বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কোনো ভদ্রলোক আওয়ামী লীগ করে না : মির্জা আব্বাস  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, কোনো ভদ্রলোক আওয়ামী লীগ করে না। কোনো সভ্য ভালো লোক করে না। শয়তান লোক করে। সকল প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের লোক আছে। তাদেরকে ধরুন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মুগদায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক কর্মশালায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, এখন সংস্কার সংস্কার বলে একদল লোক পাগল হয়ে যাচ্ছে। ঘোষণা দিয়ে সংস্কার হয় না। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। যা করার করে ফেলেন। একটু তাড়াতাড়ি করেন। ঘোষণা দিয়ে দেরি করতে হয় না। যদি কারো চক্রান্ত না থাকে তাহলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। দেশের জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

তিনি বলেন, বিএনপি অশুভ শক্তির কোনো কার্যক্রম এই দেশে বাস্তবায়ন হতে দেবে না। ইউনূস সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে বিএনপি।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ভাবসাব এমন, নির্বাচন আসলে শুধু বিএনপিই নির্বাচনে যাবে, আর কেউ যাবে না। নির্বাচন এলে নাকে খত দিয়ে আসবেন, কারণ বিএনপি নির্বাচনের কথা বলেছে।

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩৭ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩৭ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় চলমান অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৩৭ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে অভিবাসীদের গ্রেফতার করা হয়।

এক বিবৃতির মাধ্যমে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের সারডাং এলাকার পাংসাপুরি তৈমুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে ৩৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এড়াতে ছাদ ও পানির ট্যাংকে লুকিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। কেউ কেউ আবার দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে দরজা ভেঙে ফেলতে হয়।

অভিযানে বিভিন্ন জাতীয়তার মোট ৮২ জন ব্যক্তির তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয় এবং এর মধ্য থেকে, ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়সী মোট ৩৭ জন অভিবাসীকে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে শনাক্তকৃত অপরাধের মধ্যে রয়েছে পরিচয়পত্র না থাকা, অতিরিক্ত সময় ধরে বসবাস এবং অন্যান্য অপরাধ। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের নাগরিক। তবে, এ অভিযানে কতজন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তা জানা যায়নি।

অভিবাসীদের সম্পর্কে জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই আইন প্রয়োগকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। গ্রেপ্তার অভিবাসীরা বৈধ পাস এবং পরিচয়পত্র ছাড়াই অ্যাপার্টমেন্ট ইউনিটগুলোতে বসবাস করে আসছিলেন বলে বিবৃতিতে জানান ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক।

Header Ad
Header Ad

বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

আগামী শনিবারের মধ্যেই সব জিম্মিদের ফেরত না দিলে যুদ্ধবিরতি আর কার্যকর থাকবে না বলে হামাসকে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে হামাসকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তিনি জানিয়েছেন, হামাস ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে ফের গাজায় তীব্র অভিযান চালানো হবে। নেতানিয়াহুর দাবি, শনিবার দুপুরের মধ্যে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি দিতে হবে।

আগে কথা ছিল শনিবার তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। নেতানিয়াহু এবার সমস্ত বন্দির মুক্তির কথা বলছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

নেতানিয়াহুর কথায়, শনিবার দুপুরের মধ্যে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স হামাসের ওপর চরম হামলা চালাবে। হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করা পর্যন্ত এই অভিযান বন্ধ হবে না।

নেতানিয়াহুর এই বার্তা পাওয়ার পর ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণে গাজা সীমান্তে তারা ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে। রিজার্ভ ফোর্সকেও সেখানে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ এলেই অভিযান শুরু হবে।

এদিকে গাজার অবস্থা কার্যত ধ্বংসস্তূপ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের একটি সংস্থা জানিয়েছে, গাজাকে নতুন করে তৈরি করতে হলে সব মিলিয়ে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। প্রথম তিন বছরে খরচ হবে ২০ বিলিয়ন ডলার। গাজায় ৬০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। শুধুমাত্র নতুন করে বাড়ি বানাতেই খরচ হবে ১৫ বিলিয়ন ডলার। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন করে তৈরি করতে খরচ হবে আরো প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন করে গড়ে তুলতে খরচ হবে আড়াই বিলিয়ন। আর খেতগুলিকে ফের চাষযোগ্য করার জন্য খরচ হবে চার বিলিয়ন ডলার।

গাজার অধিবাসীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা। হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক হয়েছে। ট্রাম্পের অভিমত, গাজা স্ট্রিপকে খালি করে দেওয়া হোক। আমেরিকা ওই এলাকার দায়িত্ব নেবে এবং জায়গাটিকে একটি পর্যটকস্থল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। অন্যদিকে গাজার অধিবাসীদের জর্ডান অথবা মিশরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই জর্ডান ও মিশর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন।

মঙ্গলবারের বৈঠকেও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা স্পষ্ট করে বলেছেন, কোনোভাবেই গাজার অধিবাসীদের জর্ডানে স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হবে না। বরং তার বক্তব্য, গাজার মানুষ যাতে আবার শান্তিতে সেখানেই বসবাস করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে কোনোভাবেই তাদের উৎখাত করা যাবে না।

দুই-রাষ্ট্রের তত্ত্বের ভিত্তিতে গাজা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ে এসেছেন, কোনোভাবেই জর্ডানে গাজার ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের জন্য আলাদা থাকার জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়।

Header Ad
Header Ad

দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

আয়নাঘর পরিদর্শনে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

আয়নাঘর পরিদর্শনে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিদেশি গণমাধ্যম কর্মী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়— দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমসহ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

আয়নাঘর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের ১৫ বছরে গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করার জন্য পৃথক কমিশন গঠন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বিশেষ’ স্থানে রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩৭ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার
বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা
যমুনা সেতুতে আর ট্রেন নয়, আজ থেকে চলবে যমুনা রেল সেতুতে    
৪ দফা দাবিতে আজ মাঠে নামছে বিএনপি    
গুরুতর অপরাধ করতে যাচ্ছে ট্রাম্প: বললেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট  
কোনো ভদ্রলোক আওয়ামী লীগ করে না : মির্জা আব্বাস  
এবার চিটাগাং কিংসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ইয়াশার  
সীমান্তে আইইডি বিস্ফোরণে ২ ভারতীয় সেনা নিহত   
  এ সরকার দায়িত্বহীন, আমিই বিকল্প সরকার করবো: কাফি  
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির ৪ নেতা কারামুক্ত
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার আরও ৬০৭
অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে চুয়াডাঙ্গায় গ্রেফতার ৯
নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়কের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা
বিরামপুরে স্কাউটস সমাবেশ এর উদ্বোধন
আওয়ামী লীগ নামে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না: ইশরাক হোসেন
ফিক্সিংয়ে জড়িত বাংলাদেশি স্পিনার সোহেলি আক্তার ৫ বছর নিষিদ্ধ
তালিকা থেকে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার বাদ পড়ছে: ইসি আনোয়ারুল
মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
কুড়িগ্রাম সীমান্তে লাগানো সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে রাজি হলো বিএসএফ