শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপিতে বহিষ্কারের তালিকা

ছবি: সংগৃহীত

চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিতে বহিষ্কারের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। কেন্দ্রের নির্দেশ আমলে না নিয়ে প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের ভোট করছেন তৃণমূল নেতারা। প্রথম ধাপে ৮৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপে ৬১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। আজকালের মধ্যেই তাদেরও দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত থাকলেও চলমান উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূল নেতাদের আটকাতে পারছে না বিএনপি। বহিষ্কারকে পরোয়া করছেন না তৃণমূল বিএনপির নেতারা। প্রার্থীদের লক্ষ্য এখন ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং জয়ী হওয়া। তারা বলছেন, জয়ী হলে দলই তাদের খুঁজে বের করে আবার দায়িত্ব দেবে।

এদিকে বহিষ্কৃত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। এসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তা নিশ্চিত করতে পারেননি দলটির নেতারা। তবে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলার শীর্ষ নেতারা উপজেলা নির্বাচনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছেন। এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের সংগঠন থেকে দুজন উপজেলা পরিষদে ভোট করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলায় ভোট করার অর্থই হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া। যেসব কারণে বিএনপি জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছে তার সব কারণ অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, ক্ষমতাসীনদের চাপ ও ফাঁদে পড়ে দলের কেউ কেউ প্রার্থী হয়েছেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, যে কোনো মূল্যে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে। সিদ্ধান্ত অমান্য করে জাতীয়সহ স্থানীয় সরকারের ভোট করায় গত কয়েক বছরে দল ও অঙ্গসংগঠনের পদধারী ৪০০ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এর মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা শতাধিক নেতা রয়েছেন। বাকিরা সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন। এ ছাড়া সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভিন্ন সময় দলটির আরও কিছু নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে দলে ফিরতে ভুল স্বীকার করে শতাধিক নেতা আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫-২০ জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় বহিষ্কারের তালিকায় থাকা ৬১ জনের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৯ জন। ২০ জন নেতা হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী; আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১৭ জন। এর বাইরে দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া নেতাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের দুজন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন জোর আলোচনা, এ নির্বাচন ঘিরে শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারের তালিকা ৩০০-এ ঠেকতে পারে। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাচন ঘিরে কেন্দ্রের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বেড়েই চলেছে।

বিএনপির সূত্র বলছে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা অটুট রাখতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। প্রথম ধাপে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রথমে শোকজ করলেও অনেকে নোটিসের জবাব দেননি, আবার কেউ কেউ নোটিস পেয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারও করেছেন। নোটিস দেওয়ার পর তৃণমূলের এই নেতাদের সঙ্গে রুহুল কবির রিজভী এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা কথাও বলেছেন। যাদের কাছে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয় তাদের মধ্যে ৩০ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, ২৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া বহিষ্কৃত নেতারা বলছেন, অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই নির্বাচনে অংশ নেওয়া জরুরি। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ সব প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তৃণমূল কর্মীদের সংগঠিত করতে এবং কর্মী-সমর্থকদের চাপেই তারা নির্বাচন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এভাবে বহিষ্কার করতে থাকলে কেন্দ্রের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তেই থাকবে। তবে প্রথম ধাপের বহিষ্কৃতদের মধ্যে দুজন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সংসদ নির্বাচন বর্জনের চার মাসের মাথায় অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

তারা বলছেন, এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই। যেসব কারণে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, সেসব কারণ এখনো বহাল আছে। বরং একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন দল আরও কর্তৃত্ববাদী হয়েছে। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন হাস্যকর হয়ে যাবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, যেসব কারণে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি তার সব কারণ বর্তমানে বহাল রয়েছে। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা উপজেলা নির্বাচনে ভোট করছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপগুলোতে যারা ভোটে অংশ নেবেন তাদেরও দল বহিষ্কার করবে। এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক বলেন, এ কজন ভোট করায় বিএনপির বেকায়দায় পড়ার প্রশ্নই ওঠে না। তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রেরও দূরত্ব বাড়ার কোনো কারণ নেই।

Header Ad
Header Ad

বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) সরফরাজ হাসান সিদ্দিকী পদত্যাগ করেছেন। ফেডারেশন তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে, যা ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, পদত্যাগ কার্যকর হলেও আরও তিন মাস দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাফুফেতে যুক্ত থাকবেন তিনি।

সিএফও সরফরাজের পরিবর্তে এখন থেকে বাফুফের ব্যাংকিং সংক্রান্ত বিষয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফা, এএফসি ও সাফের সঙ্গে আর্থিক যোগাযোগ করবেন ফিন্যান্স বিভাগের আরেক কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার নির্বাহী কমিটির সকল সদস্যকে বিষয়টি একটি বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, প্রশাসনিক কাঠামোয় বাফুফের সাধারণ সম্পাদকের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ হলো প্রধান অর্থ কর্মকর্তার। এই দুই পদের জন্যই বাফুফেকে প্রতি মাসে প্রায় আট লাখ টাকা ব্যয় করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই পদটি ঘিরে বাফুফে নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে।

২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। এরপর আর্থিক অনিয়ম নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ফেডারেশন। তদন্ত চলাকালে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন পদত্যাগ করেন। এরপরই সরফরাজ হাসান সিদ্দিকীকে দায়িত্ব দেন তৎকালীন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। কয়েক মাসের মধ্যেই তাকেও পদত্যাগ করতে হলো, যা বাফুফের প্রশাসনিক অস্থিরতার ইঙ্গিত বহন করে।

Header Ad
Header Ad

ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষের মাঝে পাটের তৈরি ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যার আওতায় ভর্তুকি মূল্যে পাটের ব্যাগ দেওয়া হবে। তিনি জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করা হবে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে “প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পাটের ব্যাগ ব্যবহারে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে পাটের ব্যাগ উৎপাদন সম্প্রসারণ করা হবে। এ কার্যক্রমে জেডিপিসি, এসএমইএফ ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, “প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক ব্যবহার আমাদের নিজেরাই বন্ধ করতে হবে। ‘প্লাস্টিকের বিকল্প নেই’—এই ধারণা ভুল। সরকারের উদ্যোগগুলো রাতারাতি বাস্তবায়ন সম্ভব না হলেও ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন করা হবে।”

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান মারিয়ান রাবে ক্নাভেলসরুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, ইউনিডোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জাকি উজ জামান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ড. আফিয়া শাহনাজ, এবং বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।

উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও শব্দ দূষণমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

ছবি: সংগৃহীত

ছয় দফা দাবি আদায়ে এবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল রোববার (২০ এপ্রিল) দেশব্যাপী নিজ নিজ ইনস্টিটিউটের সামনে এই কর্মসূচি পালন করবেন তারা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) 'রাইজ ইন রেড' শীর্ষক মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জোবায়ের পাটোয়ারী।

কুমিল্লায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শিক্ষার্থীরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি পালন করেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে দুপুর পৌনে ১২টায় শুরু হয় মানববন্ধন। এ সময় শিক্ষার্থীরা "রক্তে আগুন লেগেছে", "আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ", "দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার", "কুমিল্লায় হামলা কেন, জবাব চাই"—এমন নানা স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে গণমিছিল করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে এক ব্রিফিংয়ে জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, “আমাদের দাবি দ্রুত মানা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। কুমিল্লার ভাইদের ওপর হামলার তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করুন, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করুন। আমরা চাইলে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারি।”

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের আরেক প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, “এই সরকার আমাদের সরকার। আমরা চাই সরকার কারিগরি শিক্ষায় বিদ্যমান বৈষম্য দূর করুক। আমরা সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল করেন। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেও সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

গত বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবিতে ধারাবাহিকভাবে চলছে এই আন্দোলন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ
ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা