‘আইএমএফ’র ঋণ পেতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হঠকারী সিদ্ধান্ত’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়ভাবে বিইআরসিকে এড়িয়ে চোরাগোপ্তা কায়দায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। তাই আইএমএফ কে খুশি করতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত দেশবাসী মেনে নেবে না।’
শনিবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ সব কথা বলেন। বিবৃতিতে আকস্মিকভাবে সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সরকারি পদক্ষেপকে অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় হিসেবে আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাইফুল হক।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি চরম ভোগান্তিতে থাকা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। এই সিদ্ধান্ত দ্রব্য মূল্যের লাগামহীনে ঊধ্বগতিতে নাকাল দেশের মানুষের উপর নতুন করে অকল্পনীয় গজব চাপিয়ে দেবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় চরম স্বেচ্ছাচারীভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে।’
সাইফুল হক বলেন, বিইআরসি গণশুনানির প্রচলিত পদ্ধতিকে পাশ কাটিয়ে চোরাগোপ্তা কায়দায় ডিজেল, কেরোসিন পেট্রল ও অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকারি এই সিদ্ধান্তের মারাত্মক অভিঘাত পড়বে প্রতিটি ঘরে ঘরে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে। এর ফলে শিল্প, কৃষি পরিবহনসহ অর্থনীতির প্রতিটি খাত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। নতুন করে কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে যাবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৯৪ ডলারে নেমে আসা ও খাদ্য শষ্যের দাম যখন কমতে শুরু করেছে তখন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিৃবতিতে বলা হয়, গত কয়েক বছরে বিপিসি ৫০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এর একটি বড় অংশ সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। এই টাকা থেকে এখন প্রয়োজনে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইএমএফ এর লোন পেতে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি তুলে দিয়ে সরকার এখন জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় সরকার চরম স্বেচ্ছাচারী পন্থায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক।
এমএইচ/আরএ/