আমরাও আসছি খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের
আমরাও মাঠে আসছি, আমরাও মাঠে নামব। মাঠেই খেলা হবে। মোকাবিলা করা হবে আর যার যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বাংলাদেশে হতে দেব না বলে কঠোর বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছি। তারা যেভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে রাজপথ মনে হয় আমরা ভুলে গেছি। আমরা আছি। অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। আমরাও আছি।’
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এক জরুরি সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি আরও বলেন, ‘এই শোকের মাসে হয়তো কিছু কিছু প্রোগ্রাম সেভাবে করতে পারছি না। আমরাও আসছি খেলা হবে। মোকাবিলা হবে আর যার যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বাংলাদেশে হতে দেব না।’
ওবায়দুল কাদের, ‘এই শোকের মাসে হয়তো কিছু কিছু প্রোগ্রাম সেভাবে করতে পারছি না আমরাও আসছি খেলা হবে। মোকাবিলা হবে আর যার যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বাংলাদেশে হতে দেব না।’
তিনি বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দাম বেড়েছে। সেসব দেশে সরকারকে দায়ী করে কোনো মিছিল কোনো দেশে হয়েছে? বাংলাদেশে শুধু ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে। বাংলাদেশে আজকে যত দোষ সব নন্দ ঘোষ, যত দোষ শেখ হাসিনা সরকারের। যে সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়ন অর্জনে রোল মডেল হয়েছিল। সারা দুনিয়ার কাছে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। যে সরকার করোনা, বন্যায় ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থা নিয়ে সারা দুনিয়ায় প্রশাংসা অর্জন করেছে। অর্থনীতিকে স্ট্যাবল করেছে। সেই সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। তারা সরকারকে উৎখাত করবে, এই সরকারকে সহযোগিতা করবে না। এটা তারা জানান দিয়েছে। মঞ্চ টঞ্চ কত কিছু করছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য কমলে আমরাও এখানে সমন্বয় করব। এটা বলার পরও আজকে বিএনপিসহ তাদের দোসররা মাঠে নেমেছে। এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে, বিষোদগার করছে। জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ে নানান কথা বলছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিয়েছে। আর কত ভর্তুকি দেবে? তারপরও বলেছি, আমাদের নেত্রী বলেছেন আপনারা একটু ধর্য্য ধরুন। আমার মনে হয় এই ক্রাইসিস থেকে সম্ভাবনার পথ তিনি খুলতে পারবেন। সে আত্মবিশ্বাস নেত্রীর আছে। সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।
তিনি বলেন, সংয়কট সাময়িক, সংকট কেটে যাবে। সংকট উত্তরণের জন্য সব কিছুই শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে করে যাচ্ছেন। তারপরও একটি মহল বিএনপি এবং তার দোসররা আজকে কান ঝালা পালা করে প্রতিদিন। প্রতিদিন অশ্রাব্য ভাষায় সরকার প্রধানকে গালি গালাজ করে হত্যার হুমকি দেয়, বিষোদগার করে। তারপরও তারা সবাই আছে, সবাই বক্তৃতা করছে, সবাই ভাষণ দিচ্ছে, কাউকে তো সরকার গ্রেফতার করেনি? কাউকে তো নির্যাতন করেনি। আজকেও (১১ আগস্ট) বড় সমাবেশ করেছে। সেখানে তো পুলিশ কিছু করেনি। এখন আপনি যদি পুলিশের উপর চড়াও হোন অস্ত্র নিয়ে তখন পুলিশ কি করবে?
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আর এভাবে চলতে পারে না। আমরা রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছি। তারা যেভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে রাজপথ মনে হয় আমরা ভুলে গেছি। আমরা আছি। অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। আমরাও আছি এই শোকের মাসে হয়তো কিছু কিছু প্রোগ্রাম সেভাবে করতে পারছি না। শোকের মাস এই মাস আমাদের ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি বিজড়তি। তবুও আমরা চিন্তা করেছি এই সব অপপ্রচার মিথ্যাচার সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
আমাদেরও প্রতিবাদ করতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে হবে। সেজন্য আমরা ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস পালন করি। আগামী ১৭ আগস্ট আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠন নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করব। সেদিন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিকাল ৪টায় বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেষ হবে। আমাদেরও মাঠে নামতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
এসএম/এমএমএ/