বিদ্যুৎ খাতের ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করার দাবি মন্টুর
গণফোরাম (একাংশ) সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায় মুক্তি আইন রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতিবাজদের চুরি-লুটপাট করার বিশেষ আইন। যার মাধ্যমে জনগণের রক্ত চুষে খায় অবৈধ ক্ষমতাসীনরা। অবিলম্বে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কত তার সকল হিসাব-নিকাশ জনগণের সম্মুখে শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করুন।’
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) গণফোরাম সভাপতির কার্যালয়ে এক জরুরি যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘চুরি আড়াল করতে শাক দিয়ে মাছ লুকানোর মতো যতই আইন করেন না কেন, জনগণের টাকা চুরি করা সব চোরদের বিচার দেশের মাটিতে করা হবে।’
ওয়াসার বিল নিয়ে শ্রেণি বিন্যাস জনগণের সুবিধার জন্য নয়, দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির নতুন ফন্দি বলেও মন্তব্য করেন মোস্তফা মোহসীন।
গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, ‘আমদানি নির্ভরতা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংকটের সবচেয়ে বড় কারণ। অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতার সবচেয়ে বড় কারণ লুটপাট করা। এখানে জনগণের জন্য কোন সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে কোম্পানিগুলোকে সকল সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে মহাপরিকল্পনা করে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের নৈরাজ্য ফ্যাসিস্ট সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত। জনগণ থেকে অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করতেই বিদ্যুৎ খাতে মহা লুটপাটের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিদ্যুৎ খাতের এই নৈরাজ্যের মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়।
সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, রাজ চুরি-চালাকি অনেক হয়েছে এবার বাদ দিন, জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছেন আপনারা (সরকার)। দুর্নীতিবাজ চোরদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি করেন আবার বড় বড় কথা বলেন। কত টাকা লাগে আপনাদের? পেট ভরে তবু চোখ ভরে না! আপনাদের কাছে জনগণ কিছুই আশা করে না। ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণকে মুক্তি দিন, নইলে জনগণ আপনাদের এক বিন্দু ছাড় দিবে না।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই দলদাস নির্বাচন কমিশন দিয়ে সংলাপের নামে নাটক বন্ধ করুন। আপনাদের (আওয়ামী লীগ ও সরকার) অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন কল্পনা করাও সম্ভব নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় অভ্যন্তরীণ সরকারের কোনো বিকল্প নাই।
এমএইচ/এমএমএ/