শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ | ২০ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কোটা ও পেনশন স্কিম বাতিলের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন আছে: মির্জা ফখরুল

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল ও সব ধরনের চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির প্রতি সমর্থন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পেনশনবিরোধী আন্দোলনে একমত পোষণ করে পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত কয়েক দিন যাবৎ ছাত্ররা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাস্তায় আন্দোলন করছে। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদেরকে রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রীয় আচার অনুষ্ঠান, জাতীয় দিবসসমূহ এমনকি তাদের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এগুলো তাদের প্রাপ্য, এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাসহ নানান সুবিধা আছে। স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের অর্থাৎ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান অঙ্গীকার ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করা। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণ করা।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সাংবিধানিকভাবে ও আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান। কিন্তু সংবিধানের ২৮ (৪) এবং ২৯ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নারী ও নাগরিকদের পিছিয়ে পড়া অংশ এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীর বাইরে ব্যতিক্রম হিসেবে কিছু সংরক্ষণ ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা বহাল রেখে প্রযুক্তি ও মেধানির্ভর বিশ্বব্যবস্থায় জাতি হিসেবে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিসহ কোনো শ্রেণিতেই কোটা পদ্ধতি মেধা বিকাশে সহায়ক হতে পারে না এবং তা মেধাভিত্তিক বৈষম্যহীন জাতি ও সমাজ বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের সাথে সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ, অনির্বাচিত, কর্তৃত্ববাদী সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে অর্থাৎ আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জনগণের ন্যায্য দাবিসমূহ দমিয়ে রাখার ঘৃণ্য পুরোনো কৌশলেই ছাত্রসমাজের ন্যায্য আন্দোলনকে দমানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে এসে প্রযুক্তি ও জ্ঞান ভিত্তিক বৈশ্বিক ব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিসমূহের সাথে আমরা একমত।

মির্জা ফখরুল বলেন, আইন ও বিচার বিভাগের দোহাই দিয়ে ছাত্র সমাজের যৌক্তিক দাবিসমূহকে দমানোর সকল অপচেষ্টাই ব্যর্থ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কারণ, ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন কখনোই দমানো যায় না। আমরা আশা করি সরকার সময় থাকতে ছাত্রসমাজের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবিসমূহ মেনে নেবে। আমরা ছাত্রদের ন্যায়সংগত ও যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে এই সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি দেশের সব কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী সম্প্রতি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার জন্য দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করে সরকারি পরিপত্র জারি করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সম্প্রদায় ও কর্মচারীবৃন্দ। তারা এই স্মারক প্রত্যাখান করেছে এবং এর প্রতিবাদ করেছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দান, পরীক্ষা গ্রহণসহ সকল প্রকার কার্মকাণ্ড বন্ধ রেখেছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এটা জাতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রকৃত পক্ষে এটি এই দেউলিয়া সরকারের দুর্নীতির আর একটি পথ খুলে দেওয়া। যেহেতু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম সংকটাপন্ন সেহেতু অন্যান্য খাতসহ শিক্ষকদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে এই পেনশনের টাকা তুলে নিতে চাচ্ছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের চারটি প্রকল্পে এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ কোটি জনগণের মধ্যে ৪০ হাজার আবেদন জমা পড়ছে বলে গণমাধ্যম সুত্রে (বিবিসি) প্রকাশিত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল সংসদে এই বিল উত্থাপনের ভাষণে বলেছিলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা রাখবার জন্য সরকার জায়গা খুঁজে পাবে না। সরকারের আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নামে নতুন স্কিম চালু করা সরকারের দুর্বল আর্থিক খাত মেরামত করার একটা কৌশল। এটি এই অবৈধ ও আর্থিকভাবে দেওলিয়া সরকারের আরেকটি নতুন লুটপাট স্কিম যার নাম পেনশন স্কিম, প্রত্যয় স্কিম ইত্যাদি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার বেসরকারি, স্বশাসিত রাষ্ট্রায়ত্ব ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান সমূহে সোয়া চার লাখ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে এই স্কিম চালু করতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অর্থাৎ অংশীজনদের সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই স্বেচ্ছাচারী কায়দায় এই বিধান বাধ্যতামূলক ভাবে চালু করতে চাচ্ছে অবৈধ সরকার। অথচ এই আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত প্যারায় এটি অপশনাল (ইচ্ছাধীন) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে শিক্ষক সমাজের যে আন্দোলন ও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে তা অবশ্যই যৌক্তিক ও সমর্থন যোগ্য।

তিনি আরও বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্বলতাকে পুঁজি করে শাসক গোষ্ঠীর আশীর্বাদপুষ্ট এক শ্রেণির ব্যবসায়ীক লুটেরা সিন্ডিকেট ও কিছু কিছু সরকারি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সীমাহীন লুটপাট করছে। ব্যাংক ও সকল আর্থিক খাত সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে তারা বিদেশে অর্থ পাচার করছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সেরকম পরিস্থিতিতে নাগরিকরা সারাজীবনের অর্জিত সম্পদ কোন ভরসায় এই নতুন লুটপাট স্কিমে বিনিয়োগ করবে?

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার প্রায় শূন্য, ব্যাংকিং খাত প্রায় দেউলিয়া। এরকম লুটেরাতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য এরকম পেনশন স্কিমের মতো আরও স্কিম চালু করে জনগণের পকেট শূন্যে করতে চায় এই লুটেরা সরকার। সরকার তথাকথিত উন্নয়নের নামে জনগণের ঘাড়ে ব্যয়ের বোঝা চাপাচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের বুলি যদি এতই শক্তিশালী হয়ে থাকে তাহলে পেনশন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। অতএব, জনগণ সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অনৈতিক তথাকথিত পেনশন স্কিমসহ এ ধরনের সকল প্রকল্প প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারীদের এই যৌক্তিক আন্দোলন সমর্থন করছি এবং অবিলম্বে এই পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

Header Ad

সচিবালয়ের তিন তলা থেকে লাফ দিলেন স্পিকার ও তিন এমপি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মহারাষ্ট্রের সচিবালয় ভবন থেকে লাফ দিয়েছেন রাজ্যটির ডেপুটি স্পিকারসহ তিনজন সংসদ সদস্য। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ভবনটির তিনতলা থেকে তারা লাফ দেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সচিবালয়ের তিনতলা থেকে লাফ দিয়েছেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা এনসিপি বিধায়ক নরহরি জিরওয়াল, বিজেপির আদিবাসী সংসদ সদস্য হেমন্ত সাভ্রা ও বিধায়ক কিরান লাহামাতেসহ বেশ কয়েকজন।

ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, মহারাষ্ট্র রাজ্যের ধাঙড় গোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির (এসটি) অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তারা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

রিপোর্ট, বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ধাঙড় গোষ্ঠীর ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের এসটি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একনাথ শিন্ডের সরকার। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নামেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংসদ সদস্য ও বিধায়করা।

শুক্রবার সকালে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে সচিবালয়ের তিন তলা থেকে লাফ দেন নরহরি জিরওয়াল। এরপর ঝাঁপ দেন সাংসদ হেমন্ত সাভ্রা ও বিধায়ক কিরান লাহামাতে, হিরামন খোসকার, রাজেশ পাটিল।

তবে নিচে নিরাপত্তা স্বরূপ জাল থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে। জানা গেছে, জোট সরকারের সাংসদ-বিধায়কদের ক্ষোভ মেটাতে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

Header Ad

আবারও চট্টগ্রাম বন্দরে তেলবাহী জাহাজে আগুন, নিহত ১

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ‘বাংলার সৌরভ’ নামে আরও একটি তেলের ট্যাংকারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় মধ্যসাগরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের মোবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কল পেয়ে আমরা তেলের ট্যাংকারে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত হই। উদ্ধারকারী দল পৌঁছানোর আগেই আতঙ্কিত নাবিকদের বেশ কয়েকজন সাগরে লাফিয়ে পড়েন। কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফিশিং ট্রলারগুলো। পরে আসে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। উদ্ধার করেন জাহাজের ৪৮ নাবিককে। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদেক নামে এক নাবিকের মৃত্যু হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের রেডিও কনট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ১১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ক্রুড ওয়েল নিয়ে নোঙরের অপেক্ষায় ছিলো ট্যাংকারটি। ট্যাংকারটিতে ক্রুসহ মোট ৫০ জন কর্মরত ছিলেন। চার ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

Header Ad

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন

ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী

সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই। শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) রাত ৩ টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা বাংলাদেশ মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ২ মেয়ে এবং নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।”

ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় গত ২ অক্টোবর সকালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন তার মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী জানান যে, তার বাবা আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজিজেস ভুগছিলেন।

অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বি. চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত ‘মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৪৭ সালে ঢাকার বিখ্যাত স্কুল সেন্ট গ্রেগরি থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৫৪-৫৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। সব পরীক্ষাতেই তিনি মেধা তালিকায় ছিলেন।

এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ লন্ডন, এডিনবার্গ ও গ্লাসগো থেকে নির্বাচিত ফেলো-এফ.আর.সি.পি এবং বাংলাদেশের (সম্মানিত) এফ.সি.পি.এস। তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বহু গ্রন্থের প্রণেতা।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের অনুরোধে ১৯৭৮ সালে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ও পরে সংসদ উপনেতা হন। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একই বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সচিবালয়ের তিন তলা থেকে লাফ দিলেন স্পিকার ও তিন এমপি
আবারও চট্টগ্রাম বন্দরে তেলবাহী জাহাজে আগুন, নিহত ১
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন
টাঙ্গাইলে অনলাইন জুয়া নিয়ে সালিশি বৈঠকে যুবক খুন, আহত ৬
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর
সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঝরনায় ডুবে দুই পর্যটকের মৃত্যু
গোবিন্দগঞ্জের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শেখ হাসিনার পরিণতি থেকে আমাদের যেন শিক্ষা হয়: জামায়াতের আমির
আটকে থাকা ১৮ হাজার শ্রমিকের বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র ৭ দিনের রিমান্ডে
ভূঞাপুরে পানি নিষ্কাশনের অভাবে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি, চরম ভোগান্তিতে পৌরবাসী
ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট, বিকল্পপথে ছুটছে যানবাহন
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে স্বাগত জানিয়ে খুশি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ইরানের শত্রুদের পরাজিত করার অঙ্গীকার খামেনির
শেখ হাসিনা লুটপাটের টাকায় ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: এ্যানি
হাসপাতালে ভর্তি ফরহাদ মজহার
তোপের মুখে ফেসবুক স্ট্যাটাস সরিয়ে নিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রীর মেয়ে তৃণা
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত জাতিসংঘের মহাসচিব
একসঙ্গে মঞ্চ মাতাবে নব্বই দশকের ৪ ব্যান্ড