দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির রাজনীতি: খালেদা
মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির রাজনীতি’ উল্লেখ করে বন্যার্তদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত বিএনপিকে তাদের পাশে থাকতে বলেছেন খালেদা জিয়া।
রবিবার (১০ জুলাই) রাতে গুলশানের বাসায় বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ’দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনায় যেখানে বন্যায় মানুষ প্লাবিত হয়েছে, এই দুর্গত মানুষের খবর আমাদের কাছ থেকে তিনি নিয়েছেন। তিনি আমাদের বলেছেন-তোমরা যেভাবে দূর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছো ঠিক সেভাবেই তোমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে থাকবে তাদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত। তিনি মনে করেন, বন্যার্তদের সেবা করা মানে হচ্ছে মানুষের সেবা করা এবং এটাই রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। ‘
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ’তিনি এখন যে অসুস্থতায় আছেন সেই অবস্থায় তার ইমিডিয়েট কোনো বিপদ না থাকলেও তিনি কিন্তু এখনও অসুস্থ আছেন। আমরা যে কথা বার বার বলে আসছি যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাইরে চিকিৎসা এজন্য না যে, তিনি বাইরে যাবেন সেইজন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার ডাক্তাররা যারা তাঁর চিকিৎসা করছে তারা সবাই বার বার করে বলেছেন যে উন্নত চিকিৎসা তার(খালেদা জিয়া) দরকার সেই চিকিৎসা উন্নত কেন্দ্রে সেই কেন্দ্র এখানে নেই। যে কারণে তারা(চিকিতসকরা) মনে করেন যে ম্যাডামের যদি সত্যিকার অর্থে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত করার জন্য চিকিৎসা করানো দরকার তাহলে সেটা অবশ্যই দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া প্রয়োজন। আমরা সেই কথা আবারও আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।’
সাক্ষাতে দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ’উনি (খালেদা জিয়া) আমাদের দলের প্রধান, দলের চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তিনি তিন বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনও তিনি দেশের চলমান যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন তার খোঁজ-খবর রাখছেন। তিনি মনে করেন যে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ তারা নিশ্চয়ই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবে।‘
খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান গুলশানের ‘ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন। দেড় ঘণ্টা সাক্ষাত শেষে রাত ১০টায় তারা বেরিয়ে আসেন। তবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান যুক্তরাষ্ট্রে এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নিজ নির্বাচনী এলাকায় থাকায় এই সাক্ষাতে তারা অনুপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ/এসআইচ