শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই: মির্জা ফখরুল

দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে দলের ‘হাজারো নেতা-কর্মী প্রাণ দেবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এজন্যে আমরা জান দিয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের সাত জন প্রাণ দিয়েছে। আমরা হাজারো লোক প্রাণ দেব। গণতন্ত্রকে অবশ্যই আমরা ফিরিয়ে আনব।’

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালযে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের এখনো বোধদয় হওয়ার সময় আছে । কয়েকটি মিটিংয়ে আমি বলেছি, সেফ এক্সিজিট করেন, চলে যান, ক্ষমতা ছাড়েন। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন, সংসদ বিলুপ্ত করেন।নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে করে নতুন পার্লামেন্ট ইলেকশন দেন। তারা নতুন করে সরকার গঠন করবে, দেশে নতুন একটা সরকার ব্যবস্থা চালু হবে। তা না হলে পালাবার পথটাও খুঁজে পাবেন না। এখনই সময় আছে সেটা করেন। তা না হলে পালাবার পথও খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণআন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা হয়। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর পল্টনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্র দল কর্মী জেহাদ।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে ছাত্র ঐক্যের নেতারাসহ ছাত্র দলের নেতা-কর্মীরা দৈনিক বাংলা মোড়ে জেহাদ স্মৃতি চত্বরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন।

রাজপথেই ফয়সালা

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের জনগনের উপরে আমাদের আস্থা আছে। আমরা বিশ্বাস করি, এদেশের মানুষ কোনোদিন অন্যায়কে মেনে নেয়নি, কোনোদিন গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে তারা কাউকে জয়ী হতে দেয়নি। গনতন্ত্রের পক্ষে তারা লড়াই করেছে আজ থেকে নয়, দীর্ঘকাল থেকে, শতবর্ষ থেকে। সেই দেশের মানুষ জেগে উঠছে। এখন আর বলতে হয় না যে, জেগে উঠো।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি শুধু অনুরোধ করব আমাদের তরুণ সমাজকে, আমাদের যুব সমাজকে আরও এগিয়ে আসুন, আরও সামনে আসুন। শুধুমাত্র নিজের কথা চিন্তা না করে, নিজের ভাগ্যের কথা চিন্তা না করে দেশের কথা চিন্তা করুন, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন, চিন্তার করে যুক্ত হোন। এই যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এই যে বাংলাদেশকে মুক্ত করবার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই আন্দোলনে সেই সংগ্রামে আপনারা সবাই যুক্ত হোন এবং জনগনকে সংগঠিত করে আমরা অবশ্যই আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব যে আহ্বান দিয়েছেন যে, ‘ফয়সাল হবে রাজপথে’, সেই রাজপথেই আমরা তাদেরকে পরাজিত করব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা আরেকটা স্লোগান দিয়েছেন-টেক ব্যাক বাংলাদেশ। অর্থাত আমরা কোনো বাংলাদেশ ফেরত চাই যে, বাংলাদেশ আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম। যেখানে আমরা সমস্ত মানুষের অধিকারকে রক্ষার জন্যে স্বাধীন করেছিলাম, যেখানে সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ এবং সামাজিক ন্যায় বিচার এটা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা একটা রাষ্ট্র তৈরি করেছিলাম, জনগনের কল্যাণের জন্য রাষ্ট্র তৈরি করেছিলাম সেই বাংলাদেশ আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই।’

‘আমরা একথা বলতে পারি যে, বিএনপি বা এই গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি তারা যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই তারা জনগনের কল্যাণের জন্য কাজ করে, জনগনের পক্ষে কাজ করে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে আজকে জেহাদকে এবং ৯০’র যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে এবং এই গণতন্ত্র ফেরানো আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে স্মরণ করে আর কোনো পেছন দিকে না তাকিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই এবং এই ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করি-এই হোক আজকে আমাদের শপথ।’

বিদ্যুতের লোডশেডিং: সরকারই দায়ী

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই যে বিদ্যুতের কী অবস্থা দেখেন। এখন প্রতিদিন কমপক্ষে তিন/চার বার বিদ্যুত চলে যায়, ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং থাকে। অথচ কত ধূয়া, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আতশবাজি ফুটিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুতের পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছে- আর কোনো অসুবিধা নাই। তার অবস্থা হচ্ছে এটা (লোডশেডিং)।

‘কারণ কী? কারণ হচ্ছে তাদের (সরকার) চুরি, দুর্নীতি। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করে তারা সমানে চুরি করে নিয়ে গেছে। ক্যাপাসিটি চার্জ ২৮ হাজার কোটি টাকা একবছরে দিতে হয়েছে এবং দিতেই হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে পোষাক শিল্পের অবস্থা যারা এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত তারা জানেন, গার্মেন্টসের অবস্থা খারাপ হয়ে আসছে। কারণ, পৃথিবীতে চাহিদা কমে আসছে। একদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে, গ্যাসের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। ফলে গার্মেন্টেস ব্যবসা যারা করেন তাদের টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে গেছে।’

‘শ্রমিকদের অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা এই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে। আমি তো বাজারে খুব কম যাই সময় পাই না। আমার স্ত্রী যান। প্রতিদিন আমার স্ত্রী আমার কাছে এই অভিযোগগুলো তুলে ধরেন যে, আর যাওয়া যাবে না, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সেগুলোতে ধর্য্য ধরা যাচ্ছে না-এই হচ্ছে মানুষের অবস্থা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখান থেকে পরিত্রাণ চাই। ইতিমধ্যে আমরা বিএনপি জনগনের মধ্যে যাওয়া শুরু করেছি। কিছুদিন আগেও আমাদের যারা নিন্দুক তারা বলতেন, আরে বিএনপি নাই, বিএনপির কোনো চিহ্নিই নাই, রাস্তায় বিএনপি নাই, মুরদ নাই, হাটুভাঙা- এসব অনেক কথা বলেছে তাই না।’

‘এখন কী বলছে? বাবা তোমরা ধমক দিও না। এই যে, আমান উল্লাহ আমান সাহেব যে একটা ধমক দিয়েছে-ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন টেলিভিশন খুলে দেখি ওদের যত লোক জন আছে খালি ওটাই নিয়ে লেগে পড়েছে। আরে ভাই কোনো কারণ নাই।’

সরকারের দমনপীড়নসহ গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে কালাকানুনের নানা ঘটনাও ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

জেহাদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নব্বই সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও খায়রুল কবির খোকনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুদ্দিন মনি, খোন্দকার লুতফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরাফত আলী সপু, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, জেহাদের ভাই কে এম শরীফ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এমএইচ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  

ছবি কোলাজঃ ঢাকাপ্রকাশ

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন জনসমর্থন। শুধু আত্মপ্রকাশই যথেষ্ট নয়। জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণ হবে দলটির জনপ্রিয়তা। এমনটাই মনে করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে না পারলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাঠে জায়গা করা কঠিন হবে নাগরিক পার্টির।

রক্ত দিয়ে যারা অবরুদ্ধ স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন জনতার হাতে, তাদের নেতৃত্বেই নতুন এই রাজনৈতিক দল। বিপ্লবীদের শপথ, স্বৈরতন্ত্রের কবর রচনা করে গণতন্ত্রের পথে হাটবে বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির শপথ নেন নেতারা।

তবে দলটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মূলধারার রাজনৈতিক দলের নেতারা। বিএনপি মনে করে আগামী নির্বাচন ঘিরে জনসমর্থনই দলটির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

 

Header Ad
Header Ad

জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  

ছবিঃ সংগৃহীত

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে প্রকাশ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জন্য জেলেনস্কিকে ক্ষমা চাইতে বেলেছেন শীর্ষ

মার্কিন কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। 

ওভাল অফিসের আলোচনা তর্ক-বিতর্কের পর সিএনএনকে রুবিও বলেন, ‘জেলেনস্কির উচিত আমাদের সময় নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাওয়া’।

রুবিও প্রশ্ন তুলেছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর তিন বছর কেটে গেছে, বেশি সময় ধরে যুদ্ধ সহ্য করে এখন কি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুদ্ধের অবসান চান না?

তিনি বলেন, ‘তার এগুলোর মধ্যে এসে দ্বন্দ্বে জড়ানোর দরকার নেই। আপনি যখন আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলতে শুরু করবেন—এবং প্রেসিডেন্ট হলেন মধ্যস্থতাকারী, তিনি সারাজীবন এটা করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘হয়তো জেলেনস্কি শান্তি চুক্তি চান না, এটাই বোঝা যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘তিনি চানও আবার সম্ভবত তিনি চান না।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ওই বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যখন জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন হোয়াইট হাউসে আসতে পারেন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের বরাতে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট- ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে।

শুক্রবার বৈঠকের পর ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, হোয়াইট হাউসে শুক্রবার অর্থবহ মিটিং করেছি।

এত চাপ ও উত্তেজনার মধ্যে এমন কিছু শেখা গেছে, যা কথা না বললে কখনো বোঝা যেত না। আবেগের মধ্য দিয়ে যা বেরিয়ে আসে তা আশ্চর্যজনক, আমি স্থির হয়েছি যে জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত না। এতে যদি আমেরিকা যুক্ত থাকে, কারণ তিনি মনে করেন আমাদের যুক্ত থাকার ফলে আলোচনায় তার একটা বড় সুবিধা হবে। আমি সুবিধা চাই না, শান্তি চাই।

ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি (জেলেনস্কি) যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন তিনি আসতে পারেন। তিনি প্রিয় ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন।

বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা। যখন তাদের বাদানুবাদ চলছিল, তখন বৈঠকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে মাথায় হাত অবস্থায় দেখা গেছে। এই বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনের খনিজসম্পদ নিয়ে শুক্রবার তার সঙ্গে জেলেনস্কির চুক্তি সই হবে। গতকাল শুক্রবার রাত ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইউক্রেন যুদ্ধের পুরো পরিস্থিতি যেন উল্টে যেতে বসেছে।

এর আগে, বৈঠকে জেলেনস্কি প্রকাশ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের নরম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তিনি বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনওভাবেই আপোস হওয়া উচিত নয়।

ওদিকে ট্রাম্প বলেন, পুতিন একটি চুক্তি করতে চান। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে চাইলে ইউক্রেনকে কিছু ছাড় দিতে হবে। একপর্যায়ে গর্জে উঠে জেলেনস্কিকে ট্রাম্প বলেন, আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন।

ক্ষুব্ধ ট্রাম্প জেলেনস্কিকে আরো বলেন, আপনি বড় সংকটে রয়েছেন। আপনি এটা (যুদ্ধ) জিততে পারবেন না। একটি চুক্তি করুন, নইলে আমরা বেরিয়ে যাই। এসময় জেলেনস্কিকে আরো কৃতজ্ঞ হতেও বলেন তিনি। ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কিকে ‘অভদ্র’ও বলে বসেন।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের হোয়াইট হাউস সংবাদদাতারা এ বৈঠককে উত্তেজনার এক নজিরবিহীন মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছেন। দুই দেশের দুই শীর্ষ নেতার এমন আচরণে, বিশেষত রাষ্ট্রীয় শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে যাবতীয় কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে জলাঞ্জলি দেওয়ার এই ঘটনায় গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গেছে বলা যায়।

Header Ad
Header Ad

ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  

ছবিঃ সংগৃহীত

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ভোলা জেলার ১০ গ্রামে রোজা রেখেছেন অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে থাকা সুরেশ্বরী দরবার শরিফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা রোজা রাখেন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তারাবি নামাজ আদায় করে আজ শনিবার ০১ মার্চ থেকে তাদের প্রথম রোজা শুরু হয়েছে।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে সুরেশ্বরী ও মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সবচেয়ে বেশি। জেলায় তাদের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার হলেও টবগী ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় তিন হাজারের মতো।

মুলাইপত্তন গ্রামের আমিন মিয়া চৌকিদার বাড়ি দরজা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিবার তাদের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন। এ জন্য শুক্রবার ওই মসজিদে তিনি রাত ৯টায় প্রথম তারাবির নামাজ শুরু করেছেন। একদিন আগেই রোজা শুরু ভোলার ১০ গ্রামে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. মাসুদ পারভেজ রহিম জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন। শুক্রবার থেকে তাদের প্রথম তারাবি ও শনিবার থেকে প্রথম রোজা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার ১০টি গ্রামে সুরেশ্বরী দরবার শরিফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফ অনুসারী মানুষের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে তাদের টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার
স্বামীকে হত্যার পর বুকে ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে আত্মহত্যা
শিল্পকলার মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা জামিল আহমেদের
অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ অমিত শাহর
ক্ষমতায় কে যাবে, তা ভারত নয়, নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ: হাসনাত
নতুন দলের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা থাকবে: জামায়াতের সেক্রেটারি
ভারত-পাকিস্তানপন্থীর কোনো ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পারছে না : দুদু