সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে: ফখরুল

সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে গোটা দেশকে একটা ‘নরকে পরিণত’ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। ছয় শ এর অধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সামগ্রিক অর্থে গোটা বাংলাদেশ এখন একটা নরকে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে বেড়িয়ে আসা। আর একটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে দেশকে মুক্ত করা। আজকের এই মহান দিনে এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই শপথ আমরা গ্রহণ করছি। আমরা শপথ গ্রহণ করছি জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলে জনগণের একটা বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’
শনিবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরস্থানে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন ও ফাতেহা পাঠ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার এবং জনগণের সংসদ গঠন করব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে এই দিনে স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে সমগ্র জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করে ছিলেন। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম। লাখো মানুষ সেদিন শহীদ হয়েছেন। কয়েক লাখ মা বোন সম্ভ্রম দিয়েছেন। বহু ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। কিন্তু সেই আশা আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে বর্তমানে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে থাকা সরকার। তারা পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় নেতা যিনি দীর্ঘ ৪০ বছর গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য-সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহববুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, আমিনুল ইসলাম, তকদির হোসেন মো. জসিম, নবী উল্লা নবী, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/
