মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে যা জানালেন মেজর হাফিজ

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের দুই মাস আগে সেনাবাহিনীর সাবেক কয়েকজন সহকর্মী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দেওয়ার জন্য বাসায় নিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বনানীতে নিজের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে হাফিজ উদ্দীন ও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনকে কাল্পনিক ও কাহিনি বলে দাবি করেন হাফিজ উদ্দীন।

তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন। সাকিব রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। আমি বলেছি রাজনীতি করাটা তোমার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে তুমি এখনও খেলাধুলা করছো। উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়....।’

বিএনএম গঠনের সময় নিজের উপর ‘সরকারি চাপ’ প্রসঙ্গে হাফিজ বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের চাপ বাড়তে লাগলো। সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ঘোষণাই দিয়ে দিলেন, হাফিজ উদ্দীন নতুন দল গঠন করবেন। আমি বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছি। এরপর নির্বাচনের দুই মাস আগে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি, বিএনএম বা অন্য দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নাই। শেষ পর্যন্ত এই দলেই থাকবো। বর্তমানে আমি অবসরের চিন্তা করছি। শারীরিকভাবে অসুস্থ।’

নিজেকের ‘ওপেন বুক’ উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, ‘আমার সবকিছু ওপেন। আমি তো গোপনে কিছু করিনি। আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক।’

তিনি আরও বলেন , ‘আমার কিংস পার্টি করার দরকার নাই। এতদিন পর দুটি পত্রিকা সেলিব্রেটি সাকিবকে জড়িয়ে যে মিথ্যা কথা রচনা করেছে, তাতে আমি মর্মাহত হয়েছি।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাফিজ উদ্দীন বলেন, ‘বিএনএমের সাধারণ সম্পাদক তাকে (সাকিব আল হাসান) নিয়ে এসেছিলেন। জনগণের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নাই তাদের। তারাই সরকারের আনুকূল্যে দল করেছে। চার-পাঁচজন লোক। ওইটা বিএনএমের ফরম ছিল সম্ভবত।’ এই চার-পাঁচ জন পূর্ব পরিচিত বলেও জানান তিনি।

‘সাকিবকে সেদিনই অনুৎসাহিত করেছি। আমিও তাকে বলেছি। আমি তো পরেরদিনই প্রতিবাদ করেছি, যে বিএনএমে যোগ দেবো না।’ বলেন আরেক প্রশ্নের উত্তরে হাফিজ উদ্দীন।

তিনি বলেন, ‘দল (বিএনপি) সম্পর্কে কখনোই অসৌজন্য বক্তব্য দিইনি আমি।’

বিএনপিনেতা হাফিজ বলেন, ‘বিএনএম গঠনের সময় বিএনপির বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য আমাকে বলেছিল— তারা বিএনএমে যাবে কিনা। আমি তাদেরও নিরুৎসাহিত করেছি।’

Header Ad

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে আপত্তি নেই: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো আপত্তি নেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাই না। বিএনপি ইতোমধ্যেই বলেছে, সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মতামত আমরা উপেক্ষা করতে পারি না।”

নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ড. ইউনূস আরও বলেন, “আমি রাজনীতিবিদ নই, বরং রাজনীতিবিদদের ইচ্ছা বাস্তবায়নে সহায়তা করছি। আমার কোনো দলকে পছন্দ বা অপছন্দের প্রশ্ন নেই।”

বাংলাদেশে উগ্রপন্থার উত্থান ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এসব খবর অনেকাংশেই প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশে ধর্মীয় সহাবস্থান ও সহনশীলতা রয়েছে। তবে এগুলো নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা তৈরি করে আন্তর্জাতিক মহলে দেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।”

দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পেতে হবে। দুই দেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সহজ হবে।”

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “তাকে দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে প্রভাব ফেলছে এবং এটিই সমস্যার মূল কারণ।”

ড. ইউনূস আরও দাবি করেন, “হাসিনা একটি অডিও ক্লিপে জনগণকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা।”

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারত-বাংলাদেশ বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে তিনি জানান, “আইনি প্রক্রিয়া চলছে, তবে আমরা এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি। ভারত যদি চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে তা দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে।”

ড. ইউনূসের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্তর্জাতিক প্রভাব মোকাবিলায় সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

Header Ad

কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারির আত্মপ্রকাশ

ইউসুফ ইসলাহী এবং মাজহারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আত্মপ্রকাশ করেছে। কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে আছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ ইসলাহী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের জানানোর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ইসলাহির সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি নিশ্চিত করেন তিনি সভাপতি পদে আছেন। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এছাড়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মজহারের সাথে কথা বলার সময় তিনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেন।

Header Ad

কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি অযৌক্তিক: আইন উপদেষ্টা

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন রাতারাতি কোনো কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব না। এছাড়া এই দাবিকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ সময় মানুষকে জিম্মি করে কোনো আন্দোলন না করার পরামর্শ দিয়েছেন আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ট্রেনে আক্রমণ করে নারী-শিশুকে আহত করার ঘটনা অমানবিক। সরকারকে আন্দোলনকারীরা কিছুটা পেয়ে বসেছে। তবে সরকার যখন কঠোর হবে তখন কঠোর হবার মতোই হবে।

অপরিহার্য সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয় না। আমরা খুব অপরিহার্য কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেব।

তিনি বলেন, আমরা খুব প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেব। আমরা শুধু এটা চাই না, আগের মতো কোনো ভুয়া নির্বাচন হোক। নির্বাচনে কেউ বিজয়ী হয়ে আগের মতো ভুয়া নির্বাচনের সুযোগ পাক। এটা ছাড়া আমাদের আর কোনো স্বার্থ নেই।

অন্তর্বর্তী সরকারের চার বছর মেয়াদের কোনো কথাই বলা হয়নি দাবি করে বলেন, আমরা শুধু এই জিনিসটা চাই না, আগের মতো কোনো ভুয়া নির্বাচন হোক। আর এটা চাই না নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কেউ আবার ভুয়া নির্বাচন করার সুযোগ পাক। এটা ছাড়া আর কোনো স্বার্থ নেই। আপনারা বিশ্বাস করেন অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাদের অধিকাংশই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার জন্য আগ্রহী।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে আপত্তি নেই: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারির আত্মপ্রকাশ
কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি অযৌক্তিক: আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না: অর্থ উপদেষ্টা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি
বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন ফি ২০০ টাকা
শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগে ফ্যাসিষ্ট হয়েছিলেন: মির্জা ফখরুল
ভারতে পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক প্যানেল মেয়র কিরণ আটক
বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ
আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস, প্রিয় পুরুষকে দিতে পারেন উপহার
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তের গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারালো স্পেন
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে সাদপন্থীদের অবস্থান
নবীনদের বরণ করে নিবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
তিতুমীর কলেজে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ
সংসদ সচিবালয় পরিচালনায় অতিরিক্ত ক্ষমতা পেলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হিজবুল্লাহ
শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার
সাতসকালে টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ঝরে গেল ৪ জনের প্রাণ
আরও ৫ সংস্কার কমিশন গঠন করল অন্তর্বর্তী সরকার