পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, পরের দিন তিনি বলেছেন ডিসটর্ট (বিকৃত) করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগনের শক্তিকে বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি জনগন ছাড়া কেউ সরকার টিকিয়ে রাখতে পারে না। কেউ যদি কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত গল্প করে আসে সে দায় আমাদের নয়। দলের পক্ষ থেকে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।’
রবিবার (২১আগস্ট) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দল নিয়ে কোনো আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন। তাই আওয়ামী লীগের পক্ষে বিদেশে গিয়ে কিছু বলার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়নি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি দায়িত্বশীল পদে থাকলে দায়িত্বপূর্ণ কথা বলা দরকার। আমি নিজে কথা বলার সময় সতর্ক থাকি।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দলের ভিত হচ্ছে জনগণ। আমরা জনগণের শক্তিতেই বলিয়ান। আমরা জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করি, জনগণের রায় নিয়েই আওয়ামী লীগ সব সময় সরকার পরিচালনা করেছে এবং ক্ষমতায় গেছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ ছাড়া অন্য কেউ সরকার টিকিয়ে রাখতে পারে না বা দেশ পরিচালনার দায়িত্বও নিতে পারে না। কেউ যদি কারো সঙ্গে গল্প করে আসে সে দায় তার। সরকার বা দল তাকে এ রকমের কোনো দায়িত্বও দেয়নি। বরং বিএনপি প্রতিনিয়ত একবার ছুটে যায় ইউরোপিয় ইউনিয়ন, একবার ছুটে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, একবার চীন। কখন যে ভুটানের কাছে যায়। তারা এরকম ছোটাছুটির মধ্যে থাকে। এজন্য বিএনপিকে মানুষ বলছে নালিশ পার্টি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি বরং জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে না। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে যাতে করে তাদের কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়। এ দেশে কেউ কাউকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দিতে পারে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে কি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলাপ চলছে। কিন্তু তাদের ডমেস্টিক কিছু ল আছে সেখানে কিছু জটিলতা আছে এবং তাদের সঙ্গে চুক্তি… এ নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।’
এনএইচবি/এমএমএ/