রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন

নতুন চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন আইভী

মিছিল আর পথসভা চলছে। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারের কাছে। দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি, নানা আশ্বাস। আশ্বস্ত হতে চান ভোটাররা। কিন্তু ভরসা কোথায়? নির্বাচনের চিরায়িত রূপ নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচনে। হেবিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার আছেন এগিয়ে। জনসংযোগে তৈমুর আলম খন্দকার সিটি করপোরেশনকে ঢেলে সাজানোর কথা বলছেন। আর সেলিনা হায়াত আইভী বলছেন, চলমান কাজ এগিয়ে নিতে।

নির্বাচনের বাকি আর ১০ দিন। তাই ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে চলছে প্রচারণা। তবে ভোটের সমিকরণ এবার ভিন্ন।

সাবেক মেয়র আইভীর ওপর সমর্থন নেই দলের একাংশের। তৈমুর আলম দল থেকে দূরে। ফলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে মেয়রের সিংহাসনে যাওয়া দুই প্রার্থীর জন্য কষ্টকরও বটে।

সাধারণের ভাষ্যমতে, তৈমুর আলম তো দল থেকে দূরে। তার সঙ্গে নেই জেলা বিএনপির অনেক নেতা। তিনি প্রচারণা শুরু করার সময় দলের বেশ কিছু নেতা তার পাশে ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন রোজেল ও আবদুল হাই রাজু। কিন্তু দলের নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি সম্প্রতি তৈমুরকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থকে অব্যাহতি দিয়েছে। এর আগে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ কারণে এখন মাত্র অল্প কয়েকজন তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। যাদের মধ্যে জেলা বিএনপির মহাসচিব এটিএম কামাল অন্যতম। এছাড়া সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের হাতে শহরের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় একটি শক্তিশালী ভোটব্যাংক রয়েছে। তিনিও তৈমুরের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত নন।

তারপরও তৈমুর আলম খন্দকার মনে করেন, নারায়ণগঞ্জবাসীর ১৮ বছরের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে এবারের নির্বাচনে। তার মতে, ‘সরকারি দলের বড় নেতারা, এমপিরা আমার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলছে। তারা ঢাকা থেকে এসে এসব কথা বলে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে চেনে। আওয়ামী লীগের যিনি প্রধান তিনিই বলেছেন, তৈমুর আলম উইনেবল ক্যান্ডিডেট।’
নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ একটা প্রার্থী খুঁজছিল। আমি কয়েকবার দাঁড়াইনি। একবার আমার দল নিজেই বসে গেছে। তখন আমার কিছু করার ছিল না। যেহেতু আমি দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছি। আমি জনগণের ফুলের মালা পাচ্ছি এখন। জনগণ চারিদিক থেকে এসে ফুলের মালা দিচ্ছে, ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে চেনে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের মন থেকে আমাকে সরাতে পারবে না। আমি মানুষের প্রয়োজনে দলের বাইরে এসে নির্বাচন করছি। দলের লোকজনও আমার সঙ্গে আছে। নেতাকর্মীরা জানে কতবার আমি কারাগারে গিয়েছি কিন্তু আপোষ করিনি। ভয়ে মরে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর নীতিতে আজ পর্যন্ত অবিচল আছি।’

অন্যদিকে ডা. সেলিনা হায়াত আইভীভি মনে করেন, পরিবর্তন নয়, উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকতাই চায় জনগণ। নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বিশাল দল। বিএনপি তার সঙ্গে আছে কি নেই সেটা খোঁজ নেওয়া আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নয়। আমার নেতাকর্মীরা মাঠে ব্যস্ত ভোট চাইতে। কারণ আমরা ভোটে বিশ্বাসী। আমার লক্ষ্য ভোটার। কে কী প্রচার করলো সেটা আমার দেখার বিষয় না। আওয়ামী লীগের তৃণমূল সবসময় আমার সঙ্গে ছিল, এবারও আছে। নেতৃস্থানীয় সকল নেতারা আছেন আমার সঙ্গে।’

আইভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। সেটি দ্বন্দ্ব নয়। শামীম ওসমানের সঙ্গে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। আমি আওয়ামী লীগ করি, তিনিও আওয়ামী লীগ করেন। স্থানীয় অনেক কিছু নিয়ে দ্বি-মত থাকলেও আদর্শের দ্বি-মত নেই। তিনি একজন সংসদ সদস্য, তিনি এমনিতে ভোট চাইতে আসতে পারবেন না। যারা আসল আওয়ামী লীগ তারা সবাই মাঠে। তারা কারও বলার অপেক্ষায় থাকে না।’

যদিও আইভী বলছেন শামীম ওসমানের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব নেই। প্রকৃতপক্ষে আইভীর জন্য ভোট চাইতে শামীম ওসমানকে দেখা যায়নি। এ কারণে আইভী ইস্যুতে শামীম ওসমানের অবস্থান এখনও স্পষ্ট না। স্থানীয়দের মধ্যেও এ বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, আইভী দলীয় মেন্ডেট পাওয়ায় শামীম ওসমান প্রকাশ্যে এখনও আইভীর বিরোধিতা করছেন না। ভোটাররা মনে করেন শামীম ওসমানের সমর্থন না পেলে আইভীর জন্য নির্বাচন কঠিন হয়ে যাবে।

সাধারণের ভাষ্য মতে, পরিবেশ এখন পর্যন্ত খুব ভালো। তৈমুরকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি না দিলে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতো। আইভী যদি বন্দরের মতো শহরেও কিছু উন্নয়ন করতো, তাহলে আইভীর মাঠ আরও ভালো থাকতো। তবে নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ। জয়-পরাজয়ের হিসেব নিকেশ পরিষ্কার হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

 

 

Header Ad
Header Ad

হাসিনার ঘনিষ্টদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগে যা বললেন টিউলিপ  

টিউলিপ সিদ্দিক । ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর চাপে পড়েন টিউলিপ সিদ্দিক। এ নিয়ে টিউলিপকে একাধিকবার প্রশ্ন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় অবস্থিত ২ শয্যাকক্ষের সেই ফ্ল্যাটটি তিনি তাঁর স্বৈরশাসক খালার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে পেয়েছিলেন কি না।

এর জবাবে টিউলিপ জানান, উপহার হিসেবে নয় বরং তাঁর বাবা-মা তাকে এই ফ্ল্যাটটি কিনে দিয়েছিলেন। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের এই সিটি মিনিস্টার।

তবে লেবার পার্টির সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ওই ফ্ল্যাটটি কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে টিউলিপকে দিয়েছিলেন ওই ডেভেলপার।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিতে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে পাওয়া ওই ফ্ল্যাট লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে অবস্থিত। ২০০৪ সালে ফ্ল্যাটটি তাকে দেয়া হয়। ফ্ল্যাটটি ২০০১ সালে ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বর্তমানে পাউন্ডের বিপরীতে টাকার দর অনুযায়ী যা প্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা) দিয়ে কেনা হয়।

ফ্ল্যাটটির বর্তমান দাম নথিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে একই ভবনের আরেকটি ফ্ল্যাট গত আগস্টে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে (প্রায় ৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা) বিক্রি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানাশোনা আছে এমন একজন ব্যক্তি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, আবাসন ব্যবসায়ী আবদুল মোতালিফের দুর্দিনে তাঁকে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন টিউলিপের মা-বাবা। তাই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজের মালিকানায় থাকা ‘একটি সম্পদ’ টিউলিপকে দিয়েছিলেন।

বর্তমানে আবদুল মোতালিফ দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে বসবাস করেন। ভোটার নিবন্ধনসংশ্লিষ্ট নথি থেকে জানা গেছে, ওই এলাকায় মোতালিফের ঠিকানায় মজিবুল ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি বসবাস করেন। মজিবুলের বাবা ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।

মুজিবুল ইসলাম স্বীকার করেছেন, তিনি ফ্ল্যাটটি ২০০১ সালে কিনেছিলেন। কিন্তু এই বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানাননি তিনি।

জমি রেজিস্ট্রি রেকর্ডের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, ২০০৪ সালের সালের নভেম্বরে ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা পান টিউলিপ। তখন তিনি লন্ডনের কিংস কলেজে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তাঁর কোনো আয় ছিল না। তবে এ সম্পত্তির কোনো মর্টগেজ ছিল না এবং এর কোনো মূল্যও উল্লেখ ছিল না। এর মানে এটি কেনা হয়নি বরং তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত জুলাইতেও ডেইলি মেইল টিউলিপ সিদ্দিক এবং লেবার পার্টির কাছে এ অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করে। তবে তখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি পায় সংবাদমাধ্যমটি। এরপর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি আর প্রকাশ করেনি ডেইলি মেইল।

৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির সদস্য হন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ২০১৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড আসন থেকে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ওই আসনে চার বার প্রার্থী হয়েছেন টিউলিপ, প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন।

সম্প্রতি রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

Header Ad
Header Ad

তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল, আপিল খারিজ

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে এ রায় দেন।

আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে জয়নাল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আর্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই এসব চাঁদাবাজি মামলা করা হয়। মামলার কোথাও উল্লেখ নেই কে চাঁদা চেয়েছেন বা কে চাঁদা দাবি করেছেন। অথচ এ মিথ্যা মামলায় তারেক রহমানকে নির্যাতন করে তার পিঠের মরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আজ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এসব মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ছিল। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে বাধা দিতেই মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।’

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৭ সালে বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমণ্ডি থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেছিলেন। পরে মামলা দায়েরের বৈধতার প্রশ্নে হাইকোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ (ক) ধারায় আবেদন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

তাহসানের বিয়ের খবরে, মিথিলার ভাঙ্গনের সুর  

ছবিঃ সংগৃহীত

২০১৭ সালে ভক্তদের চমকে দিয়ে হঠাৎই নিজেদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন শোবিজাঙ্গনের তারকা দম্পতি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বিয়ের প্রায় ১১ বছর পর তাদের সংসারে ভাঙনের খবর আকাশ থেকে পরলেন সকলকে।

ভক্তদের স্বপ্নের দম্পতি ছিলেন। কিন্তু সে সংসারেও যে ভাঙন ধরবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। তাদের বিচ্ছেদে অসংখ্য ভক্তদের কষ্ট প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

বিচ্ছেদের পর অবশ্য রাফিয়াত রশীদ মিথিলা বেশিদিন একা থাকেননি। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জীর সাথে নতুন সংসার গড়ে তোলেন। আইরাকে নিয়ে কলকাতায় বসবাস শুরু করেন।

তবে শোনা যাচ্ছে পাঁচ বছর না গড়াতেই সৃজিত-মিথিলার সংসারে ভাঙনের সুর বাজছে। এমনও হতে পারে বিষয়টি সাময়িক।

তবে এ কথা সত্য বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন মিথিলা। কাজ করছেন ব্র্যাক-এ হেড অব আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম হিসেবে। আইরাও ভর্তি হয়েছে ঢাকার একটি স্কুলে।

সৃজিতের জন্মদিনেও মিথিলাকে দেখা যায়নি একসাথে। যদিও সৃজিত এখনও আইরাকে মিস করছেন এমনটা জানিয়েছেন নিজেই।

মিথিলার এমন একা হওয়ার গুঞ্জন যখন হাওয়ায় তখনই সম্পর্কে জড়ানোর খবর এলো তাহসান খানের।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে গাটছড়া বাঁধতে যাচ্ছেন তাহসান। সামাজিক মাধ্যমে তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লেও তাহসান জানিয়েছেন এখনো বিয়ে হয়নি। তবে নিশ্চিত করেছেন রোজার সাথেই নতুন জীবনের পথে হাঁটছেন তিনি।

গণমাধ্যমকে তাহসান বলেন, “এখনো বিয়ে হয়নি। কোনো আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি। একটা ঘরোয়া আয়োজন ছিল, সেখানে এ ছবিগুলো তোলা। আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাব।”

সন্ধ্যা পর্যন্ত ভক্তদের অপেক্ষা চলুক। এর মধ্যে জেনে নেয়া যাক তাহসানের হবু স্ত্রী সম্পর্কে।

রোজা আহমেদ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। পড়াশোনা করেছেন নিউইয়র্কে।

পড়াশোনা শেষ করেই থেমে থাকেননি। নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামে একটি প্রতিষ্ঠানও দাঁড় করিয়েছেন। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন দেশেও। তার হাতে হাজারও তরুণীর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। দেশের তারকাদেরও পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছেন রোজা। সামাজিক মাধ্যমেও জনপ্রিয় রোজা। তার প্রতিষ্ঠানের এক মিলিয়ন ফলোয়ার দেখা গেছে।

২০০৬ সালে বিয়ে করেন গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। ২০১৩ সালে তাদের ঘরে আসেন কন্যা সন্তান আইরা। প্রায় এগারো বছর সংসারের পর ২০১৭ সালে তারা বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তারা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসিনার ঘনিষ্টদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগে যা বললেন টিউলিপ  
তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল, আপিল খারিজ
তাহসানের বিয়ের খবরে, মিথিলার ভাঙ্গনের সুর  
নতুন ইউনিকর্ন বাইক আনছে হোন্ডা  
রূপপুরে রুশ নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভারতের বিদায়, ফাইনালে প্রোটিয়াদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া  
বাইডেনের স্ত্রীকে হীরা উপহার দিয়েছেন মোদি  
দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশ
সহজ জয়ে বছর শুরু বার্সেলোনার  
১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ হারল ভারত
সেই পানামা ফারুকের মেয়ে রোজাকেই বিয়ে করলেন তাহসান
যুক্তরাষ্টের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পাচ্ছেন মেসি  
গাজার ইসরায়েলের হামলা, একদিনেই শিশুসহ নিহত ৭০
৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৭ জনকে নিয়ে মুখ ঢেকে কেক কাটলেন ছাত্রলীগের সাবেক সা. সম্পাদক  
গুচ্ছ পদ্ধতি ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 
বাংলাদেশি হামজাকে দলে চায় শেফিল্ড ইউনাইটেড
  যশোরে আজহারীর মাহফিল শেষে থানায় ৩ শতাধিক জিডি
ভারত সেভেন সিস্টার্সের জন্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে: সারজিস
নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে মানুষ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর: প্রধান উপদেষ্টা  
রমজানে রাজধানীর ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে ডিম-মুরগি বেচবে বিপিএ