জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় উপনেতা থেকে সরানোর উদ্যোগ রওশনের
এবার জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার পদ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদরকে অপসরণ করার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিতে যাচ্ছেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের জায়গায় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী ফিরোজ রশীদকে বিরোধী দলীয় উপনেতা করার প্রস্তাব করেছেন রওশন এরশাদ।
বিরোধী দলীয় নেতার সংসদের প্যাডে লেখা চিঠিতে বেগম রওশন এরশাদ বলেন, বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে অপসরণপূর্বক নতুন উপনেতা হিসেবে কাজী ফিরোজ রশীদ সংসদ সদস্য ঢাকা-৬ কে নিয়োগ দানের আবেদন করেন।
চিঠিতে রওশন এরশাদ লিখেছেন, আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রান্থ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আছি। আমার এই দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতির সুযোগে বর্তমান বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির আদর্শ ও লক্ষ্যকে ভুলুণ্ঠিত করে জাতীয়ভাবে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এমন সব বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে যা আমার দৃষ্টিগোচরে এসেছে। এ সমস্ত বক্তব্য অনভিপ্রেত এবং কোনোভাবেই দলীয় প্রতিনিধিত্বকারী বক্তব্য নয়। দলীয় দায়িত্বশীল কোনো নেতা এমন সব বক্তব্য দিতে পারেন না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশ ও জাতির বৃহত্তর ঐক্য অগ্রগতির চিন্তা করেই জাতীয় রাজনীতিতে মহজোট গঠন করেছেন। আমি আজও রাজনৈতিকভাবে মহাজোটে বিদ্যমান।
অতএব সকল বিষয় বিবেচনা করে আমি বর্তমান দায়িত্বজ্ঞানহীন বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে অপসারণ পূর্বক কাজী ফিরোজ রশীদকে বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে মনোনয়ন পূর্বক নিয়োগ দানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। চিঠির নিচে ডান দিকে বেগম রওশন এরশাদ, বিরোধী দলীয় নেতা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। যেখানে তার স্বাক্ষরও রয়েছে।
যদিও পরবর্তিকালে এই চিঠির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে গণমাধ্যমকে বলেছেন বিরোধী দলীয় নেতা। তবে রওশনপন্থী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে ঘটনা সত্য। এরকম একটি চিঠি স্পিকারকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।
চিঠির বিষয়ে খোঁজ নিতে জাতীয় সংসদে স্পিকারের দফতরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রহণযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সকলেই এড়িয়ে চলতে চাইছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিক গোলাম মসীহ্। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে মোবাইল ফোনে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।
এসএম/এমএমএ/