প্রশ্নপত্র ফাঁসের সময় গোয়েন্দা বিভাগ কি করে, প্রশ্ন রিজভীর
দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যখন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তখন কি আপনার গোয়েন্দা বিভাগ বিছানার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে? তাদের কি শুধুমাত্র বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার জন্যই কি আপনি তৈরি করেছেন?
বুধবার (১০ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল কর্তৃক আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার প্রধানের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ডামি সরকার গোটা জাতিকে একটা ইস্যু প্রেমি বানানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে একেক সময় একেক ঘটনা ঘটাচ্ছে সরকার।
বর্তমান সরকার ইস্যুপ্রেমিক সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এই সরকার একের পর এক ইস্যু বের করে। দেশবিরোধী চুক্তি থেকে দৃষ্টি সরাতে এসব করে।
রিজভী বলেন, রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া কখনো কোন স্বৈরশাসক, গণতন্ত্র ঘাতকের সাথে আপস করেননি। তিনি একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন বার বার। গণতন্ত্রের পক্ষ নিয়ে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের বুক চিরে পার্শ্ববর্তী দেশের রেললাইন যাচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে তুচ্ছ করে এ কাজ করা হচ্ছে। অথচ যখন সীমান্তে আমাদের নাগরিকদের নির্যাতন হত্যা করা হয়। সীমান্ত যখন রক্তাক্ত হয়, তখন এই সরকার প্রতিবাদ করেনি। সরকার ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রেল করিডোর দিচ্ছে।
‘বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেল চলবে, এ রেলে কী থাকবে’ এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, রেলে থাকবে সামরিক সরঞ্জাম। ভারত তাদের উত্তপ্ত অঞ্চল, সেখানে রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশের জমিনকে তারা ব্যবহার করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে চিরস্থায়ী আন্তর্জাতিক চক্রান্ত, আন্তর্জাতিক যে খেলা তার মধ্যে ফেলার দেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’
মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের পরিচালনায় আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা: জাহিদুল কবির, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সিরাজ হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান, মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক মো: শাহ আলম ও সদস্য সচিব কেএম সোহেল রানা, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমির হোসেন আমির ও সদস্য সচিব মো: বাকিবিল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য হাজী আনোয়ার হোসেন, ফজলে কাদের সোহেল, মো: জাহিদুল আলম মিলন, বরিশাল উত্তর জেলার সদস্য সচিব জাকির হোসেন তালুকদারসহ নেতৃবৃন্দ।