আবেদন খারিজ হওয়া সরকারের কুটিল চক্রান্তের অংশ: মির্জা ফখরুল
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়ের করা মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার পুনরায় তদন্ত চেয়ে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আবেদন খারিজের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'অবৈধ সরকারের বিএনপি নেতৃবৃন্দের নামে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে হয়রানি ও সামাজিকভাবে হেয় করা। মিথ্যা মামলাগুলো বাতিল কিংবা পুনঃতদন্তের জন্য বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আবেদন আদালত কর্তৃক খারিজ সরকারের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।'
'অবৈধ ক্ষমতাকে গায়ের জোরে আঁকড়ে রাখার জন্যই সরকার নানামুখী চক্রান্তের অংশ হিসেবে বিএনপি নেতৃবৃন্দের নামে নতুন মামলা দায়ের, স্থগিত মামলা সচল করা কিংবা সাজা দেওয়া এখন রেওয়াজে পরিণত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। তিনি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।'
মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী রাজনীতিকদের সম্মান ক্ষুণ্ণ করতেই তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়েরের মাধ্যমে হেনস্তা করা, স্থগিত মামলা নতুনভাবে সচল করা এবং মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে করা আবেদন খারিজ হওয়া সমগ্র প্রক্রিয়াটিই সরকারের কুটিল চক্রান্তের অংশ।
বুধবার (২০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজেদের সীমাহীন দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অবাধ লুণ্ঠন, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের অত্যধিক বৃদ্ধি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই বিএনপির নেতৃবৃন্দকে টার্গেট করেছে।
তিনি বলেন, 'সারাদেশে প্রতিদিন বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের যেভাবে হত্যা, বাড়িঘর দখল ও মিথ্যা মামলায় কারাগারে অন্তরীণ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে আওয়ামী লীগের চলমান কর্মসূচি।'
'আমি বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ বিএনপি এবং বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।'
এমএইচ/টিটি