যে কারণে পদ হারালেন মিলন
আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থেকে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
বিএনপির দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পদাবনতির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থেকে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে তাকে, বাদ দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাউকে পদোন্নতি ও পদাবনতি করা হয়। দলের অভ্যন্তরে অনেক কিছুই ঘটে সবকিছু সবসময় বলা যায় না, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জানতে চাওয়াটা শোভনীয় নয়। দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
অনেক সময় দেখা যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে 'নির্দেশিত' শব্দটি থাকে না, সরাসরি আপনার সই থাকে, সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে হাইকমান্ড কে না জানিয়ে আপনি আপনার ইচ্ছার বাস্তবায়নে কারো বিরুদ্ধে অবস্থান নেন বলে পদোন্নতি ও পদাবনতির শিকার হতে হয়- এ বিষয়ে রিজভী বলেন, 'আমার চেয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ ও সিনিয়র নেতারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছেন, এককভাবে আমার পক্ষে এগুলো কখনোই সম্ভব নয়। আমার স্থলে আমি ছাড়া অন্য যে কেউ থাকলে তাকেও কখনো কখনো এ ধরনের মিথ্যা মনগড়া অপবাদ বা অভিযোগ মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে।'
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রথম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন মিলন। এরপর ১৯৯৬ সালে চাঁদপুরের কচুয়া থেকে আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আমেরিকার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেন মিলন।
২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরীক্ষায় নকল উচ্ছেদ করে তিনি সৃষ্টি করেন অনন্য নজির। একজন শিক্ষিত, রুচিবান ও মেধাবী তরুণ রাজনীতিক হিসেবে মিলন নজর কেড়েছিলেন।
বিএনপির একটি নির্ভরশীল সূত্র মতে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থেকে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর -১ আসন থেকে মনোনয়নবঞ্চিত হন। এরপর থেকেই দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে।
এসএন