উত্তরা-চকবাজারের ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির দাবি বাংলাদেশ ন্যাপের
রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে ক্রেন ছিঁড়ে গার্ডারের চাপায় প্রাইভেটকারের যাত্রীদের হতাহতের ঘটনায় এবং পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ। একই সঙ্গে ঘটনার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তারা।
তারা বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে উন্নয়ন কাজ তথা নির্মাণ কাজ করার কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। ফলে এটা নিছক দুর্ঘটনা না, এটি অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। এর দায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
চকবাজারে প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃদ্বয় বলেন, এ ধরনের আগুনের ঘটনা ঘটলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় বার বার এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কারখানা চালানো ও উন্নয়নের নামে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং হতাহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তারা।
একই সঙ্গে এ ধরনের নির্মাণ উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও কারখানা মালিক যাতে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করে তার জন্য রাষ্ট্র-প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব।
নেতৃদ্বয় বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এদেশে পানিতে পড়ে, কিছু আগুনে পুড়ে, কিছু রাস্তায় মরলেও যেন কর্তৃপক্ষের তেমন কিছু যায় আসে না। এসব মৃত্যুর জন্য কারো দায়-দায়িত্ব নেই। এসব জীবনের মূল্য কয়েকটি প্রতিবেদন, টিভি লাইভ ও কিছু ফেসবুক পোস্ট।
তারা বলেন, দেশে এ ধরনের মৃত্যুর দায় সাধারণত কাউকে নিতে দেখা যায় না। যতদিন এ ধরনের মৃত্যুর মূল্য পরিশোধের সংস্কৃতি গড়ে তোলা না যাবে ততদিন এগুলো থামবে না।
টিটি/