শোভাযাত্রায় যোগ দিতে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ১৭ বছরের দুঃশাসন থেকে মুক্তির পর বড় আয়োজনে বিএনপির শোভাযাত্রা হতে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হবে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু কথা থাকলেও তার আগে থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শোভাযাত্রায় রাজধানীর পাশাপাশি আশপাশের মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।
শোভাযাত্রায় অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনের আশপাশের সড়কে জড়ো হচ্ছেন। তাদের হাতে ব্যানারের পাশাপাশি জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বড় আকারের ছবি দেখা গেছে।
শোভাযাত্রার জন্য পিকআপ ভ্যানের পাশাপাশি ঘোড়ার গাড়িও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে দেখা গেছে। শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, কাকরাইল, ফকিরাপুল, মৎস্যভবন এলাকায় কিছু কিছু সড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। যার ফলে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, শোভাযাত্রা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল-মৎস্যভবন-ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট-শাহবাগ-হোটেল শেরাটন-বাংলামোটর-কারওয়ান বাজার-ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে সমাপ্ত হবে।
নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রেখে শোভাযাত্রা উদ্বোধন করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শোভাযাত্রা শেষে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
উল্লেখ্য, ৭ নভেম্বর বিএনপি “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” হিসেবে পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, র্যালীসহ ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।