আওয়ামী লীগের সবার কথা সন্ত্রাসনির্ভর: রিজভী
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'আজকে জ্বালানি কেনার টাকা নেই, যা দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরির উপকরণ কেনা যায়। ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা নেই, যা আছে তার অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন উত্তোলন করে বিদেশে পাচার করেছে। এ পরিস্থিতিতে জনগণ বেঁচে থাকতে পারবে কি না সেই শঙ্কায় পড়েছেন।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের দ্বারা খুন-হত্যা করে আপনি পার পেয়ে যাবেন, তা হবে না।'
সোমবার (১৮ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক এই ছাত্র নেতা। গুম হওয়া দলের নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
রুহুল কবির বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নয়, এদের পদত্যাগ করতে হবে। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দলীয় সরকারের অধীনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন তখন সুষ্ঠু হবে যখন নির্দলীয় সরকার গঠন করা হবে। বিএনপি সেই লক্ষ্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'রাজনীতি হচ্ছে ভালো মনের মানুষের। অথচ আওয়ামী লীগের টপ টু বটম সবার কথাবার্তা সন্ত্রাসনির্ভর। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড রক্তাক্ত। অনির্বাচিত সরকার আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সারাদেশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের দমনে গুম-খুন-হত্যা-নির্যাতন টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের তিনি সেভাবে তৈরি করছেন তার (শেখ হাসিনা) নমরুদীয় শাসন প্রতিষ্ঠায়। আমরা শেখ হাসিনার অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করছি কিন্তু বাজে কথা ও সন্ত্রাসীর ভাষায় কথা বলি না।'
রিজভী বলেন, 'ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ভিন্ন ধরনের নীল নকশা করেছে। আর এই নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রধান ম্যানেজার হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।'
নির্বাচনে কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে আপনার রাইফেল নিয়ে দাঁড়াবেন- প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এ নির্ববাচন কমিশনার শেখ হাসিনার একেবারে নিজস্ব ক্রীতদাস হিসেবে কাজ করছে। এটাই তিনি প্রমাণ দিচ্ছেন। দেশের সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই কথাটি কী করে বলতে পারেন। যত অবৈধ রাইফেল, বন্দুক তলোয়ার সব তো আওয়ামী লীগের হাতে। ভোটাররা তো তলোয়ার, রাইফেল নিয়ে যায় না। তারা তাদের অধিকারটা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেই অধিকারটা হচ্ছে ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে। এই নিশ্চয়তা চায় ভোটাররা।
এমএইচ/এসএন
