খুনিদের বিচার করতে ড. ইউনূসকে সরকারে বসানো হয়েছে: ফারুক
বক্তব্য রাখছেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি: সংগৃহীত
খুনিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ড. ইউনূসকে সরকারে বসানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, আপনাকে সরকারে বসানো হয়েছে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মতো যারা ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। যারা বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিনিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। যারা মায়ের বুক খালি করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে আয়োজিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম সাইফুদ্দীন আহমেদ মনির ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদীন ফারুক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সবাই বলে শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। মুগ্ধের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। তাদের মনের আশা পূরণ করার জন্যই আজকের এই অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সেই আশা কি পূরণ হচ্ছে? জনগণ কেন প্রশ্ন করবে, এখন চিনির দাম বাড়লো কেন। পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেন। কাগজ যাওয়ার আগেই পুলিশ বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করে আসামি। এগুলো জনগণ জানতে চায়। এগুলো শোনার জন্য ড. ইউনূসকে গদিতে বসায়নি। এ জন্য মুগ্ধ রক্ত দেয়নি।
তিনি বলেন, জনগণ এখন বলা শুরু করেছে সংস্কারের নামে কেন দেরি হচ্ছে। সংস্কারও চলবে, গ্রেফতারও চলবে এবং হাসিনাকে আনার ব্যবস্থাও করতে হবে। এখন মামলা হয়, আর আপনারা (অন্তর্বর্তীকালিন সরকার) বলেন তদন্ত করে দেখবো মামলা সঠিক কিনা। কোথায় হারুন, কোথায় বিপ্লব, কোথায় মেহেদী; যারা আমার অফিস তছনছ করে আমাদেরকে গ্রেফতার করেছে। এখন কেন তদন্ত করে ব্যবস্থা করা হবে! খুনীদেরকে কেন এখনো বিভিন্ন মিডিয়াতে বসতে দেওয়া হয়। কেন আবার শেখ মুজিবের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করে আপনার বিরুদ্ধে কথা বলবে এই সুযোগ কেন আপনি দিবেন?
সভাপতির বক্তব্যে এনপিপি'র চেয়ারম্যান এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশ্যে বলেন, ড. ইউনূস অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি। শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা এখনো প্রত্যেকটা জায়গায় রয়েছে। এ সরকারের উচিত তাদেরকে বের করে দেওয়া। দ্রব্যমূল্যের ক্রয় ক্ষমতা মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হবে। এগুলো না করলে আপনার জনপ্রিয়তা আসতে আসতে কমে যাবে। আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ।