ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রতিশ্রুতির ‘অধিকাংশ বাস্তবায়ন’
সর্বশেষ চলতি একাদশ ও দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ছিলেন সদ্যপ্রয়াত আইনজীবী মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শেষ দুই বার তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার।
জাতীয় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারের পদে থেকে একসঙ্গে সামলেছেন নিজ সংসদীয় এলাকার দায়িত্বও। সংসদীয় আসনের দায়িত্ব তিনি কতখালি সামলেছেন তা উল্লেখ করেছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেয়া তার হলফনামাগুলোতে।
হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন নির্বাচনের আগে দেওয়া তার প্রতিশ্রুতিগুলোর ‘অধিকাংশ বাস্তবায়ন’ হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন তিনি। নির্বাচনের আগে গাইবান্ধায় স্থানীয় নির্বাচন অফিসে হলফনামা জমা দেন মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। ওই বছর ২৭ নভেম্বর হলফনানামায় স্বাক্ষর করেন তিনি।
হলফনামায় তিনি জানান, ‘আমি ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইয়াছিলাম। নির্বাচনের পূর্বে আমার দ্বারা ভোটারদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এবং উহার কি পরিমাণ অর্জন সম্ভব হইয়াছিল তাহার বিবরণ’ এ তিনি পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেন। এতে ‘রাস্তাঘাট নির্মাণ (পাকা ও কাচা), মেরামত ও প্রশস্থকরণ’ প্রতিশ্রুতির অর্জনের ঘরে তিনি লেখেন ‘অধিকাংশ বাস্তবায়ন’।
‘স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, মেরামত ও সংস্কারকরণসহ ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন এবং মসজিদ ও মন্দিরে ভবন নির্মাণসহ মেরামত ও সংস্কারকরণ’ প্রতিশ্রুতির অর্জনেও উল্লেখ করেন ’অধিকাংশ বাস্তবায়ন’। ‘ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণসহ নদী ভাঙনরোধ কল্পে বাঁধ নির্মাণ’ প্রতিশ্রুতিতেও অর্জনের ঘরে লেখেন ‘অধিকাংশ বাস্তবায়ন’।
হলফনামায় ‘বিদ্যুতায়ন’ প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে এর অর্জনের ঘরে তিনি লেখেন ‘সাঘাটা উপজেলায় শতভাগ এবং ফুলছড়ি উপজেলার অধিকাংশ এলাকা।’ আর ‘সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ/স্থাপন’ প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে অর্জনের ঘরে তিনি লেখেন ‘সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, বাড়ী ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্থানে।’
এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গাইবান্ধায় নির্বাচন অফিসে হলফনামা জমা দেন তিনি। ২০১৩ সালের পয়লা ডিসেম্বর জমা দেওয়া ওই হলফনামায় তিনটি প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করেন মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। সেগুলো হলো- ১. রাস্তাঘাট মেরামত, নির্মাণ ও পাকা করা, ২. স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান এবং ৩. ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ। তিনটি প্রতিশ্রুতিরই অর্জনের আলাদা আলাদা ঘরে তিনি লেখেন ‘অধিকাংশ বাস্তবায়ন’।
আর ২০০৮ সালের অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ওই বছর ১৯ নভেম্বর হলফনামা জমা দেন তিনি। গাইবান্ধা নির্বাচন অফিসে জমা দেয়া ওই হলফনামায় তিনি হাতে লেখা তিনটি প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো- ১. রাস্তাঘাট মেরামত ও পাকাকরণ, ২. স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা এবং ৩. ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ। তিনটি প্রতিশ্রুতির অর্জনের আলাদা আলাদা ঘরেই হাতে লেখা হয়েছে ‘অধিকাংশই বাস্তবায়ন’।
এমএ/এমএমএ/