‘রক্তের বদলে রক্ত চাই, গুলির বদলে গুলি’
ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের হত্যার বিচার দাবি করেছেন তার স্ত্রী খাদিজা বেগম। হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘রক্তের বদলে রক্ত চাই, গুলির বদলে গুলি’।
দেশব্যাপী জ্বালানি, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গত ৯ বছরে গুম, খুনের শিকার নেতাকর্মীদের মধ্যে ১৪টি পরিবারকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ফেনী, ভোলা-চট্টগ্রাম ও নেত্রকোনা জেলার ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খাদিজা বেগম বলেন, আমার স্বামী তার মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত দলের প্রতি নিবেদিত ছিলেন। তিনি পরিবার থেকে দলকেই অগ্রাধিকার বেশি দিতেন বলে আমার মনে হয়েছে। সংগঠনের কাজে তার আন্তরিকতার শেষ ছিল না, কখনো পিছপা হতে দেখিনি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই, রক্তের বদলে রক্ত চাই, গুলির বদলে গুলি চাই। আমার স্বামী বিএনপিকে ভালোবাসতেন, তিনি মিছিলে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, আমি এ হত্যার বিচার চাই।
এ সময় তার পরিবারের প্রতি দৃষ্টি রাখার জন্য বিএনপি নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী। বক্তব্যে দেওয়ার সময় তার পাশে তার তিন ছেলে এক মেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সংগঠনের উদ্যোক্তা সুমন হাসান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক ডা. পারভেজ রেজা কাঁকন।
সভাপতিত্ব করেন, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, সঞ্চালনা করেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মামুন খান।
প্রসঙ্গত, আন্দোলনে মৃত্যু, গুম, পুঙ্গুত্ব, মামলা ও হামলায় আহতদের চিকিৎসা খরচ বহনে নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে ২০১৩ সালে গঠিত হয় জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল। ইতোমধ্যে ৩২৭টি পরিবারে এককালীন অর্থ সহায়তা, ৪০ পরিবারকে মাসিক শিক্ষাবৃত্তি বাবদ মোট এক কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করে জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল।
এমএইচ/আরএ/