সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফরের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের শ্রমিক নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৭ আগস্ট) কাজী জাফর আহমেদের ভাগ্নি কাজী আসমা আজমেরীর নেতৃত্বে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কাজী জাফর আহম্মেদের স্নেহের ভাগ্নি ১৩০ দেশ ভ্রমনকারী কাজী আসমা আজমেরী ১৫০ জন এতিমের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেন। এ ছাড়াও গরিব, অসহায় এবং পথশিশুদের মধ্যেও দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় কাজী আসমা আজমেরী তার ভ্রমণের কাহিনি শুনিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্বপ্নবাজ হয়ে গড়ে ওঠার উৎসাহ দেন। তিনি কাজী জাফর আহমেদের জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন।
কাজী আসমা আজমেরীর প্রতিষ্ঠিত ‘Inspiring youth’ লাইব্রেরির আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
কাজী জাফর আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতিবছর তার জন্মস্থান কুমিল্লার চিওড়ায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং গরিব, অসহায় পথশিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। এদিন জাতীয় পার্টির বিভিন্ন সংগঠন থেকে তার মৃ্ত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়।
কাজী জাফর আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের শ্রমিক নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী । তিনি ১৯৩৯ সালের ১ জুলাই কুমিল্লার প্রখ্যাত চিওড়া কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আহমেদ আলী খুলনা শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন ১৯৪৮ সাল থেকে ইসলামপুর কাজী বাড়িতে। (কাজী সাহেবের মাঠ পরিচিত ) খুলনার জেলা স্কুলে থেকে মেট্রিক পাস করেন তিনি। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তারপর ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চলে যান। তার রাজনৈতিক জীবন রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে শুরু হলেও তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে। ৬৯’এর গণ আন্দোলনে তার ভূমিকা বিশাল। স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি বিভিন্ন সেক্টরের কাজ করেছিলেন।
মন্ত্রী পরিষদে থাকার সময় খুলনার আর্ট কলেজ ও খুলনা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন তিনি। বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের জন্ম দিয়েছেন ও কৃষক ঋণ তার মাধ্যমে শুরু হয়। তিনি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
আরএ/