বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংস্কারপন্থীদের কারণে বিভেদ বিএনপিতে, ত্যাগীদের ক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

বলতে গেলে প্রায় ১৬ বছরের অধিক সময় ধরে দলের বাইরে নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তেমন একটা যোগাযোগ ছিল না সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত নেতাদের। তবে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তারাই এখন মিছিলের সামনের সারিতে। দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম জেল-জুলুম খেটে ত্যাগী নেতারাই এখন পিছনের সারিতে।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বেগম খালেদা জিয়াকে দলের চেয়ারপারসনের পদ থেকে সরানোর চেষ্টা হয়েছিল। তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একদল নেতা সংস্কারের দাবি তুলে একজোট হন। সাবেক বেশ কিছু সংসদ সদস্যও সেখানে যোগ দেন, বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। সে সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করতে চায় রাজনীতি থেকে।

এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এইসব সংস্কারপন্থীদের ছিল না কোনো খোঁজ। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের দুঃসময়ে সংস্কারপন্থীদের অনেককে ডেকেও নমিনেশন দেওয়া যায়নি। রাজনীতি করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন অনেক সংস্কারপন্থীনেতা।

এদিকে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলন সংগ্রাম জেলখাটা ত্যাগী নেতাদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সংস্কারপন্থী নেতাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির ত্যাগী এক নেতা বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর খ্যাত এইসব সংস্কারপন্থী নেতাদের নেতৃত্বেই ৫ আগস্টের পরে দেশের যত বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি দখলদারি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের পুনর্বাসন ও দলে ভেড়ানোর অভিযোগ আছে। এর অন্যতম কারণ হলো দল থেকে বিচ্ছিন্ন এইসব সংস্কারপন্থী নেতা তাদের নিজেদের দল ভারী করতে আওয়ামী লীগকে কাছে নিয়েছেন।

তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিভিন্ন সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কোনো নেতা বা কর্মী যদি চাঁদাবাজি দখলদারির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় সাথে সাথেই সেইসব নেতা কর্মীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হবে।

সংস্কারপন্থী কয়েকজন সাবেক এমপি নিজ এলাকায় প্রচার করে বেড়াচ্ছেন যে, সকালে তারেক জিয়ার সাথে ১০ মিনিট কথা হয়েছে, বিকালে ৮ মিনিট কথা হয়েছে, মনোনয়ন নিশ্চিত। এ ঘটনার সত্যতা জানতে বিএনপির দপ্তরের একজনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান- আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্যার বিএনপির সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে গুলশান অফিস ও পার্টি অফিসের স্কাইপে কথা বলেন। নির্ধারিত ব্যক্তি এগুলো মনিটর করেন। আমার জানামতে মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরও খুব বেশি জরুরি ছাড়া কল দেন না।

এসব বিষয় নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় অনেক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি এবার আর ভুল করবে না। সংস্কারপন্থীদের কারণে দলের ভিতর কোনো বিভেদ হোক দল সেটা চায় না। দীর্ঘদিন যারা দলকে সার্ভিস দিয়েছেন তাদের মূল্যায়ন করবে বিএনপি। মনোনয়ন দিবে ওইসব ত্যাগীদের। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সুস্থ ধারার রাজনীতি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

বন্ধুত্বের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় নাগরিকের খোলা চিঠি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়। চিঠিতে তাঁদের শান্তি ও বন্ধুত্বের পথে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, তাঁদের সম্পত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং তাঁদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করার জন্য জবরদস্তি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ১৩৯ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা (এর মধ্যে রয়েছেন ৩৪ জন রাষ্ট্রদূত), ৩০০ জন উপাচার্য, ১৯২ জন প্রাক্তন সামরিক অফিসার এবং নাগরিক সমাজের ৩৫ জন গণ্যমান্যরাও।

বৃহস্পতিবার ( ১৯ ডিসেম্বর) এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

চিঠিতে, গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দুই দেশের বন্ধুত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরাইশি।

চিঠিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত ‘হামলা ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস’ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশিষ্টজনরা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বাসযোগ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। কেননা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উভয় দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রক্ষা করবে বলে মনে করেন তারা।

চিঠিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিয়া এবং আহমদিয়াসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সেখানে ভারত ও বাংলাদেশের স্থল ও সমুদ্রসীমার মতো গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোর সমাধান এবং বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সহজ শর্তে অনুদান এবং ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তার সমর্থনে অবিচল রয়েছে ভারত। ঘনিষ্ঠ, সহযোগিতামূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের জন্যই দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রক্ষা করবে বলে মনে করেন ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকরা।

এছাড়া তারা বাংলাদেশের জনগণকে ভারতবিরোধী প্রচারণা দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সবশেষে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

Header Ad
Header Ad

সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ডাকাতদের আত্মসমর্পণ, ভল্ট ও জিম্মিরা অক্ষত

র‌্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কেরাণীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে হানা দেওয়া ডাকাতরা সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আত্মসমর্পণ করেছে; জিম্মিদশা থেকে অক্ষত অবস্থায় মুক্ত হয়েছে গ্রাহক-কর্মীদের সবাই। ব্যাংকের ভল্টও সুরক্ষিত আছে।

র‌্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, “রূপালী ব্যাংকে ঢুকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা তিন ডাকাত ৩টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরকে কেরাণীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কেরাণীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় হানা দেয় একদল সশস্ত্র ডাকাত। তাতে ব্যাংকের গ্রাহক ও কর্মী মিলে ১৬ জন ভেতরে জিম্মি দশায় পড়েন।

বিকাল সাড়ে ৫টায় তিন ডাকাত আত্মসমর্পণ করে জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা তাপস কর্মকার বলেন, “ভেতরে ১৬ জন জিম্মি ছিলেন, যাদের মধ্যে চারজন ব্যাংক কর্মকর্তা আর বাকি ১২ জন গ্রাহক। প্রত্যেকেই অক্ষত রয়েছেন। বিনা রক্তপাতে তিন ডাকাতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”

ডাকাতদের আত্মসমর্পণের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে আমরা তাদের সঙ্গে আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তাব দেই। আলোচনায় এক পর্যায়ে তারা আমাদের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য রাজি হন।

তবে বিক্ষুব্ধ জনতার কাছ থেকে নিরাপদে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। একটি বন্দুক জানালা দিয়ে ফেলা হয় তারা আত্মসমর্পন করেন। বাকি অস্ত্র ব্যাগে ভরে বাইরে ফেলে দেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে একে একে ডাকাত দলের সদস্যরা বেড়িয়ে আসে। তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তিন ডাকাত সদস্যকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ওসি সোহরাব আল হোসাইন বলেন, “তিন ডাকাত আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।”

পুলিশের কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডাকাত পড়ার খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ব্যাংকের গেইটে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে ব্যাংকের ওই শাখার চারপাশে অবস্থান নেয়। তারা আলোচনার মাধ্যমে ডাকাতদের আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা চালান।

ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করে। ব্যাংকের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ, র‌্যাব ও সেনা সদস্যরা তাদের বার বার দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা চিরকূটের মাধ্যমে নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়েছিল। সেই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তিন ডাকাত সদস্যেরই বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকাত সদস্যদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।

Header Ad
Header Ad

সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ, দুর্নীতি, বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ঘুষ, দুর্নীতি, বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নজিবুরের আমলে প্রতিটি কাস্টম হাউস, ভ্যাট কমিশনারেট ও কর অঞ্চলের কমিশনারদের প্রতি মাসে ৫০ লাখ টাকা করে দিতে বাধ্য করা হতো। এ ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মতো দপ্তরগুলোতে নিজের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতেন।

দেশের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে নজিবুরের বিরুদ্ধে। একটি গ্রুপকে উচ্চ শুল্ক এড়িয়ে গিয়ে ডাম্পিং ট্রাক আমদানির সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে তা লরিতে রূপান্তর ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে সরকার বঞ্চিত হয়েছে কয়েকশ কোটি টাকার রাজস্ব। পরে নজিবুরের পকেটে গেছে ৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া আরও তিনটি গ্রুপকে তিনি অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছেন।

জানা গেছে, তার স্ত্রীর আয়কর ফাইলে তিনি ৬০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করেন। এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট আয়কর কর্মকর্তা আপত্তি জানান। পরে সেই কর্মকর্তাকে তিনি শাস্তিস্বরূপ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। সেই ফাইল নিয়ে এখনো এনবিআর কাজ করছে। তার তিন অর্থবছরের মেয়াদে ৩৩ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় দেখানো হয়েছে, যা পরে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের (সিজিএ) পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে।

আরও জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুই ছেলের নামে বেস্ট হোল্ডিংয়ের ১০ লাখ প্লেসমেন্ট শেয়ার নেন তিনি। এর মধ্যে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফারাবি এন এ রহমান পাঁচ লাখ এবং ফুয়াদ এন এ রহমানের নামে পাঁচ লাখ শেয়ার নেন। কোম্পানিটির মূল্য নির্ধারণে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এই শেয়ারের কাট অব প্রাইস (প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মূল্য) নির্ধারণ করা হয় ৩৫ টাকা। এর মানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১০ লাখ শেয়ার কিনতে সাড়ে তিন কোটি টাকা লেগেছে। এর বিনিময়ে এই প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে সহায়তা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুবছর আগে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামে দলটির কর্মী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাকে আসামি দেখানো হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বন্ধুত্বের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় নাগরিকের খোলা চিঠি
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ডাকাতদের আত্মসমর্পণ, ভল্ট ও জিম্মিরা অক্ষত
সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাত; ভেতরে জিম্মি ১৫ জন
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ কুবিতে ছাত্রদলের ব্যানারে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ
রাজশাহীতে বিএনপির মাইকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল  
সেন্টমার্টিনে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ডাকাত, ঘিরে রেখেছে র‍্যাব-পুলিশ
সংস্কারপন্থীদের কারণে বিভেদ বিএনপিতে, ত্যাগীদের ক্ষোভ
লোকসভায় ধস্তাধস্তি; রাহুলের ‘আঘাতে’ বিজেপির ২ এমপি আহত
এক হাজার ৯২ কোটি টাকার মামলা এস আলমের ছেলের বিরুদ্ধে
প্রতিপক্ষের বুটের আঘাতে রক্তাক্ত দোন্নারুম্মার মুখ
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন না খালেদা জিয়া
কায়রোতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
আফগানিস্তানে দু’টি বাস দুর্ঘটনায় ৪৪ জন নিহত
পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
২৩৮ পদে জনবল নিচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়, আবেদন অনলাইনে
শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল, পলকের স্বীকারোক্তি
এক বছর লিভ টুগেদারের পর পার্টনার পছন্দ করেছি: স্বাগতা