দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের চিকিৎসক টিমের সদস্য ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
ডা. জাহিদ বলেন, এর আগেও দেশবাসী উনার (খালেদা জিয়া) জন্য দোয়া করেছে। আল্লাহর রহমতে অনেক সংকটকালীন সময়ে অতিক্রম করে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন কারারুদ্ধ অবস্থায়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য দেশবাসীর নিকট উনি দোয়া চেয়েছেন।
'দেশের মানুষের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন; যাদের মাধ্যমে এই অবস্থায় আসতে পেরেছেন। আপনারা সকলেই উনার জন্য দোয়া করবেন।'
তিনি বলেন, 'উনার যে চিকিৎসা প্রয়োজন সে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল বলেছে মেডিকেল বোর্ড বলেছে বিদেশে নেওয়ার জন্য। অত্যন্ত দুর্ভাগা দেশ যে দেশের স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশে চিকিৎসা হচ্ছে না। কয়েকদিন পূর্বে কয়েকজন নেতা নেত্রী পার্শ্ববর্তী দেশে, বিদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন। শুধুমাত্র যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া। আশা করব এই অবস্থা থেকে নিশ্চয়ই পরিত্রান ঘটবে। '
এর আগে বিকেল সোয়া চারটার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজধানী এবারকার হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সাড়ে ৬টায় বাসায় পৌছান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও শাহরুল কবির খান প্রমুখ।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত, চোখের সমস্যাসহ শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
গত বছরে নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসি ধরা পড়ে। ওই সময়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন টানা ৮০ দিন। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ আসেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। ২০২০ সালের মার্চে তার দণ্ড স্থগিত করে বিশেষ বিবেচেনায় তাকে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে গুলশানের ভাড়া বাসায় থাকছেন তিনি। এর মেয়াদ পর্যন্ত পাঁচবার বৃদ্ধি করা হয়।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ফলে গতবছর তাকে কয়েক দফা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। পরে নভেম্বরে তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা।
এমএইচ/