স্বস্তি, সুস্থতা ও সহাবস্থান ফিরিয়ে আনতে হবে: ফখরুল
গণতন্ত্র ও অধিকারহীন পরিবেশের মধ্যে জাতিকে পালন করতে হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। বর্তমান দুঃসময় ও নৈরাজ্যের অভিঘাত সত্ত্বেও আমাদের শান্তি,স্বস্তি, সুস্থতা ও সহাবস্থান ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিচ্ছেদ ও বিভাজন দূর করে পহেলা বৈশাখ ভরে উঠুক পারস্পরিক শুভেচ্ছায়। প্রতিটি উৎসবের অন্তঃস্থলে থাকে কোমলতা, শ্রদ্ধা, সংকীর্ণহীনতা এবং হীনমন্যতা থেকে মুক্তির মন্ত্র। ১৪২৯ বাংলা সনের প্রথম দিনের নতুন আলোতে মহান আল্লাহর নিকট দেশের সকল মানুষের সুখ ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি।’
বুধবার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ ১৪২৯। বাংলা সনের প্রথম দিন। নববর্ষের প্রথম প্রভাতে আমাদের অগণিত সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনের এক উজ্জল আনন্দময় উৎসব। এই উৎসব সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। পহেলা বৈশাখ থেকেই শুরু হয় নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আকুলতা। নতুন বছর মানেই অতীতের সকল ব্যর্থতা, জ্বরাজীর্ণতা পেছনে ফেলে নতুন উদ্দীপনা ও উৎসাহে সুন্দর সমৃদ্ধ আগামী বিনির্মাণে এগিয়ে যাওয়া।’
বাণীতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত, শান্তি ও আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা করা হয়। নববর্ষের এই নতুন সকালে মহান আল্লাহর কাছে সকলের ব্যক্তিগত, পারিবারিক তথা জাতীয় সকল পর্যায়ে সুখ ও শান্তি কামনাও করা হয়।
তিনি বলেন, ১৪২৯ সালে করোনামুক্ত স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসুক, জাতি ফিরে পাক গণতন্ত্র ও জনঅধিকার।
এমএইচ/এমএমএ/