যে কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপার ৭৬ প্রার্থী
ফাইল ছবি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র এক দিন বাকি। অথচ প্রধান বিরোধীদল হিসেবে ঘোষণা দেয়া জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থী ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে ২৬৫ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। তবে পরবর্তীতে দলটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে কয়েক ধাপে মিটিং করে ২৬ টি আসনে সমঝোতা করে।
এ নিয়ে শুরু থেকেই দলের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ। এরই ফলাফল হিসেবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির ৭৬ প্রার্থী। তবে সাধারণ আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা এলেও আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া ২৬টি আসনে দলটির কেউ মাঠ ছাড়েননি।
এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে দলের মহাসচিবকে তারা জানিয়েছেন, আর্থিক সক্ষমতা না থাকা ও প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা। তবে এর পেছনে দলকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা দেখছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বলছেন, ভোটের পর এ প্রশ্নে নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। এদিকে সাধারণ আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা এলেও আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেয়া আসনে কেউ মাঠ ছাড়েননি।
দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলছেন, অনেকেই দলের কাছে আর্থিক সক্ষমতা না থাকার কথা জানাচ্ছেন। তবে সে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই সরে দাঁড়াচ্ছেন তারা।
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘যারা নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে, তাদের উদ্দেশে একটা কথা বলব, নির্বাচনে পাস–ফেল তো আছেই। নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জিং গেম। যারা আমাদের দলের প্রার্থীরা আসছে, তাদের তো আমরা আর্থিকভাবে ব্যাকআপ করব এমন আশ্বাস দিইনি। তবে দিতে পারলে ভালো হতো।’
তবে ভিন্নমত জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের। তিনি বলছেন, দলকে বেকায়দায় ফেলতেই কেউ কেউ এই ভোট থেকে সরে যাচ্ছেন। সবাইকে ধৈর্য ধরে মাঠে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন অনেকেই বিভিন্ন কারণে হয়ত অর্থনৈতিকভাবে কুলাতে পারছে না বা পরিবেশ ভালো মনে করছে না অথবা তাদের ওপর নানা হুমকি আসছে। যে কোনো কারণেই হোক তারা অনেকে সরে দাঁড়াতে চাচ্ছে।’
জিএম কাদের বলেন, ‘যারা সরে দাঁড়াতে চাই তাদের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু প্রত্যাহারের সময় কিছু কারণ বলে একেবারে টেলিভিশনের সামনে স্টেটমেন্ট দিয়ে যারা প্রত্যাহার করছে, আমি মনে করি এটা শৃঙ্খলাভঙ্গের পর্যায়ের পড়ে। এর মধ্যে কিছু কিছু উদ্দেশ্যমূলকও হতে পারে।’