ডেঙ্গুতে আরো ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬০
কোনো অবস্থাতেই ডিম আমদানি করতে চাই না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
হাসান নাসরুল্লাহ নিহত, নিশ্চিত করল হিজবুল্লাহ
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান ও ছক্কার রেকর্ড গড়লেন পুরান
ভারতে স্কুলের মঙ্গল কামনায় ১১ বছরের ছাত্রকে বলি
ছোট ভাইয়ের লাথিতে প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের
তথ্য ও খবর গুম হওয়া ঠেকাতে সজাগ থাকার আহ্বান পিআইবি মহাপরিচালকের
সাকিব বা আমাকে নয়, টেস্টে মুশফিককে আইডল মানা উচিৎ: তামিম
পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল
সমাজ কতটা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে ইমামকে পর্যন্ত পালাতে হয়: তাজুল ইসলাম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১ হাজার ৫৮১ জন নিহত: স্বাস্থ্য উপ কমিটি